যে ভুল অস্ট্রেলিয়া করেছিল, সেটা আর করেনি উজবেকিস্তান। ভারতীয় রক্ষণকে জমাট বাধার সুযোগই দেয়নি তারা। প্রথম মিনিট থেকেই আক্রমণের ঝড় তোলে উজবেকিস্তান। ম্যাচের ৪ মিনিটেই সুযোগ এসে যায়। গোল খেয়ে যায় ভারত। এর পর তারা ঘুরে দাঁড়ানোর আগেই ১৮ মিনিটে দ্বিতীয় গোল। বিরতির আগেই ৩-০ করে উজবেকিস্তান নিজেদের জয়ের জায়গাটা তৈরি করে ফেলে। ভারত দ্বিতীয়ার্ধে কিছু আক্রমণ করলেও, সেগুলি খুব বেশি সংগঠিত ছিল না। তিন গোলে এগিয়ে থাকার সুবাদে উজবেকিস্তানও বাড়তি চাপ নেয়নি। তাই বিরতির পর আর কোনও গোলও হয়নি। এক ম্যাচ বাকি থাকলেও, এদিন ০-৩ হারায়, আশার প্রদীপ কার্যত নিভু নিভু ভারতের।।
খেলা শেষ
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শেষ। বিরতির পর আর কোনও গোলই হয়নি। প্রথমার্ধেই ৩-০ করে ফেলেছিল উজবেকিস্তান। আর ভারত ০-৩ হেরে বসে থাকল।
৫ মিনিট ইনজুরি টাইম
নির্দিষ্ট ৯০ মিনিটের খেলা শেষ। দ্বিতীয়ার্ধে আর গোল হয়নি। ভারত গোলের মুখই খুলত পারেনি। সেই সুযোগও সেভাবে পায়নি তারা। উজবেকিস্তানও দ্বিতীয়ার্ধে আর গোল দেয়নি। ৫ মিনিট ইনজুরি টাইম দেওয়া হয়েছে।
ভারতের জোড়া পরিবর্তন
৮৬ মিনিট- নওরেমকে তুলে নামানো হল উদান্তকে। আগের মিনিটেই সুরেশকে তুলে দীপক টাংরিকে নামায় ভারত।
উজবেকিস্তানের জোড়া পরিবর্তন
৮৪ মিনিট- উজবেকিস্তান জোড়া পরিবর্তন করে। জামরোবেকভ, ফয়জুল্লায়েভের পরিবর্তে নামলেন বোল্টাবয়েভ, ইস্কান্দেরভ।
গুরপ্রীতের ভালো সেভ
৭৮ মিনিট- ডানদিক থেকে ভারতীয় ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে উপরে উঠে, কিছুটা দূর থেকে জোরালো শট নেন শাকুরভ। তবে ভালো সেভ করেন গুরপ্রীত। ০-৪ তিনি হতে দেননি।
ভারতের জোড়া পরিবর্তন- মাঠ ছাড়লেন সুনীল
৭২ মিনিট- অনিরুদ্ধে থাপা এবং সুনীল ছেত্রীকে তুলে নেওয়া হল। নামলেন ব্রেন্ডন ফার্নান্ডেজ এবং ইশান পন্ডিতা।
ভারতের আক্রমণ দানাই বাঁধছে না
৭১ মিনিট- রাহুল কেপির জন্য একটি পাস বাড়ান নিখিল পূজারি। যিনি তাঁর জোরালো গতি ব্যবহার করে এশমুরোদভকে ডজ দেওা চেষ্টা করেন। এবং কাটব্যাক করে উপর ওঠার চেষ্টা করেন। কিন্তু উজবেকরা তাঁর চ্যালেঞ্জকে নিখুঁত ভাবে প্রতিহত করে।
নওরেমকে বল নিয়ে উঠতেই দেওয়া হল না
