চ্যাম্পিয়ন্স লিগজয়ী প্যারিস সেন্ট জার্মেইনকে ধাক্কা দিয়ে দিল বোটাফোগো। নিজেদর দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমেছিল ব্রাজিল এবং ফ্রান্সের এই দুই ক্লাব। আর সেখানেই কিছুটা অপ্রত্যাশিত ফলাফল এল। প্রথমার্ধের শেষদিকে একমাত্র গোলটি করেন ইগর জেসাস। সেই সুবাদেই সাউথ আমেরিকান চ্যাম্পিয়নরা ম্যাচ জিতে নিল। আর এই জয়ের সুবাদেই তাঁরা ১ নম্বরে উঠে গেল নিজেদের গ্রুপের পয়েন্ট তালিকায়। পিএসজি মে মাসের ৩ তারিখ থেকে কোনও ম্যাচেই হারেনি। তবে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নরা রোজ বোলের মাঠে ৫৩,৬৯৯ দর্শকের সামনে কেমন যেন খেই হারিয়ে ফেলল।
ম্যাচের ৩৬ মিনিটে দুরন্ত গোল করেন বোটাফোগোর জেসাস। এটি ছিল মে মাসের ১৭ তারিখের পর পিএসজির খাওয়া প্রথম গোল। গত রবিবার পাসাদেনার মাঠে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল পিএসজি, তাই এমন হার তাঁদের কোচ ফুটবলার কেউই আশা করতে পারেনি। বিশেষ করে নিজেদের শেষ তিন ম্যাচে ১২ গোল করেছিল ফরাসি কাপজয়ীরা, তাই রাফিনহারা এই ম্যাচেও এগিয়ে থেকেই নেমেছিল।
চোটের জন্য এই ম্যাচে খেলতে পারেননি উসমান ডেম্বেলে। যদিও প্রথমার্ধে লুইজ এনরিকের দলের প্রাধান্যই বেশি ছিল, বল পজিশনও ভালো ছিল। কিন্তু কাজে কাজটা করে চলে গেলেন জেসাস। বোটাফোগোর স্ট্রাইকার কার্যত একার দক্ষতাতেই গোল করলেন, আগামী মরশুমে তাঁর যোগ দেওয়ার কথা রয়েছেন নটিংহ্যাম ফরেস্টে। ম্যাচে বোটাফোগো দল চারটি শট নিয়ে চারটিই টার্গেটে রেখেছিল, সেখানে পিএসজি ১৬টি শট নিয়ে মাত্র ২টি টার্গেটে রাখে।
জেফারসনের থেকে বল পেয়ে জেসাস বল কন্ট্রোলে রাখেন, এরপর দুই ডিফেন্ডারকে ডচ করে দুর্দান্ত শটে পিএসজির ইতালিয়ান গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি ডোনারামাকে পরাস্ত করে দলকে এগিয়ে দেন। পরের ম্যাচে বোটাফোগোর প্রতিপক্ষ অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ, সেই ম্যাচেও এমন অসাধারণ পারফরমেন্স তাঁরা জারি রাখতে মরিয়া থাকলেন, আর সিটলের বিপক্ষে নামার আগে পিএসজি চাইবে, নিজেদের আক্রমণ আরও ক্ষুরধার করে নিতে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।