গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে বৈভব সূর্যবংশী মাত্র ৩৫ বলে সেঞ্চুরি করে একেবারে হইচই ফেলে দিয়েছিল। বৃহস্পতিবার (১ মে) মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ১৪ বছর বয়সী কিশোরের আরও একটি বিধ্বংসী ইনিংস দেখার অপেক্ষায় ছিল ক্রিকেট মহল। কিন্তু এদিন সে নিরাশ করে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ফাস্ট বোলার দীপক চাহার রাজস্থান রয়্যালসের ইনিংসের প্রথম ওভারেই তাকে আউট করেন। দীপক চাহারের দুর্দান্ত লেন্থ ডেলিভারি বৈভব সূর্যবংশী বুঝতেই পারেনি। এবং দ্বিতীয় বলেই উইল জ্যাকসের হাতে ধরা পড়ে। সবচেয়ে বড় কথা হল, গত ম্যাচে সেঞ্চুরি করে এই খেলোয়াড় হিরো হয়েছিল, কিন্তু এদিন নিজের খাতাই খুলতে পারেনি বৈভব। ২ বল খেলে শূন্যতে সাজঘরে ফেরে সে।
সূর্যবংশীকে যেভাবে আউট করলেন দীপক চাহার
বৈভব সূর্যবংশীর শক্তিরই সদ্ব্যবহার করেন দীপক চাহার। আসলে, বৈভব সূর্যবংশী ফুল পিচ বল জোরে মারে এবং দীপক চাহার খুব চালাকির সঙ্গে বলটি অনেক আগে ফেলেছিল। সূর্যবংশী লেন্থ বিচার করলেও, বলটি মারার সময়ে উচ্চতা বুঝতে ব্যর্থ হয়, ফলস্বরূপ বলটি সরাসরি মিড-অনে দাঁড়িয়ে থাকা উইল জ্যাকসের হাতে চলে যায়।
আউট হওয়ার পর বৈভব সূর্যবংশীকে খুব হতাশ দেখাচ্ছিল। তার মুখে কান্নার ছাপ ছিল। যদিও সবাই তার প্রতিভা সম্পর্কে অবগত। মাত্র ১৪ বছর বয়সে ৩৫ বলে সেঞ্চুরি করা কোনও ছোট কথা নয়। তবে শুরুতেই এদিন বৈভব আউট হওয়ার বড় ধাক্কা খায় রাজস্থান।
হতাশ হয়ে পড়েন দ্রাবিড়ও
বৈভব ইনিংসের শুরুতে আউট হওয়ার পরেই, বিস্ময়কর ভাবে স্টেডিয়ামে এক নীরবতা নেমে এসেছিল। রাজস্থান রয়্যালসের প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড়, যিনি গত ম্যাচে বৈভবের সেঞ্চুরি উদযাপন করেছিলেন হুইলচেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে, ডাগআউটে তাঁকে বেশ হতাশই দেখাচ্ছিল। বৈভবের আউটের পর তিনি রীতিমতো মুষড়েই পড়েছিল।
মুম্বইয়ের কাছে ১০০ রানের লজ্জাজনক ভাবে হারে রাজস্থান
এদিন টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। রায়ান রিকেলটন এবং রোহিত শর্মা শুরুটা দুরন্ত করেন। ওপেনিং জুটিতেই তাঁরা ১১৬ রান করে ফেলেন। হাফসেঞ্চুরি করেন দুই তারকাই। রিকেলটন ৩৮ বলে ৬১ রান করেন, আর রোহিত ৩৬ বলে ৫৩ রান করেন। এরপর মুম্বই অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া এবং সূর্যকুমার যাদব নির্মম ক্যামিও খেলেন- দু'জনেই ২৩ বল করে খেলে ৪৮ করে রান করেন। যার নিটফল, ২ উইকেটে ২১৭ রানের বিশাল স্কোর করে মুম্বই।
আরও পড়ুন: সত্যিই প্রেমের জোয়ারে ভাসছেন শিখর ধাওয়ান, নেটপাড়ায় ভালোবাসার কথা স্বীকার করলেন তাঁর আইরিশ বান্ধবী
সেই রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারে বৈভবের উইকেট হারানোর পর যেন লাইন লাগে। দ্বিতীয় ওভারেই ফেরেন যশস্বী জয়সওয়াল। তিনি ১৩ রান করে আউট হন। তিনি দু'টি ছক্কা হাঁকানোর পর, তাঁকে সাজঘরে ফিরিয়ে ট্রেন্ট বোল্ট স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন। নীতিশ রানাকেও (৯ রান) বোল্ট আউট করেন। অধিনায়ক রিয়ান পরাগকে (১৬ রান) ফেরান জসপ্রীত বুমরাহ। এরপর প্রথম বলেই শিমরন হেতমায়েরকেও আউট করেন বুমরাহ। যার ফলে, পাওয়ার প্লেতেই রাজস্থান ৫ উইকেট হারিয়ে বসে থাকে। রাজস্থানের হয়ে আটে নেমে জোফ্রা আর্চার সর্বোচ্চ ৩০ রান (২৭ বলে) করেন। শুভম দুবে ১৫ করেছিলেন। বাকিদের অবস্থা তথৈবচ। ১৬.১ ওভারে মাত্র ১১৭ রানেই অলআউট হয়ে যায় রাজস্থান।