৬৩ মিনিট- নওরেম মহেশ উজবেক বক্সের কাছে একটি প্রতিশ্রুতিশীল অবস্থানে বল পেয়েছিলেন এবং চোরা রান করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাঁকে ঘিরে ফেলে, তাঁর থেকে বল ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
খেলার রাশ নিয়ন্ত্রণ করছে উজবেকিস্তান
৫৭ মিনিট- খেলার রাশ এখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করছে উজবেকিস্তান। ভারতীয়দের আক্রমণেই আর উঠতে দিচ্ছে না। মাঝে একটু ডিল দিলেও, ফের কড়া হাতে ম্যাচ পুরোটাই নিয়ন্ত্রণ করছে উজবেকিস্তান।
গোলের খোঁজে মরিয়া ভারত
৫০ মিনিট- বাঁ দিক থেকে আকাশ মিশ্রের ক্রস ইউসুপভ সেভ করলেও, সেটি পেয়ে যান রাহুল কেপি। তাঁর শট আবার ক্রসবারে ধাক্কা লাগে। বলটি এবার সুনীল ছেত্রির কাছে এসে পড়ে। যিনি গোল লক্ষ্য করে শট নিলেন কার্যকরী হয়নি। উজবেক কিপারকে পরাস্ত করার মতো জোর ছিল না সেই শটে।
প্লেয়ার পরিবর্তন
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই দুই দল পরিবর্তন করেছে। উজবেকিস্তানের নাসরুল্লায়েভের পরিবর্তে নামলেন আবদুররাহমাতভ। ভারতের মনবীরের জায়গায় নামলেন রাহুল কেপি।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু
ভারতের ম্যাচে ফেরার লড়াই বেশ কঠিন হয়ে গিয়েছে। এই ম্যাচ বের করা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়েছে ভারতের জন্য। ভারতের ফুটবল ভক্তরা প্রার্থনা করবেন, আর যেন গোল না খায় দল!
বিরতি
বিরতির আগেই ৩ গোল হজম করে বসে রয়েছে ভারত। হাফ টাইমের আগেই খেলা কার্যত শেষ করে দিয়েছে উজবেকিস্তান। দ্বিতীয়ার্ধে তারা আরও কতটা আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে, সেটাই দেখার!
গোওওওওললল… ৩-০ করে ফেলল উজবেকিস্তান
৪৫+৩ মিনিট- ভারতের গোল করা তো দূরের বিষয়, উল্টো আরও একটি গোল খেয়ে গেল তারা। উজবেকিস্তানের জন্য ডান দিক থেকে একটি ক্রস আসে এবং নাসরুল্লায়েভ তার মার্কার মনবীরকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বল জালের ভিতরে জড়ানোর চেষ্টা করেন। তবে তাঁর শট পোস্টে লেগে ফিরে এলেও ভারত সেটি ক্লেয়ার করার জন্য সেভাবে তৎপর হয়নি। আর ফিরতি বল ধরেই দলের হয়ে তিন নম্বর গোলটি করেন নাসরুল্লায়েভ।
৫ মিনিট ইনজুরি টাইম
৫ মিনিট ইনজুরি টাইম দেওয়া হয়। ভারত কিছুটা আক্রমণে উঠছে। পারবে ব্যবধান কমাতে? নাকি গোল হজম করবেন?
