ডার্বি জয়ের দু'দিন পর খেলতে নামলেও, কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে মোহনবাগান প্লেয়ারদের বেশ চনমনেই লেগেছে। কোচ আন্তোনিয়ো লোপেজ হাবাস চিন্তা করছিলেন, ফুটবলারদের ক্লান্তি নিয়ে। কিন্তু এদিন ম্যাচের যে রকম লড়াই করলেন ফুটবলাররা, তাতে খুশি হওয়ার কথা হাবাসের। ম্যাচের একেবারে শুরুতেই ৪ মিনিটের মাথায় আর্মান্দো সাদিকু ১-০ করেন। বিরতিতে ১-০ গোলেই এগিয়ে ছিল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। দ্বিতীয়ার্ধে হয় আরও ছয় গোল। ৫৪ মিনিটে কেরালার হয়ে গোল শোধ করেন ভিবিন মোহানান। কিন্তু ৬ মিনিটের মধ্যে আবার মোহনবাগানকে এগিয়ে দেন সাদিকু। তিন মিনিটের মধ্যে আবার গোল পেয়ে যায় কেরালা। দিমিত্রিয়াস প্রতি আক্রমণে গোল করেন। পরের ৮ মিনিটে আবার গোল মোহনবাগানের। দীপক টাংরি দলকে ৩-২ এগিয়ে দেন। ১৮ মিনিটের মধ্যে চারটি গোল হল বুধবার। এখানেই থেমে থাকেনি গোলের সংখ্যা। ইনজুরি টাইমে দলকে ৪-২ গোলে এগিয়ে দেন পরিবর্তে নামা কামিন্স। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে দিমিত্রিয়াস ৪-৩ করেন।
৪-৩ জিতল বাগান
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে দুরন্ত লড়াই হল। এই অর্ধেই হল ছয় গোল। শেষ হাসি হাসল বাগান। কেরালার বিরুদ্ধে ৪-৩ গোলে জিতল মোহনবাগান। ডার্বির পর কেরালাকে হারিয়েও, লিগে দ্বিতীয় স্থানে থাকল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। মুম্বই সিটি এফসি-র চেয়ে এক ম্যাচ খেলে ৩৯ পয়েন্ট তাদের। মুম্বইয়েরও পয়েন্ট ৩৯। গোলপার্থক্যে পিছিয়ে পড়ল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।
গোওওওললল.. ব্যবধান কমাল কেরালা
৯০+৯- দুরন্ত লড়াই। বাগানের গোলের পালটা জবাব। ৩-৪ করে ফেলল কেরালা। দিমিত্রিয়স ব্যবধান কমালেন ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে। কামিন্সের গোলটি শেষ মুহূর্তে না হলে, কপালে দুঃখ ছিল মোহনবাগানের।
গোওওওওললল… ৪-২ করল বাগান
৯০+৭- লিস্টন বল নিয়ে উপরে ওঠেন। গোলে শট ঠেকাতে ডাইভ দেন করণজিৎ। রিবাউন্ড হয়ে বলটি যায় কামিন্সের কাছে। লেসকোভিচ অ্যাক্রোবেটিক গোল ঠেকিয়ে দেন। যদিও কামিন্স ফিরতি বল জালে জড়ান।
খেলার রাশ বাগানের হাতে
৮৬ মিনিট- ব্লাস্টার্সরা উল্লেখযোগ্য ভাবে আগ্রাসী মেজাজটা যেন হারিয়ে ফেলেছে। মোহনবাগান বরং খেলার রাশ হাতে নিয়ে ফেলছে। অনেক বেশি আক্রমণে উঠছে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। মনবীর গোল করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু করণজিতের সঙ্গে তাঁর ধাক্কাধাক্কি হয়। গোলটি শেষ পর্যন্ত হল না।
সুযোগ নষ্ট দিমির
৭৮ মিনিট- সাদিকু বক্সের ভিতরে বলটি পান এবং পেত্রাতোসকে তিনি কার্যত সাজিয়ে বলটি বাড়ান। কিন্তু দিমির শট পোস্টে ক্লিপ করে বেরিয়ে যায়। ভালো সুযোগ ছিল গোলের। মিস করলেন পেত্রাতোস।
গোওওওওললল… ৩-২ করল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড
