বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Budget 2024 at a glance: সবথেকে বেশিবার কোন শব্দ বললেন নির্মলা? ৫৮ মিনিটের বাজেট দেখে নিন ৩ মিনিটেই
পরবর্তী খবর
Budget 2024 at a glance: সবথেকে বেশিবার কোন শব্দ বললেন নির্মলা? ৫৮ মিনিটের বাজেট দেখে নিন ৩ মিনিটেই
2 মিনিটে পড়ুন Updated: 01 Feb 2024, 03:29 PM ISTAyan Das
বৃহস্পতিবার একটানা ষষ্ঠবার কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এবার মাত্র ৫৮ মিনিটে অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট পেশ করেছেন তিনি। আর সেই বাজেটের সময় কোন শব্দ বেশিবার ব্যবহার করেছেন, তা দেখে নিন।
'মাত্র' ৫৮ মিনিটের বাজেট ভাষণ। আর কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সেই বাজেট ভাষণে বারবার এল 'ভারত', 'ট্যাক্স', 'কোটি', 'আর্থিক বৃদ্ধি', 'লাখ', 'মানুষ'-র মতো শব্দ। ‘হিন্দুস্তান টাইমস’ গ্রুপের ‘লাইভ মিন্ট’-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার নিজের অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট ভাষণে সবথেকে বেশিবার 'কর' এবং 'মানুষ' শব্দ ব্যবহার করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। প্রত্যাশামতোই বাজেট ভাষণে অনেকবার 'লাখ' এবং 'কোটি' শব্দ ব্যবহার করেছেন। একাধিকবার 'ভারত' বলেছেন। আবার একাধিকবার বলেছেন 'ইন্ডিয়া'। সামান্য এগিয়ে আছে 'ভারত'। তাছাড়াও 'সরকার', 'উন্নয়ন', 'অর্থনীতি'-র শব্দও ব্যবহার করেছেন সীতারামন। যিনি নিজের সংক্ষিপ্ততম বাজেট ভাষণের নজির গড়েছেন। ২০১৯ সালে তাঁর বাজেট ভাষণের স্থায়িত্ব ছিল ১৪০ মিনিট। ২০২০ সালে সেটা বেড়ে ১৬০ মিনিটে ঠেকেছিল। ২০২১ সাল থেকে সেটা কমতে শুরু করেছে। ২০২১ সালে ১০০ মিনিট, ২০২২ সালে ৯১ মিনিট, ২০২৩ সালে ৮৭ মিনিটে বাজেট পেশ করেছিলেন। তবে আগের পাঁচবার পূর্ণাঙ্গ বাজেট ছিল। এবার সেখানে অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট পেশ করেন সীতারামন।
সীতারামনের বাজেট ভাষণের হাইলাইটস
১) পরিকাঠামোয় জোর: দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক উন্নতির জন্য একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। পরিকাঠামো উন্নয়ন, কর সংস্কার, ডিজিটাল পরিকাঠামো বিকাশের উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
২) রাজস্ব ঘাটতি: ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে সংশোধিত রাজস্ব ঘাটতি জিডিপির ৫.৮ শতাংশ হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। যা ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের মধ্যে ৪.৫ শতাংশের নীচে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।
৩) আয়কর সংক্রান্ত ছাড়: আয়কর বোঝা কমানোর উপর জোর দেওয়া হয়েছে। ১৯৬২ সাল থেকে ২০০৯-১০ সাল পর্যন্ত সর্বোচ্চ ২৫,০০০ টাকার আয়কর নোটিশ মকুব করা হচ্ছে। আর ২০১০-১১ সাল থেকে ২০১৪-১৫ সাল পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১০,০০০ টাকার আয়কর নোটিশ মকুব করার ঘোষণা করেছেন সীতারামন। তার ফলে এক কোটি মধ্যবিত্ত মানুষ লাভবান হবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
৪) অপরিবর্তিত আয়কর কাঠামো: নয়া আয়কর কাঠামোর ক্ষেত্রে কয়েকটি ছোটখাটো পরিবর্তনের প্রত্যাশা বাড়লেও সেই পথে হাঁটেননি সীতারামন। তিনি বলেন, 'আমদানি শুল্ক-সহ প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ করের হার একই রাখার প্রস্তাব দিচ্ছি আমি।' সেইসঙ্গে আয়কর আইনের ৮০সি ধারার আওতায় করছাড়ের সীমা বৃদ্ধি, স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের সীমা বৃদ্ধির পথেও হাঁটেননি সীতারামন।
৫) 'বিকশিত ভারত'-র রোডম্যাপ: ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত ভারত গড়ে তোলার লক্ষ্যে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। নয়া আকাঙ্খা, উদ্যম নিয়ে কাজ করার জন্য এই সময়টাকে 'কর্তব্য কাল' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেজন্য আর্থিক উন্নয়ন, পরিকাঠামো জোরদার, পরিবেশের উপর জোর দিয়েছেন নির্মলা।
৬) গবেষণার জন্য ১ লাখ কোটি টাকার অর্থভাণ্ডার: বেসরকারি ক্ষেত্রকে গবেষণার প্রতি উৎসাহিত করার জন্য এক লাখ কোটি টাকার অর্থ ভাণ্ডার তৈরি করা হচ্ছে। ৫০ বছরের জন্য লাগবে না কোনও সুদ।
৭) রেলওয়ে বাজেট: শক্তি, খনিজ ও সিমেট করিডর, বন্দর করিডর এবং ‘হাই ডেনসিটি ট্র্যাফিক’ করিডর - আর্থিক উন্নয়নের জন্য তিনটি রেলওয়ে করিডর তৈরি করা হচ্ছে। ৪০,০০০ সাধারণ রেলের বগিকে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের পর্যায়ে উন্নত করা হবে।
৮) কৃষকদের জন্য বিশেষ ঘোষণা: ন্যানো ডিএপি এবং আত্মনির্ভর তৈলবীজ অভিযানের কর্মসূচি গ্রহণ করা হচ্ছে। মৎস্যচাষের জন্য আলাদা দফতর গঠন করা হবে। দুগ্ধশিল্পের উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
৯) লাখপতি দিদি প্রকল্প: লাখপতি দিদি প্রকল্পে দু'কোটি থেকে তিন কোটির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। ৮৩ লাখ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর উপর বাড়তি নজর দেওয়া হচ্ছে। যে গোষ্ঠীর সঙ্গে নয় কোটি মহিলা যুক্ত আছেন।
১০) 'বিনামূল্যে' বিদ্যুৎ: এক কোটি বাড়িতে সৌর প্যানেল বসানো হবে। সীতারামন জানান, মাসে ৩০০ ইউনিট পর্যন্ত বিনামূল্যে বিদ্যুৎ মিলবে। তার ফলে প্রতি বছর ১৫,০০০-১৮,০০০ টাকা বাঁচবে।
১১) পর্যটনের উপর জোর: গুরুত্বপূর্ণ পর্যটনস্থলে যাতে সার্বিক উন্নয়ন করা যায়, সেজন্য রাজ্য সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করা হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। লাক্ষাদ্বীপ-সহ দেশের বিভিন্ন পর্যটনস্থলে পরিকাঠামো, সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হবে।
১২) নিজের বাড়িতে থাকার প্রকল্প: কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানান,যে মধ্যবিত্ত ব্যক্তিরা ভাড়াবাড়ি বা বস্তি বা অনুমোদনহীন কলোনিতে থাকেন, তাঁরা যাতে নিজের বাড়ি তৈরি করতে পারেন বা কিনতে পারেন, সেজন্য বিশেষ প্রকল্প চালু করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।