ভারতের প্রথম পজিটিভ আক্রমণ
৪৫ মিনিট- নওরেম মহেশ উজবেকিস্তানের বক্সের প্রান্তে বল পান। কিন্তু তিনি বলের নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি। যাইহোক নওরেম কিছুটা হলেও চেষ্টা করেছেন। তাঁর জন্যই ফ্রি-কিক পেয়েছিল ভারত। তবে উজবেক গোলরক্ষক বল ভালে সেভ করেন। তবে বলটি এসে পড়ে নওরেমের কাছেই। নওরেম ফের শট নিলে ফের সেভ করেন কিপার।
নওরেমের প্রচেষ্টা
৪৩ মিনিট- শেষ পাঁচ মিনিট বা তারও বেশি সময় ধরে ভারত কিছুটা খেলায় ফেরার চেষ্টা করছে। তারা উজবেকদের ফাইনাল থার্ড এবং তার চারপাশে বল নিয়ে মুভ করছে। নওরেম মহেশ ডিফেন্ডারদের ডজ দিয়ে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনি প্রতিহত হন।
ভারতের গোলের সম্ভাবনা যেন বিশ বাও জলে
৩৭ মিনিট- দীর্ঘ সময় সন্দেশ-গুরপ্রীত-রাহুল ভেকে নিজেদের মধ্যে পাস খেলেন। বল কিছুক্ষণের জন্য হলেও ভারতের দখলে আসে। সেই পাস খেলেই ভারত আক্রমণেও ওঠে ভারত। তবে কার্যকরী কোনও ফল হয়নি। উজবেকিস্তানের ডিফেন্স ভাঙতে পারেনি ভারত।
ভারতের ক্ষুদ্র প্রয়াস
২৯ মিনিট- সুনীল ছেত্রী ফ্রিকিক থেকে বক্সের ভিতরে বল ক্রস বাড়িয়েছিলেন, যেটি আকাশ মিশ্র পান। তিনি গোল লক্ষ্য করে হেডও করেছিলেন। কিন্তু তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। তাছাড়াও হেডারে শক্তির অভাব ছিল।
বেহাল টিম ইন্ডিয়া
২৬ মিনিট- উজবেকিস্তান পুরো কাঁদিয়ে ছাড়ছে ভারতকে। ভারতীয় রক্ষণের বুক চিরে ফের বল নিয়ে আক্রমণে ওঠেন ফয়জুল্লায়েভ। ফয়জুল্লায়েভ বাঁ-দিক থেকে নিচু ক্রস বাড়াতে গেলেও কোনও সতীর্থ সেখানে উপস্থিত ছিল ন। তাই এই যাত্রায় রক্ষা পায় ভারত। আকাশ মিশ্র বল ক্লিয়ার করে দেন।
গোওওওওললল… ২-০ করে ফেলল উজবেকিস্তান
১৮ মিনিট- সার্জিভ লিড দ্বিগুণ করলেন! ভারতের রক্ষণের ভুলেই হয় দ্বিতীয় গোল। হুল ভেকে হাফওয়ে লাইনের কাছে অকারণে বলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বসে থাকেম। যার ফলে ফয়জুল্লায়েভ সেই ভুলতে পুঁজি করে বলটি ছিনিয়ে নিয়ে উপরের দিকে উঠতে থাকেন। বক্সের ভিতরে তিনি গোল লক্ষ্যে করে শট নিলে আকাশ মিশ্র বলটি আটকানোর চেষ্টা করেন। তবে আকাশ মিশ্রের স্পর্শে বল ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। বলটি কেউ ক্লেয়ার করতে পারেনি। ভারতীয় ডিফেন্স পুরো বিশৃঙ্খল অবস্থায় ছিল, বরং সেই বল ফলো করে এসে সার্জিভ সহজেই গোলে ঢুকিয়ে দেন। ২-০ এগিয়ে গেল উজবেকিস্তান।
কাঁপছে ভারতের রক্ষণ
১০ মিনিট- ভারতের রক্ষণের উপর যেন উজবেকিস্তানের একের পর এক আক্রমণের ঢেউ আছড়ে পড়ছে। ভারতীয় রক্ষণ একেবারে দিশেহারা হয়ে পড়ছে। টিম ইন্ডিয়া আক্রমণে ওঠার কোনও জায়গাই পাচ্ছে না। উজবেকিস্তানের অধিনায়ক মাশারিপভ ফ্রি-কিক থেকে গোলের জন্য ভালো চেষ্টা করেছিলেন। তবে ভারতের ভাগ্য ভালো, সেই শটটি ক্রসবারে লাগে।
গোওওওওওললললল… ১-০ করে ফেলল উজবেকিস্তান
৪ মিনিট- ম্যাচের একেবারে শুরুতেই উজবেকিস্তানকে ১-০ এগিয়ে দিল ফয়জুল্লায়েভ। ভারতীয় পেনাল্টি এলাকার প্রান্ত থেকে একটি ইনসুইং ক্রস বাড়ান করেন নাসরুল্লায়েভ। ফয়জুল্লায়েভ ভালো জায়গায় ছিলেন। এবং তিনি সেই বল পেয়ে হেডে বল জালে জড়াত কোনও ভুল করেননি তিনি। ভারতীয় রক্ষণ জমাট বাধার আগেই ফালাফালা করে দিচ্ছে উজবেকিস্তান।
খেলা শুরু
ভারতীয় দল তিনটি পরিবর্তন করেছে। ৪-৩-৩ ছকে খেলছে ভারত। এই ম্যাচ ভারতকে জিততেই হবে।
জাতীয় সঙ্গীত হচ্ছে
দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীত হচ্ছে। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই খেলা শুরু হবে। ভারত পারবে উজবেকিস্তানকে হারাতে?
