
Baji
৳7,777 IPL 2025 Sports Bonus
করোনাভাইরাসের প্রকোপ পুরোপুরি কমেনি। তারইমধ্যে কেরালা, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, হিমাচল প্রদেশ-সহ দেশের একাধিক রাজ্যে থাবা বসিয়েছে বার্ড ফ্লু বা অ্যাভিয়েঞ্জা ইনফ্লুয়েঞ্জা। তার ফলে ঝাঁকে ঝাঁকে মৃত্যু হচ্ছে পাখি, মুরগির। মড়ক দেখা দিচ্ছে পাখির।
বাংলায় এখনও সংক্রমণ ধরা না পড়লেও কিছুটা হলেও আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই মুরগির মাংস এবং ডিম বিক্রির হার কমেছে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা। যদিও বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, বার্ড ফ্লু নিয়ে অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। প্রয়োজনীয় সাবধনতা অবলম্বন করলে সংক্রমণের আশঙ্কা এড়ানো যাবে।
বার্ড ফ্লু বা অ্যাভিয়েঞ্জা ইনফ্লুয়েঞ্জা কি?
এক ধরনের ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসঘটিত রোগ। যা সংক্রামক। তার ফলে মূলত মুরগি, পাখিরা সংক্রমিত হয়। ভারতে প্রথম ২০০৪ সালে বার্ড ফ্লু ছড়িয়ে পড়েছিল। তারপর থেকে দেশে ২৪ বার সেই সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এবার ভারতে যা এইচ৫এন১ প্রজাতির ফ্লু ভাইরাস ছড়াচ্ছে। তবে প্রজাতির উপর বার্ড ফ্লু'র প্রকোপ নির্ভর করে। কোনও প্রজাতি একেবারে সামান্য প্রভাব বিস্তার করে। তার জেরে বড়জোর মুরগি কোনও ডিম পাড়তে পারে বা অন্য কোনও সামান্য রোগে আক্রান্ত হতে পারে। কিন্তু কোনও কোনও প্রজাতির মারাত্মক প্রভাব ফেলে। তখন ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি মারা পড়ে।
কীভাবে বার্ড ফ্লু ছড়িয়ে পড়ে?
সংক্রমিত পরিযায়ী পাখি, হাঁসের মতো জলাশয়ের পাখির মল থেকে সেই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। ভারতে মূলত পরিযায়ী পাখির থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে যায়। এবারই যেমন বিশেষজ্ঞদের অনুমান, চলতি মাসের গোড়ার দিকে দেশের পশ্চিম উপকূল দিয়ে ভারতে থাবা বসিয়েছে বার্ড ফ্লু।
মানুষও কি সংক্রমিত হতে পারেন?
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এবার যে প্রজাতির ফ্লু ভাইরাস থাবা বসিয়েছে, তা পাখিদের থেকে মানুষের দেহে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তবে ঝুঁকির মাত্রা ঢের কম। মূলত যাঁরা মুরগির খামারের ব্যবসায় যুক্ত বা যাঁরা সংক্রমিত ও মৃত পাখির সরাসরি সংস্পর্শে আসেন, তাঁদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা বিধি মেনে চললে সংক্রমণ এড়ানো যাবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) মতে, সাধারণত একজন মানুষের শরীর থেকে অপর একজনের শরীরে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে না। সেই সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ।
এবার অ্যাভিয়েঞ্জা ইনফ্লুয়েঞ্জার ফলে ভারতে এখনও পর্যন্ত কোনও মানুষের সংক্রমণ হওয়ার খবর মেলেনি।
মানুষের শরীরে উপসর্গ কী কী?
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সাধারণ ফ্লু'র মতো জ্বর, কাশি, পেশিতে ব্যথা, গলাব্যথা, খাবারে অরুচির মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। তবে গুরুতর সংক্রমণ হলে শ্বাসকষ্ট পর্যন্ত হতে পারে। তা থেকে একাধিক অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে যেতে পারে। বাড়তে পারে কাশি।
মুরগির মাংস বা ডিম খাবেন?
হ্যাঁ। বার্ড ফ্লু'র আতঙ্কে ডিম বা মাংস খাওয়া বন্ধের কোনও প্রয়োজন নেই। নেই কোনও বিধিনিষেধ। শুধুমাত্র রান্নার আগে আলাদা জায়গায় ভালোভাবে কাঁচা মাংস এবং ডিম ধুয়ে নিতে হবে। তারপর তা ভালোভাবে সেদ্ধ করতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, রান্না করা খাবার থেকে বার্ড ফ্লু ছড়ানোর কোনও প্রমাণ নেই। কারণ তাপের ফলে সেই ভাইরাস মরে যায়। তবে আধসেদ্ধ বা হাফ বয়েল ডিম কোনওমতেই খাবেন না।
কীভাবে প্রতিরোধ করবেন?
কয়েকটি বিধিনিষেধ মেনে চললেই বার্ড ফ্লু'র সংক্রমণের ঝুঁকি এড়ানো যাবে। বাড়িতে মাংস বা ডিম ভালোভাবে ধুয়ে নেওয়ার পর সাবান দিয়ে নিজের হাত-মুখ পরিষ্কার করে নিন। যেখানে মাংস বা ডিম ধুচ্ছেন, তার আশপাশে কোনও খাবার জিনিস রাখবেন না। ভালোভাবে মাংস এবং ডিম সেদ্ধ করবেন।
যাঁরা খামারে কাজ করেন বা পাখি নিয়ে কাজ করবেন, তাঁদের বিভিন্ন সুরক্ষা অবলম্বন করতে হবে। কাজের সময় ব্যবহার করতে হবে গ্লাভস, পার্সোনাল প্রোটেক্টিভ ইক্যুপমেন্ট (পিপিই), ফেস শিল্ড এবং পা ঢাকা জুতো। সেই সময় খেতে পারবেন না। ধূমপানও করবেন না। কাজের শেষে সব সরঞ্জাম ও প্রতিরক্ষার যাবতীয় জিনিসপত্র জীবাণুনাশক দিয়ে শুদ্ধিকরণ করতে হবে। সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত-মুখ ধুয়ে নিতে হবে।
৳7,777 IPL 2025 Sports Bonus