চিনের প্রেসিডেন্ট জি জিনপিং নতুন বছরের প্রথম দিনই জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি আমেরিকার সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করার জন্য় তিনি এই উদ্যোগ নিচ্ছেন। স্টেট মিডিয়া জানিয়েছে বিষয়টি।
গত নভেম্বর মাসে সানফ্রান্সিসকোতে চিনের প্রেসিডেন্ট ও আমেরিকার প্রেসিডেন্টের মধ্য়ে দেখা হয়েছিল। এদিকে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ককে উন্নতি করার লক্ষ্যে জি জিনপিং জানিয়েছেন, উভয় পক্ষেরই স্থিতিশীল, স্বাস্থ্যসম্মত ও ধারাবাহিক চিন-মার্কিন সম্পর্ক রক্ষা করার জন্য এগিয়ে আসা দরকার।
জি জিনপিং জোর দিয়ে জানিয়েছেন, আমি প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে কাজ করতে অত্যন্ত আগ্রহী। চিন-মার্কিন সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। এতে চিন ও আমেরিকা, তাদের মানুষদের সুবিধা হবে। গোটা বিশ্ব জুড়ে শান্তি আর উন্নয়নের একটা পরিবেশ তৈরি হবে। স্টেট মিডিয়া সিসিটিভি জানিয়েছে।
জি জিনপিংয়ের সংযোজন, পারস্পরিক শ্রদ্ধা, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, ও পারস্পরিক সহযোগিতা চিন ও আমেরিকার মধ্য়ে সম্পর্কের উন্নতি হবে।
এর আগে গত বছর অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের সমীকরণে নয়া অঙ্কের ইঙ্গিত দিয়ে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং জানিয়েছিলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতা করতে রাজি চিন। যাতে বিশ্ব আঙিনায় থাকা নানান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা যায়, তার জন্য দুই দেশ নিজেদের মধ্যে ফারাক মিটিয়ে ফেলছে, বলেও তিনি মন্তব্য করেছিলেন। উল্লেখ্য, নিউ ইয়র্কে ন্যাশনাল কমিটি অন ইউনাইটেড স্টেটস চায়না রিলেশনসের হেড কোয়ার্টারের নৈশভোজে এক চিঠিতে একথা জানিয়ে বার্তা দিয়েছিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট।
চিঠিতে লেখা ছিল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চিন ‘সঠিক পন্থায়’ হেঁটে একযোগে এমন একটি পর্যায়ে যেতে পারে যে পরিস্থিতি বিশ্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। শি বলছিলেন, দুই দেশের এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অনেকটাই নির্ভর করছে, দুই দেশের পারস্পরিক ‘শ্রদ্ধা, একসঙ্গের সহাবস্থান, লাভজনক সহযোগিতা’র উপর। উল্লেখ্য, চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইর ওয়াশিংটন সফরের আগে আমেরিকাকে নিয়ে চিনের রাষ্ট্রপ্রধানের এই বক্তব্য ছিল বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
নভেম্বরে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের হাইভোল্টেজ বৈঠক ছিল স্যান ফ্রান্সিসকোতে। তার আগে চিনের কূটনীতিকদের মার্কিন সফরও ছিল বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। অ্যাপেক বা এশিয়া পেসিফিক ইকোনমিক কো অপারেশন সামিট এ দুই রাষ্ট্রপ্রধান মুখোমুখি হয়েছিল। তার আগে চিনের রাষ্ট্রপ্রধান মুখ খুলেছিলেন ।