শীঘ্রই ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল, ২০২৪-এর সাংবিধানিকতাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করবে কংগ্রেস। শুক্রবার এমনটাই ঘোষণা করলেন জয়রাম রমেশ। এর আগে এই ওয়াকফ সংশোধনীর বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে মামলা করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ডিএমকে। আর আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে জয়রাম রমেশ লেখেন, 'কংগ্রেস খুব শীঘ্রই ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল, ২০২৪-এর সাংবিধানিকতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ জানাবে। আমরা আত্মবিশ্বাসী এবং ভারতের সংবিধানে থাকা নীতি, বিধান এবং অনুশীলনের উপর মোদী সরকারের সমস্ত আক্রমণ প্রতিহত করব।' (আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গে কতগুলি ওয়াকফ সম্পত্তি আছে? কলকাতার কোন সব জায়গার ওপরে দাবি ওয়াকফের?)
আরও পড়ুন: রাজ্যসভাতেও ওয়াকফ সংশোধনী, বিল নিয়ে মুসলিমদের বার্তা দিলেন মোদী স্বয়ং, বললেন...
সরকারের পাশ করা আগের বিলের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের আইনি লড়াই তুলে ধরে জয়রাম রমেশ আরও বলেন, তথ্য জানার অধিকার আইন, ২০০৫-এর ২০১৯ সালের সংশোধনী নিয়ে কংগ্রেসের চ্যালেঞ্জের শুনানি এখনও চলছে সুপ্রিম কোর্টে। নির্বাচন পরিচালনা বিধি (২০২৪)-এর সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে কংগ্রেসের চ্যালেঞ্জের শুনানিও সুপ্রিম কোর্টে চলছে। ১৯৯১ সালের উপাসনাস্থল আইনের অক্ষর ও চেতনাকে সমুন্নত রাখতে কংগ্রেসের হস্তক্ষেপের শুনানিও সুপ্রিম কোর্টে চলছে। (আরও পড়ুন: বিদ্রোহ-অভ্যুত্থানের চেষ্টার মাঝে প্রতিবেশী দেশের সেনা প্রধানের সঙ্গে বৈঠকে মোদী)
আরও পড়ুন: বিধানসভা ভোটের আগে জোর ধাক্কা, ওয়াকফ ইস্যুতে শাসক দল ছাড়লেন ২ নেতা
আরও পড়ুন: দিনহাটায় বিএসএফের গুলিতে নিহত ১ পাচারকারী, উদয়নের 'অন্য দাবি' ঘিরে বিতর্ক
উল্লেখ্য, গতকাল গভীর রাতে রাজ্যসভাতেও পাশ হয় ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল। বৃহস্পতিবার বিলটি পেশ করা হয়েছিল সংসদের উচ্চকক্ষে। সেখানেও প্রায় ১২ ঘণ্টা আলোচনা হয় এই বিলটি নিয়ে। এরপর তা অনুমোদিত হয় রাজ্যসভাতেও। বিলটির পক্ষে ১২৮টি এবং বিপক্ষে ৯৫টি ভোট পড়ে উচ্চকক্ষে। রাত ২টো ৩৪ মিনিটে এই ভোটাভুটির ফল ঘোষিত হয়। উল্লেখ্য, ওয়াকফ সম্পত্তির প্রশাসন ও পরিচালনার উন্নতির লক্ষ্যে মোদী সরকার এই বিলটি এনেছিল বলে দাবি শাসকপক্ষের। এই আবহে গতকাল রাত ১২টা ৫৫ নাগাদ ওয়াকফ সংশোধনী নিয়ে বিতর্কের উপরে জবাবি ভাষণ দেওয়া শুরু করেন সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। তারপর রাত ১টা ১১ মিনিটে রিজিজুর জবাবি ভাষণ শেষ হয়। এরপর উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ধনখড় বিল পাশের বিষয়টি বিবেচনার জন্য ধ্বনিভোটের মাধ্যমে সম্মতি চান। ধ্বনিভোটে সরকার পক্ষকে জয়ী ঘোষণা করেন তিনি। তবে বিপক্ষ ডিভিশনের (ভোটাভুটি) দাবি জানায়। এরপর ভোটাভুটি শুরু হয় রাজ্যসভায়। এই বিলটি পাশ করাতে বিজেপির প্রয়োজন ছিল ১১৯টি ভোটের। তারা সেই সংখ্যা থেকে বেশ কিছুটা বেশি ভোটই পায়। ৩৩ ভোটের ব্যবধানে বিলটি পাশ হয় সংসদের উচ্চকক্ষে।