বুধবার রাতে হায়দরাবাদের শামসাবাদ এলাকায় গণধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে এক মহিলা পশু চিকিতসককে। প্রমাণ লোপের জন্য মৃতদেহটিকে পুুড়িয়ে জলে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। মহিলার পোড়া দেহ শামসাবাদ থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দুরে শাদনগর বলে একটি এলাকায় পাওয়া গিয়েছে।
এই ঘটনার নৃসংশতায় যখন সোশ্যাল মিডিয়া স্তম্ভিত, দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে যখন সোচ্চার আট থেকে আশি, তখনই অসংবেদনশীল মন্তব্য করে বসলেন তেলেঙ্গানার গৃহমন্ত্রী। নির্যাতিত মহিলা কেন পুলিশকে ফোন করেননি সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি। পরে অবশ্য জনগণের চাপে সুর পাল্টেছেন মহম্মদ মাহমুদ আলি। মৃত মহিলা তেলেঙ্গানার মেয়ে, তাঁর মেয়ের মতো, বলে জানিয়েছেন আলি।
এর আগে আলি জানিয়েছিলেন যে আক্রান্ত মহিলা শিক্ষিত হয়েও কেন পুলিশকে না ফোন করে শুধু নিজের বোনকে ফোন করেছিলেন। সময় মতো পুলিশ জানতে পারলে এই অপরাধ ঠেকানো যেতে বলে দাবি রাজ্যের গৃহমন্ত্রীর। তিনি জানিয়েছেন যে ১০০ ডায়াল করলে তিন মিনিটের মধ্যে পুলিশ এসে যেত ঘটনাস্থলে।
শুনশান জায়গায় স্কুটির চাকা পাংচার হয়ে যাওয়ায় নিজের বোনকে ফোন করেন আক্রান্ত মহিলা। তাঁর খুব ভয় করছে বলেও জানান তিনি। তার কিছুক্ষণ পর থেকে মোবাইলে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। পরিবারের অভিযোগ যে পুলিশকে জানানো সত্ত্বেও কোন থানার আওতায় এই কেস, সেই নিয়ে বিবাদের ফলে অনেকটা সময় নষ্ট হয়ে যায়। অপরাধীদের ফাঁসির দাবি করেছেন মৃতার পরিবার। ইতিমধ্যে এই ঘটনা নিয়ে সরকারকে কোণঠাসা করতে ব্যস্ত বিরোধী দলগুলি।