৬৮ মিনিট- ফের বাগানের গোল। বাঁ-দিক থেকে আক্রমণে ওঠে বাগান। তবে বক্সের মধ্যে থাকা মনবীরের ক্রস আটকে, বল ক্লিয়ার করে দেওয়া হয়। তবে কর্নার পায় বাগান। আর কর্নার থেকে নেওয়া শট ধরে হেডে জালে জড়ান দীপক ট্যাংরি। ৩-২ এগিয়ে গেল মোহনবাগান।
গোওওওলললল… ফের সমতা ফেরাল কেরালা
৬৩ মিনিট- গোলের আগেই জিকসনের বদলে আজহারকে নামায় কেরালা। এবং তার পরেই তারা কাউন্টার অ্যাটাকে ওঠে। আর বাগানের গোলের তিন মিনিটের মধ্যেই সমতা ফেরাল কেরালা। ফেডর একটি বল দিয়ামান্টাকসের দিকে স্লাইড করেন, যিনি তাঁর মার্কারকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বল গোলে ঢোকান। ২-২ হয়ে গেল খেলার ফল।
গোওওওলললল… দ্বিতীয় গোল সাদিকুর, ২-১ করল বাগান
৬০ মিনিট- সাহালকে পিছনে টেনে ফেলে দেন জিকসন। সেই সময়েই বল পায়ে ছিল সাহালের। তিনি গোলের দিতে এগোচ্ছিলেন। স্বাভাবিক ভাবেই ভালো জায়গায় ফ্রি-কিক পায় মোহনবাহান। পেত্রাতোস ফ্রি-কিক থেকে শট নেন। বক্সের ভিতরে ভালো জায়গায় দাঁড়িয়েছিলেন সাদিকু। সেই বল তাঁর কাছে গেলে হাফ ভলিতে গোল করেন সাদিকু। ২-১ করে ফেলল মোহনবাগান।
গোওওলললল… সমতা ফেরাল কেরালা
৫৪ মিনিট- কেরালা সমতা ফেরাল। মোহনবাগান বক্সের মধ্যে নিজেদের মধ্যে পাস খেলেন কেরালার ফুটবলাররা। রাহুলের কাছে বল পাস করেন ভিবিন। রাহুল আবার ফের পাস বাড়ান ভিবিনকে। তিনি জালে বল জড়ান। তবে এই গোলের জন্য বাগানের রক্ষণ দায়ী। তারা বলটি কেড়ে নিয়ে ক্লিয়ার করতে পারেনি।
গোলের জন্য মরিয়া দুই দলই
৫২ মিনিট- কেরালা গোলের জন্য শুরু থেকেই চাপ দিচ্ছে। তবে প্রতি আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করছে মোহনবাগানও। কাউকো বল ধরে উপরে ওঠেন। তবে করণজিত সহজেই বল বাঁচিয়ে দেন।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে। মোহনবাগানকে পয়েন্ট টেবলের একে উঠতে হলে গোলের ব্যবধান বাড়াতে হবে। এদিকে কেরালাকে ম্যাচে ফিরতে হলে, এই অর্ধের শুরুতেই গোল করতে হবে।
বিরতি
প্রীতম কোটালের ভুলের সুযোগ নিয়ে সাদিকু ম্যাচের একেবারে শুরুতেই গোল করে দেন। যেটা প্লাস পয়েন্ট হয় মোহনবাগানের জন্য। তবে ব্লাস্টার্স গোলশোধের জন্য মরিয়া চেষ্টা করছে, কিন্তু তারা মুখ খুলতে পারছে না। বিরতিতে কিন্তু ১-০ এগিয়ে রয়েছে মোহনবাগানই।
অল্পের জন্য মিস
৩৬ মিনিট- সাকাইকে থ্রু বল বাড়িয়েছিলেন দিয়ামান্তকোস। বাগান বক্সে খুব উদ্বেগের পরিস্থিতি তৈরি হয়। সাকাই যাতে গোলে শট নিতে না পারেন, কাইথ লাইনের বাইরে বেরিয়ে এসে বলটি বাঁচানোর চেষ্টা করেন। যাইহোক বাগানের জন্য খারাপ কিছু ঘটেনি।
বাগানকে চাপে ফেলেও, গোলের মুখ খুলতে পারছে না কেরালা
