কোঅপারেটিভ সোসাইটি ছেড়ে ল্যাবে তৈরি দুধ উৎপাদনে জোর দিলে কৃষকদের কী হবে। সম্প্রতি এমনই প্রশ্ন তুললেন আমুলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আর এস সোধী।পিউপিল ফর এথিক্যাল ট্রিটমেন্ট (পেটা)–এর তরফে আমুলকে একটি চিঠি দেওয়া হয়।চিঠিতে সাম্প্রতিক ট্রেন্ডের কথা তুলে ধরে আমুলকে ডেয়ারি দুধের পরিবর্তে ল্যাবে উৎপাদনকারী দুধ প্রস্তুতের ওপর জোর দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। যদিও এনিয়ে প্রবল আপত্তির কথা জানিয়েছেন সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর। সেই সঙ্গে আমুলের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে অ্যাডভারটাইজিং স্ট্যান্ডার্ড কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া।পেটার চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে তীব্র আপত্তি জানিয়ে আমুলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জানান,‘আমুল যদি ল্যাবে তৈরি দুধ উৎপাদনের ওপর জোর দিতে শুরু করে তাহলে ১০ কোটি দুগ্ধ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত কৃষকদের কী হবে। এই কৃষকদের মধ্যে ৭০ শতাংশই রয়েছেন, যাদের কোনও জমি নেই, তাঁদের কী হবে। তাঁদের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার খরচ কে জোগাবে?’ একইসঙ্গে টুইটে সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর জানান, ল্যাব তৈরি দুধ যদি তৈরিও হয়, তা কেনার মতো ক্ষমতা কজনের আ ছে? কারণ, ল্যাবে যে দুধ উৎপাদন হয়, তা রাসায়নিক ও সিন্থেটিক ভিটামিন দিয়ে তৈরি।তাই এই সব উপকরণ দিয়ে যে দুধ তৈরি হবে, তার দাম স্বাভাবিকভাবেই বেশি। সাধারণ মধ্যবিত্ত শ্রেণির পক্ষে এই ধরনের দুধের কেনা কষ্টকর হয়ে যাবে।মার্কিন পশু অধিকার সংস্থার তরফে সাম্প্রতিক করোনা পরিস্থিতিকেও তুলে ধরা হয়।সংস্থার তরফে দাবি করা হয়, এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ প্রাণীদের দেহ থেকে আসা ভাইরাস ও রোগের সম্পর্কে সচেতন হয়ে উঠছে। এই পরিস্থিতিতে আমুলের উচিত দেশে উৎপাদিত ৪৫ হাজার বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ধরনের পণ্য তৈরি করা। পাশাপাশি ল্যাবে উৎপাদিত পণ্য উৎপাদনের ওপর বেশি জোর দেওয়া। যদিও ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার মতে, বিভিন্ন উদ্ভিদ থেকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় যে দুধ তৈরি হয়, সেটিকে দুধ হিসাবে ধরাই হয় না।আমুলের তরফেও এই বিষয়ে একটি বিজ্ঞাপনও পেশ করা হয় ।সংস্থা সোয়া থেকে যে দুধ উৎপাদন হয়, সেটি আক্ষরিক অর্থে দুধ নয়। এই বিষয়ে অ্যাডভারটাইজিং স্ট্যান্ডার্ড কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়াও আমুলের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। তাদের মতে, আমুলের দুধ পুষ্টিকর।সেইসঙ্গে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন, ফ্যাট, শর্করা ও প্রোটিন যুক্ত।