‘ভ্যাকসিনই যখন নেই, তখন তা নেওয়ার ‘বিরক্তিকর’ কলার টিউন কেন পাল্টাচ্ছে না-কেন্দ্র?’ বৃহস্পতিবার ফোনের কলার টিউন নিয়ে কেন্দ্রকে তীব্র ভর্ৎসনা করল দিল্লি হাইকোর্ট।পাশাপাশি করোনা পরীক্ষার পদ্ধতি ও প্রচারের ধরন নিয়ে চলা একটি মামলায় প্রিন্ট, টেলিভিশন ও কলার টিউনের মাধ্যমে করোনা পরিচালনা সংক্রান্ত তথ্য প্রচারের জন্য কেন্দ্র ও দিল্লি সরকার কী পদক্ষেপ নিতে চলেছে, সেই বিষয়ে ১৮ মে’র মধ্যে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।শুক্রবার এই নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি বিপিন সংঘী ও বিচারপতি রেখা পল্লীর ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন মামলা চলাকালীন কেন্দ্রের আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে ডিভিশন বেঞ্চ বলেন, ‘ আপনারা মানু্ষকে টিকা দিচ্ছেন না, অথচ এখনও বলে যাচ্ছেন যে ‘টিকা লগওয়াইয়ে’ (টিকা লাগান)। ‘কহাঁ সে লগওয়ায়েঙ্গে টিকা?’(কেউ কীভাবে টিকা দেবেন) যখন কিছুই নেই! বিচারপতিরা প্রশ্ন তোলেন, এই বার্তার মূল বক্তব্যই বা কী?নিজের পর্যবেক্ষণে ডিভিশন বেঞ্চ আরও বলে, ‘ আপনি যখনই কাউকে ফোন করছেন, তখন ফোনে এই বিরক্তিকর ম্যাসেজটি বাজিয়ে চলেছেন যে, লোকেরা যাতে টিকা নিতে পারে, অথচ আপনার (কেন্দ্রের) কাছে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিনই নেই। আপনাদের এটা প্রত্যেককে দেওয়া উচিত। আপনারা যদি টাকা নিয়ে তা দিতে চান, তাই দিন না। এখন তো শিশুরাও সেটাই বলছে!’ বেঞ্চের আরও মন্তব্য, ‘ সরকারকে এক্ষেত্রে আরও ‘উদ্ভাবনী’ হওয়ার প্রয়োজন।’আদালত আরও বলেছে, ‘ বাস্তব পরিস্থিতি এখন বদলে গিয়েছে। ভাঙা রেকর্ডের মতো শুধু এটা না বাজিয়ে, কেন্দ্রকে আরও নতুন বার্তা প্রস্তুত করা উচিত। সেক্ষেত্রে এটাই জিজ্ঞাস্য যে, যদি এটা টেপের মতো বন্ধ হয়ে যায়, বা স্কিপিং করতে শুরু করে, তাহলে কি আপনি ১০ বছর ধরে এটাই চালাবেন?এরপর বেঞ্চ বলে, ‘ আমরা সারাজীবন এভাবে থাকতে পারি না। আমাদের অবশ্যই ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। যাতে করোনা পরীক্ষার নমুনার ফল দ্রুত আসে, ব্যয় কম হয় তবেই আপনি কিছু নির্দিষ্ট জায়গায় সেটা ব্যবহার করতে পারবেন। আমাদের যা করার শীঘ্রই করা প্রয়োজন। আমরা সময় হারাচ্ছি। কোনটা জরুরি সেই বোধ থাকা উচিত।’ এর পরই প্রিন্ট, টেলিভিশন ও কলার টিউনের মাধ্যমে করোনা পরিচালনা সংক্রান্ত তথ্য প্রচারের জন্য কেন্দ্র ও দিল্লি সরকার কী পদক্ষেপ নিতে চলেছে, সেই বিষয়ে ১৮ মে’র মধ্যে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেয় আদালত।