ভারতীয় সংস্কৃতি মেনে স্বামীর মা - বাবা ও তাঁর পরিবারের বয়োঃজ্যেষ্ঠদের সেবা করতেই হবে স্ত্রীকে। এই কারণ দেখিয়ে বিবাহবিচ্ছেদ চাইতে পারেন না স্ত্রী। এক রায়ে এমনই নির্দেশ দিল ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট। এমনকী, ওই মহিলা তাঁর স্বামীর সঙ্গে তাঁর পরিবারের দূরত্ব তৈরির চেষ্টা করছিলেন বলে তাঁকে ভর্ৎসনা করেছে বিচারপতি।
স্বামীর পরিবারের বয়োঃজ্যেষ্ঠদের সেবা করতে তিনি অপারক। একথা জানিয়ে আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেছিলেন ঝাড়খণ্ডের এক মহিলা। সেই মামলায় ২৫ পাতার রায়ে বিচারপতি সুভাষ চাঁদ উল্লেখ করেছেন ভারতীয় সংস্কৃতির কথা। লিখেছেন, বিয়ের পর স্ত্রী - স্বামীর পরিবারের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ য়ে ওঠেন। তাই স্বামীর দায়িত্বের সঙ্গে তাঁর দায়িত্বের কোনও ফারাক নেই। স্বামীর মা - বাবাকে সেবা করা যেমন স্বামীর দায়িত্ব তেমন তাঁরও দায়িত্ব। সেই দায়িত্ব ভারতীয় সংস্কৃতি অনুসারে অস্বীকার করতে পারেন না তিনি। একথা বলে মনুস্মৃতির কথা উল্লেখ করেন বিচারপতি। লেখেন, কোনও পরিবারের বধূ খারাপ হলে পরিবারটি ছারখার হয়ে যায়। স্ত্রীর কাজ স্বামীকে বোঝা ও তাঁর পাশে থাকা।
বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন খারিজ করে আদালত রায়ে জানিয়েছে, ওই মহিলাকে সংসার করতে হবে। এরকম ভাবে বিবাহ বিচ্ছেদ চাওয়া যায় না। তাহলে বিয়ের কোনও মানেই থাকে না। এমনকী মহিলা যে অন্তর্বর্তীকালীন খোরপোশ পাচ্ছিলেন তাও বন্ধ করে দিয়েছে আদালত। তবে সন্তানের দায়িত্ব স্বামীকেই নিতে হবে নির্দেশে স্পষ্ট জানিয়েছে আদালত।
একই সঙ্গে নিজের পরিবারের থেকে স্বামীকে দূরে সরানোর চেষ্টা করায় মহিলাকে তীব্র ভর্ৎসনা করেছেন বিচারপতি।