
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
ভারত থেকে পালিয়ে বেড়ানো 'ইসলামের প্রচারক' জাকির নায়েক আবারও সংবাদের শিরোনামে। আবারও বিতর্কিত মন্তব্য করে সকলের নজর কাড়লেন তিনি। এবার ভারতের প্রতিবেশী পাকিস্তানের মাটিতে দাঁড়িয়ে বিশ্বে শান্তি ফেরানোর আজব দাওয়াই দিলেন জাকির! তাঁর দাবি, বিশ্বে যদি শান্তি ফেরাতে হয়, তাহলে সকলকে অবশ্যই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে হবে!
উল্লেখ্য, গত মাসে পাকিস্তানে পৌঁছনোর পর থেকেই একের পর এক ধর্মীয় সভায় অংশ নিচ্ছেন জাকির। জুম্মাবারের অনুষ্ঠানেও বক্তৃতা করছেন তিনি। তেমনই একটি অনুষ্ঠানের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়।
সেই ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, এক ধর্মীয় মঞ্চের 'মধ্যমণি' হয়ে বসে রয়েছেন জাকির নায়েক। সেই সময়ে তাঁকে কিছু প্রশ্ন করেন এক হিন্দু পণ্ডিত, পেশায় অধ্যাপক মনোজ চৌহান।
প্রথমেই ভগবৎ গীতা থেকে সংস্কৃত শ্লোক পাঠ করেন অধ্যাপক চৌহান। তারপর নিজের মাতৃভূমি পাকিস্তানের মঙ্গল কামনা করেন। তারপরই দেশের স্বার্থে, মানবতার স্বার্থে সকলকে ধর্মের নামে হিংসা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার বার্তা দেন অধ্যাপক চৌহান।
এরপরই ধর্মের নামে যেভাবে বিশ্বের নানা প্রান্তে হিংসা ছড়ানো হচ্ছে, তার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মনোজ। সেইসঙ্গে, মনে করিয়ে দেন, সকলেরই সমাজের কল্যাণ সাধনের উদ্দেশ্য়ে নিজের নিজের কর্তব্য পালন করা উচিত।
এরপর ভগবৎ গীতায় শ্রীকৃষ্ণের বাণী উদ্ধৃত করে অধ্যাপক চৌহান বলেন, 'সমাজই হল তোমার কর্মভূমি। তুমি যদি ভালো কাজ কর, তাহলে তোমার সেই ভালো কাজের জন্যই মানুষ তোমাকে চিনবে। তোমার কাজ তোমার কর্ম, আর তোমার কর্মই হল তোমার ধর্ম। মানুষের স্বার্থে কাজ কর। সেটাই হল মোক্ষলাভের উপায়।'
এরই প্রেক্ষিতে অধ্যাপক প্রশ্ন করেন, কেন মানুষকে ধর্মের নামে খুন করা হচ্ছে? কীভাবেই বা এই হত্যালীলা বন্ধ করা সম্ভব?
এরপর, একই ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মঞ্চে এক হিন্দু পণ্ডিতের তোলা এই প্রশ্নের উত্তর দিতে উঠে আবারও নিজের কট্টর মানসিকতার প্রমাণ দেন জাকির নায়েক।
অধ্যাপক চৌহানের তোলা প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, 'এটি একটি খুব ভালো প্রশ্ন। ওঁর প্রশ্ন হল, শান্তি কীভাবে আসবে? এর উত্তর খুবই সোজা এবং তা কোরানেই লেখা রয়েছে। শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রধান চাবিকাঠি হল - সকলকেই ধর্মন্তিরত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করতে হবে। আমরা একই আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করব।'
অধ্যাপক চৌহান এবং জাকির নায়েকের মধ্যেকার এই কথোপকথনের ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এ নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অনেকেই জাকিরের এই মন্তব্যের বিরোধিতা করে তাঁর আচরণ কট্টরপন্থী মনোভাবের প্রমাণ বলে অভিযোগ তুলছেন। কেউ কেউ আবার জাকিরকে সমর্থনও করছেন।
উল্লেখ্য, গত ৩০ সেপ্টেম্বর বিমানে ইসলামাবাদ পৌঁছন জাকির। শোনা যাচ্ছে, করাচি, লাহোর-সহ একাধিক শহরে ইসলামের প্রচারক হিসাবে ধর্মীয় বক্তৃতা করবেন তিনি। আগামী ২৮ অক্টোবর ইসলামাবাদে তাঁর শেষ বক্তৃতা রয়েছে। সূত্রের দাবি, সংশ্লিষ্ট শহরগুলিতে জুম্মাবারের সভাগুলিতেও তিনি ভাষণ দিচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, ভারতীয় নাগরিক জাকির হোসেন বরাবরই তাঁর বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং উগ্র ইসলামপন্থী মন্তব্যের জন্য বিতর্কের কেন্দ্রে থেকেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ঘৃণাভাষণ দেওয়ার পাশাপাশি আর্থিক তছরুপের অভিযোগও রয়েছে। যার জন্য ভারতীয় আইনের প্যাঁচে বিপাকে পড়েন তিনি।
২০১৬ সালে ভারত থেকে মালয়েশিয়া পালিয়ে যান জাকির। তারপরও অবশ্য তাঁর আচরণের কোনও বদল হয়নি।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports