অশ্বিনের লড়াইটা নাকি জাদেজার সঙ্গে নয়, তবে কার সঙ্গে? জানালেন প্রাক্তন কিপার

ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে দল থেকে বাদ দেওয়া নিয়ে বিতর্কের ঝড় বয়ে গিয়েছে। এই সিদ্ধান্তটা সত্যিই অপ্রত্যাশিত ছিল। কারণে দেশের মাটিতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অশ্বিন অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছিলেন। সেখানে দুম করে তাঁকে নাটিংহ্যাম টেস্টের প্রথম একাদশ থেকে বাদ দেওয়ায় হতবাক হয়ে পড়েছিলেন প্রত্যেকে।অথচ জুলাইয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে উইকেট নিয়েছিলেন অশ্বিন। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে নামার আগে সারের হয়ে কাউন্টিও খেলেছিলেন তিনি। সেখানেও দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি ৬ উইকেট নেন। তার পরেও নাটিংহ্যামে তাঁকে প্রথমে একাদশে রাখা হয়নি। বদলে অলরাউন্ডার শার্দুল ঠাকুর এবং রবীন্দ্র জাদেজাকে খেলানো হয়েছে। অশ্বিন ভক্তরা মনে করছেন, জাদেজার জন্যই দলে সুযোগ পাননি বিশ্বের অন্যতম সেরা স্পিনার। জাজেজা প্রথম ইনিংসে মাত্র ৩ ওভার বল করে কোনও উইকেট পাননি। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩ ওভার বল করলেও সাফল্য আসেনি। কিন্তু ব্যাট হাতে অর্ধশতরান করেছেন তিনি। কেএল রাহুল এবং জাদেজার ইনিংসের উপর ভর করেই কিন্তু ভারত তাদের প্রথম ইনিংসে ৯৫রানের লিড নিয়েছিল।ভারতের প্রাক্তন উইকেটকিপার দীপ দাশগুপ্ত মনে করেন, অশ্বিনের প্রথম একাদশে জায়গা করে নেওয়ার লড়াইটা আসলে জাদেজার সঙ্গে নয়। তাঁর আসল লড়াই শার্দুল ঠাকুরের সঙ্গে। নাটিংহ্যাম টেস্টে শার্দুল ৪ উইকেট নিয়েছেন ঠিকই, তবে ব্যাট হাতে চূড়ান্ত ফ্লপ। শূন্য রানে আউট হয়ে গিয়েছিলেন শার্দুল। আর জাদেজার লড়াই হনুমা বিহারীর সঙ্গে।দীপ দাশগুপ্ত বলেছেন, ‘জাদেজা এবং অশ্বিনের মধ্যে প্রতিযোগিতা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন করেন বা জানতে চান। কিন্তু ব্যক্তিগত ভাবে আমি মনে করি, জাদেজা এবং অশ্বিনের মধ্যে লড়াইয়ের থেকেও এটা অনেক বেশি শার্দুল ও অশ্বিনের মধ্যে লড়াই। আমার যতটুকু মনে হয় ৬ নম্বর জায়গার জন্য লড়াইটা অনেক বেশি হনুমা বিহারী এবং জাদেজার মধ্যে রয়েছে।’এর সঙ্গেই তিনি যোগ করেছেন, ‘ভারত যদি দ্বিতীয় টেস্টের দলে কোনও পরিবর্তন করে, তা হলে আমি সত্যিই অবাক হব। ফাস্ট বোলিংয়ের ক্ষেত্রেও ওরা মোট ১৫০ ওভার বল করেছে। এটা একেবারে ঠিক আছে। তা ছাড়া এই টেস্টের আগে এক মাসের ছুটি পেয়েছে দল। যেটা বিশ্রামের জন্য পর্যাপ্ত ছিল।’