মেঘালয়কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি এবার ত্রিপুরায়।মেঘালয়ে হানিমুনে হাড়হিম করা হত্যাকাণ্ডে শোরগোল পড়ে গিয়েছে দেশজুড়ে। এই আবহে ত্রিপুরায় ত্রিকোণ প্রেমের বলি হয়েছে এক যুবক।এমনকী খুনের পর তিনদিন মৃতদেহ আইসক্রিমের ফ্রিজের মধ্যে রেখে দেওয়া হয়। আর হত্যাকাণ্ডের ‘মাস্টারমাইন্ড’ এক চিকিৎসক। এই ঘটনায় মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। (আরও পড়ুন: হোমস্টেতে 'মঙ্গলসূত্র' ফেলে এসেছিল সোনম রঘুবংশী, তাতেই খটকা লেগেছিল পুলিশের)
আরও পড়ুন: রাজার খুনিদের টাকা দেওয়া হয় জিতেন্দ্র রঘুবংশীর অ্যাকাউন্ট থেকে, কে সেই ব্যক্তি?
গত রবিবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন আগরতলার ইন্দ্রনগরের যুবক শরিফুল ইসলাম। অভিযোগ, ইন্দ্রনগরের বাড়ি থেকে শরিফুলকে গিফট দেওয়ার নাম করে ডেকে নিয়ে যায় মূল অভিযুক্ত ডা. দিবাকর সাহা। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন শরিফুল। পরিবারের তরফে থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ সোমবার দিবাকরকে আটক করে। কয়েক দফা টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর অবশেষে বুধবার ওই চিকিৎসক খুনের কথা স্বীকার করে খুনের কথা।এরপর বুধবার ত্রিপুরার আগরতলা থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে, ধালাই জেলায় গান্দাচেরা মার্কেটে একটি দোকানের আইসক্রিম ফ্রিজারের ভিতর থেকে শরিফুলের দেহ উদ্ধার করা হয়। ট্রলি ব্যাগের মধ্যে ভরা ছিল যুবকের দেহ। সেই ব্যাগ আবার ফ্রিজের ভিতরে ঢুকিয়ে রাখা হয়েছিল। (আরও পড়ুন: রাজকে ঘুঁটি বানিয়ে তৃতীয় কারও সঙ্গে পালানোর ছক ছিল সোনমের? আরও ঘনীভূত রহস্য)
আরও পড়ুন-২০২৯-এ কার্যকর হতে পারে মহিলা সংরক্ষণ আইন! বড় ইঙ্গিত কেন্দ্রের
জানা গিয়েছে, নিহত ওই যুবক পেশায় ইলেকট্রিশিয়ান। আগরতলার স্মার্ট সিটি মিশন প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত। ওই যুবকের সম্পর্ক ছিল নবনীতা দাস নামে এক যুবতীর সঙ্গে। এদিকে ওই যুবতীর আবার আরেকটি সম্পর্ক ছিল দিবাকর সাহার সঙ্গেও। তিনি আবার যুবতীর দূরসম্পর্কের ভাই হয়। ত্রিকোণ প্রেমের জেরেই শরিফুলকে খুন করা হয়।তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, গত ৮ জুন দিবাকর শরিফুলকে খুন করে। এতে মদত দিয়েছিল তাঁর মা-বাবা ও বন্ধু বান্ধব। উপহার দেওয়ার নামেই শরিফুলকে জয়দীপ দাস নামক এক যুবকের বাড়িতে ডেকেছিল দিবাকর। সেখানে উপস্থিত ছিল অনিমেষ যাদব ও নবনীতা দাসও।শরিফুল পৌঁছতেই তার উপরে দিবাকর ও তাঁর দুই বন্ধু মিলে হামলা করে। এরপর শ্বাসরোধ করে শরিফুলকে খুন করে এবং তাঁর দেহ ট্রলি ব্যাগে ভরে। পরের দিন দিবাকরের মা-বাবা এসে ট্রলি ব্যাগটি নিয়ে যান এবং গান্দাচেরা বাজারে একটি দোকানের ফ্রিজারের ভিতরে ব্যাগটি রেখে আসেন। (আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে 'অভূতপূর্ব অংশীদার' পাকিস্তান, দাবি US জেনারেলের)
আরও পড়ুন: ইউনুস যেন 'অচ্ছুৎ', 'চরম অপমান' হজম বাংলাদেশি প্রধান উপদেষ্টার
বিগত কয়েকদিন ধরে নিখোঁজ থাকায় শরিফুলের পরিবার পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিল। পুলিশ তদন্তে নেমে মঙ্গলবার রাতে দিবাকর, তাঁর মা-বাবা, ওই যুবতী সহ মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করে। রাতে তাদের জেরা করার পরই দেহের হদিস মেলে। বুধবার দুপুরে আইসক্রিম ফ্রিজার থেকে শরিফুলের দেহ উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার অভিযুক্তদের আদালতে তোলা হবে। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক প্রমাণ মিলেছে।