লজ্জার ছবি ধরা পড়ল বাংলায়। ৩৬ জন খেলোয়াড়দের জন্য বরাদ্দ করা হল মাত্র ৬ আসন! যেই কারণে বাধ্য হয়ে ট্রেনের মেঝেতে শুয়ে, শৌচাগারের সামনে বসে দীর্ঘ ৩৬ ঘণ্টার যাত্রা করতে হল বাংলার খো খো দলকে। মঙ্গলবার থেকে উত্তরাখণ্ডে শুরু হয়েছে ন্যাশনাল গেমস। সেখানেই বাংলার হয়ে প্রতিনিধত্ব করার জন্য রওনা দিয়েছিল বাংলার ক্রীড়াবিদরা। জাতীয় পর্যায় রাজ্যকে প্রতিনিধিত্ব করতে যাওয়া দলকে শিকার হতে হল চূড়ান্ত অব্যবস্থার। এতটা পথ এরকম কষ্টকর ভাবে কেন যাত্রা করতে হল খেলোয়াড়দের, সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
গত সপ্তাহের শনিবার উত্তরাখণ্ডের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল বাংলার দল। সেখানে উপস্থিত ছিল খো খো দল, মহিলা ফুটবল দল এবং সাঁতারুরা। হাওড়া থেকে ট্রেন ছিল তাদের। বাকিদের ক্ষেত্রে সমস্যা না হলেও চূড়ান্ত অব্যবস্থার শিকার হতে হয় খো খো দলকে। হাওড়া থেকে রাত ১০টার সময় ট্রেনে চাপে তারা। কোনও মতে মাটিতে শুয়ে, শৌচাগারের পাশে বসে সোমবার সকালে কাঠগোদামে গিয়ে ভোগান্তির যাত্রা শেষ হয় তাদের। এরপরেই প্রশ্ন উঠছে, ক্রীড়াবিদরা যদি এরকম অব্যবস্থার সম্মুখীন হয় তাহলে তাদের কাছ থেকে ভালো ফল প্রত্যাশা করাটা কি ন্যায়সঙ্গত হবে?
যদিও পুরো বিষয়টা নিয়ে দায় ঠেলাঠেলি শুরু করেছেন কর্তারা। সাধারণত এই ধরণের প্রতিযোগিতায় দল পাঠানোর ব্যবস্থা করে থাকে বেঙ্গল অলিম্পিক্স অ্যাসোসিয়েশন। জানা যাচ্ছে, কর্তারা সব খেলোড়াদের জন্য টিকিটের ব্যবস্থা করতে পারেননি। যেই কারণে এরকম হয়রানির শিকার হতে হল বাংলার খো খো দলকে। তবে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, এরকম একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতায় দল পাঠানোর ক্ষেত্রে কেন টিকিটের বন্দোবস্ত করা গেল না অ্যাসোসিয়েশনের তরফে। যেখানে রাজ্যের স্বার্থ জড়িয়ে সেখানে কী একটু সদিচ্ছা দেখানো যেত না। এরপরে যদি এই ক্রীড়াবিদরা প্রতিযোগিতায় খারাপ ফল করে তাহলে এর দায় নেবে অ্যাসোসিয়েশন?
উল্লেখ্য, কয়েদিন আগে সন্তোষ ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলার ফুটবল দল। দেশের বুকে রাজ্যের নাম উজ্জ্বল করার জন্য দলের সদস্যদের সরকারি চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকারের ক্রীড়া দপ্তর এও জানিয়েছিল, এবার জাতীয় গেমসে পদক আনলেই চাকরি দেবে সরকার। থাকবে আর্থিক পুরস্কারও। সোনা জয়ীদের দেওয়া হবে ৩ লক্ষ টাকা। রুপো ও ব্রোঞ্জ জয় করলে মিলবে যথাক্রমে ২ লক্ষ ও ১ লক্ষ টাকা। যেখানে মুখ্যমন্ত্রী খেলা নিয়ে এতো সচেষ্ট, সেখানে রাজ্যের খেলোয়াড়দের এরকম অব্যবস্থার মুখে পড়াটা কী মানায়? প্রশ্ন উঠছে, কাদের গাফিলতির মাশুল দিতে হল এই খেলোয়াড়দের।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।