স্টিম্যাচ উবাচ
ইগর স্টিম্যাচ ম্যাচের আগে বলেছেন, ‘আমাদের কাছে এটা বিশাল ম্যাচ। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে দলের ছেলেদের দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে। আশা করি, সেই অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে কাজে লাগবে। এ বার আমাদের সামনে আরও একটা কঠিন ম্যাচ। উজবেকিস্তান ভয়ঙ্কর একটা দল। ওদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সই তা বলে দিচ্ছে। প্রথম মিনিট থেকেই যে ওরা আমাদের চাপে ফেলবে, তা আমরা জানি। সেই চাপ সামলাতে হবে আমাদের। আমাদের ছেলেরা সেই চ্যালেঞ্জ নেওয়ার জন্য তৈরি এবং এই ম্যাচটা নিয়ে উত্তেজিতও বটে। ওরা টেকনিকে যেমন দুর্দান্ত, তেমনই শারীরিক সক্ষমতাতেও। ওদের খেলোয়াড়রা রাশিয়া, ফ্রান্স, গ্রিসের ক্লাব ফুটবলে খেলে। ওদের দলে যেমন অভিজ্ঞতা রয়েছে, তেমনই তারুণ্য আছে। ওদের বিরুদ্ধে আমাদের সঙ্ঘবদ্ধ থাকতে হবে। আমাদের ছেলেদের জানে, কাল মাঠে সমানে নিজেদের মধ্যে কথা বলে বলে খেলতে হবে, ফাইনাল থার্ডে পৌঁছতে হবে ও সুযোগ তৈরি করে তার সদ্ব্যবহার করতে হবে। সাহাল এখনও মাঠে নামার জন্য তৈরি নয়। প্রথম ম্যাচে জনা দুয়েক খেলোয়াড় চোট পেয়েছে। তাই দলে পরিবর্তন করতে হবে।’
স্টিম্যাচের কৌশল
প্রতিপক্ষ হিসেবে অস্ট্রেলিয়া এবং উজবেকিস্তানের মধ্যে তফাৎ অনেক। গত ম্যাচে তিন ব্যাকে খেলেছিল তারা। তবে এই ম্যাচে হয়তো ভারতের খেলার ধরনও ভিন্ন হবে। দলেও যে একাধিক পরিবর্তন হতে পারে, সেই ইঙ্গিতও দিয়ে রেখেছেন কোচ স্টিম্যাচ। গত ম্যাচে তিনি দল সাজিয়েছিলেন ৪-২-৩-১-এ। এই ম্যাচের জন্য কী ছক রয়েছে তাঁর মাথায়, তা ম্যাচ শুরুর আগেই হয়তো বোঝা যাবে। কিন্তু মানসিকতা নিশ্চয়ই আলাদা হবে। গত ম্যাচে সুনীলের পিছনে ছাংতে, সুরেশ সিং এবং মনবীর সিংকে রেখেছিলেন স্টিম্যাচ। যদিও বেশির ভাগ সময়েই তাদের ডিফেন্সিভ ভূমিকাতেই দেখা গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার নওরেম মহেশ সিংকে শুরু থেকে দেখা গেলেও, অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। বাঁ-দিকের উইং দিয়ে উঠে স্ট্রাইকারকে অ্যাসিস্ট করার কাজে তিনি যথেষ্ট পারদর্শী। সেক্ষেত্রে সুরেশকে হয়তো বসতে হতে পারে। গত ম্যাচে খারাপ খেলেননি আপুইয়া বা টাংরি কেউই। তাঁরা হয়তো এই ম্যাচেও শুরু থেকে খেলবেন। কিন্তু অনিরুদ্ধ থাপাকে প্রথম দলে দেখা যাবে কি না, সেটাই প্রশ্ন। নিখিল পূজারি বা শুভাশিস বসুকে বিশ্রাম দিয়ে তাঁকে প্রথম এগারোয় রাখতে পারেন স্টিম্যাচ। আবার শুভাশিসের অভিজ্ঞতার কথা ভেবে তাঁকে রাখতেও পারেন।