২৮ মিনিট- ব্লাস্টার্স গোল শোধের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। ম্যাচের রাশ তারা নিজেদের হাতে নেওয়ার চেষ্টা করছে। স্টেডিয়াম জুড়ে তাদের সমর্থকেরা কেরালার জন্য গলা ফাটাচ্ছেন। বাগান ডিফেন্সকে কিন্তু বারবার চাপে ফেলছে কেরালা। তবে সমস্যা হচ্ছে, ফাইনাল পাসের ক্ষেত্রে। সেখানেই পিছিয়ে পড়ছে ব্লাস্টার্স। ডানদিক থেকে প্রবীরের ক্রস বক্সের উপর দিয়ে বেরিয়ে গেল মাঠের বাইরে।
বাগানের প্রচেষ্টা
২০ মিনিট- সন্দীপ দূর থেকে বক্সের মধ্যে একটি আগ্রাসী ক্রস বাড়ানোর চেষ্টা করেন। তবে বাগানের গোলরক্ষক বিশাল কাইথের কোনও অসুবিধাই হয়নি। তিনি বলটি ধরে ফেলেন। এবং এর পর মোহনবাগান প্রতি আক্রমণে ওঠে। মনবীর বল ধরে উপরে ওঠেন। এবং পেত্রাতোসের জন্য একটি কাট ব্যাক করেন। তবে পোস্টের উপর দিয়ে বল ভাসিয়ে দেন দিমি।
বাগানের ফ্রি-কিক
১১ মিনিট- একটি ফ্রি বলের জন্য চার্জ করার সময়ে দীপক টাংরিকে ফাউল করেন ফেডর। বাগানের ফ্রি-কিক পায়। তবে ফ্রি-কিক থেকে কার্যকরী কিছু ঘটেনি। ব্লাস্টার্স বলের দখল নেয়।
গোওওওললল… সাদিকুর গোলে এগিয়ে গেল মোহনবাগান
৪ মিনিট- প্রীতম কোটালের ছোট্ট ভুল। প্রীতম বলটি মিস করে যান এবং সাদিকু সেই বলটি পেয়ে যান। সেই বল ধরেই ১-০ করেন সাদিকু। দুরন্ত গোল। শুরুতেই এগিয়ে গিয়ে বাগান অক্সিজেন পেয়ে গেল।
কেরালার একাদশ
বাগানের একাদশ
দুই দলের পরিসংখ্যান
সুপার লিগে গত তিন মরশুমে মোহনবাগান এবং কেরালা ব্লাস্টার্স মুখোমুখি হয়েছে মোট সাত বার। তার মধ্যে পাঁচ বারই জিতেছে বাগান। একটি ম্যাচ ড্র হয়েছে। কেরালা চলতি মরশুমেই প্রথম লেগে হারিয়েছিল সবুজ-মেরুন বাহিনীকে। দুই দলের দ্বৈরথে ১৭ গোল করেছ মোহনবাগান এবং ১০ গোল করেছে ব্লাস্টার্স।
কেরালার সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স
লিগ টেবলের অবস্থানের দিক থেকে দেখতে গেলে ইস্টবেঙ্গলের চেয়ে বেশি শক্তিশালী কেরালা। কিন্তু সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের বিচারে ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে একই সারিতে রয়েছে তারা। লাল-হলুদ বাহিনীর মতো কেরালাও গত পাঁচটি ম্যাচের মধ্যে একটিমাত্র জয় পেয়েছে। বাকি চারটিতেই হেরেছে। এখনও পর্যন্ত ১৭টি ম্যাচের মধ্যে ন’টিতে জিতে ও দু’টিতে ড্র করে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে ব্লাস্টার্স রয়েছে পাঁচে।
দুরন্ত ছন্দে মোহনবাগান
টানা সাতটি ম্যাচে অপরাজিত রয়েছে মোহনবাগান এসজি। ২০২৪ সালে আইএসএলের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হওয়ার পর থেকে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড এখনও একটিও ম্যাচ হারেনি। এর আগে ২০২৩-এর ফেব্রুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত তারা টানা ১৩টি ম্যাচে অপরাজিত (৯টি জয়, চারটি ড্র) ছিল। চলতি লিগে এখনও পর্যন্ত ১৭টি ম্যাচে ৩৬ পয়েন্ট অর্জন করেছে মোহনবাগান। এই সংখ্যক ম্যাচে আর একবারই তারা এত পয়েন্ট পেয়েছে, ২০২০-২১ মরশুমে। সে বারও এ বারের মতো ১৭টির মধ্যে ১১টি ম্যাচে জয় পেয়েছিল মোহনবাগান।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।