ইতিহাস লিখতে হলে, জিততেই হবে ভারতকে
এশিয়ার ফুটবলে যারা ‘সাদা নেকড়ে’ বলে পরিচিত, সেই উজবেকিস্তান ফিফা ক্রমতালিকায় রয়েছে ৬৮ নম্বরে। অর্থাৎ ভারতের চেয়ে ৩৪ ধাপ এগিয়ে তারা। কিন্তু ইতিহাস গড়তে হলে ভারতকে অসাধ্য সাধন করতেই হবে। তাই তাদের সামনে এই ম্যাচে জয় ছাড়া পরের রাউন্ডে ওঠার কোনও স্পষ্ট রাস্তা নেই। ড্র করলে রাস্তাটা কিছুটা কঠিন হয়ে উঠবে। সেক্ষেত্রে সামান্যই আশা বেঁচে থাকবে। কারণ, এই মুহূর্তে ‘বি’ গ্রুপে ভারত রয়েছে সবার শেষে, কোনও পয়েন্ট ছাড়াই। মাঝের দুই দলই গোলের খাতা না খুলতে পারলেও পয়েন্টের খাতা খুলে ফেলেছে। তাই দ্বিতীয় ম্যাচে জিততে না পারলে, ভারতের এই অভিযান প্রায় শেষ হয়ে যাবে।
দুই দলের একাদশ
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ম্য়াচে আত্মবিশ্বাস পেয়েছে ভারত
ফিফা ক্রমতালিকায় অস্ট্রেলিয়ার অবস্থান ২৫ নম্বরে। সেই অস্ট্রেলিয়াকে ম্যাচের ৫০ মিনিট পর্যন্ত গোল করতে না দেওয়া, সারা ম্যাচে তাদের ছ’টির বেশি শট গোলে মারতে না দেওয়া এবং ১৪টি শট ব্লক করার মধ্যে ভারতীয় দল এটা বুঝিয়ে দিয়েছে যে, চাইলে নিজেদের রক্ষণকে ইস্পাত-কঠিন করে তুলতে পারে। অস্ট্রেলিয়া যে দু'টি গোল করেছে, তাতে তাদের কৃতিত্বের ভাগ যতটা ছিল, তার চেয়ে বেশি ছিল ভারতীয় রক্ষণের মুহূর্তের ভুল। গোলকিপার গুরপ্রীত সিং সান্ধু চারটি অবধারিত গোল বাঁচান। সব মিলিয়ে বোঝা গিয়েছে, রক্ষণের দিক থেকে ভারত বেশ ভালো রকম প্রস্তুত হয়েই এশিয়ান কাপে খেলতে এসেছে। কিন্তু টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে ইতিহাস তৈরি করতে গেলে ভারতকে শুধু রক্ষণের শক্তি দেখালে চলবে না। চাই গোল এবং সেই জন্য চাই আক্রমণ বিভাগের তৎপরতা ও সাফল্য। বৃহস্পতিবার গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে উজবেকিস্তানের বিরুদ্ধে সুনীল ছেত্রীদের সেই রূপও দেখাতে হবে। তবে অজি ম্যাচের পর নিঃসন্দেহে বাড়তি আত্মবিশ্বাস অর্জন করেছেন ভারতীয় ফুটবলাররা।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।