
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
পড়শি দেশ মায়ানমারে চলছে গৃহযুদ্ধ। সেখানে আবার সম্প্রতি ভয়াবহ এক ভূমিকম্পও হয়। তার মাঝেও সেনা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে বিদ্রোহীদের ওপরে। এদিকে বাংলাদেশ লাগোয়া রাখাইন প্রদেশ হোক কি মিজোরাম-মণিপুর লাগোয়া চিন প্রদেশ, সর্বত্রই গৃহযুদ্ধের আঁচ। এই প্রদেশগুলি প্রায় সামরিক শাসকদের হাত থেকে বেরিয়ে গিয়েছে। এতকিছুর মাঝেই এবার মায়ানমার সেনা প্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের সঙ্গে বৈঠক করলেন নরেন্দ্র মোদী। মায়ানমারের সামরিক শাসকের সঙ্গে বিমসটেক বৈঠকের ফাঁকে একান্ত বৈঠক করেন মোদী। সেই বৈঠকের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করেন মোদী। ভারতের প্রধানমন্ত্রী জানান, যোগাযোগ এবং পরিকাঠামোর মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কথা হয় মায়ানমারের সামরিক শাসকের সঙ্গে। উল্লেখ্য, কলকাতা থেকে উত্তরপূর্ব ভারত, মায়ানমার হয়ে সরাসরি ব্যাঙ্কক পর্যন্ত একটি রাস্তা তৈরি হচ্ছে। তবে মায়ানমারে গৃহযুদ্ধের জেরে সেই রাস্তার কাজ আটকে আছে। (আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গে কতগুলি ওয়াকফ সম্পত্তি আছে? কলকাতার কোন সব জায়গার ওপরে দাবি ওয়াকফের?)
আরও পড়ুন: ইউনুসের উস্কানির পর উত্তরপূর্ব ভারত নিয়ে মুখ খুললেন খোদ মোদী, ভারতের PM বললেন…
বৈঠক প্রসঙ্গে মোদী নিজের সোশ্যাল মিডিয়া বার্তায় লেখেন, 'ব্যাঙ্ককে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে মায়ানমারের সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং-এর সঙ্গে দেখা করলাম। সাম্প্রতিক ভূমিকম্পে প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির জন্য আবারও শোক প্রকাশ করেছি তাঁর কাছে। এই সংকটময় সময়ে আমাদের মায়ানমারের ভাই ও বোনদের সাহায্য করার জন্য যা যা করা সম্ভব ভারত করছে। আমরা ভারত ও মায়ানমারের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়েও আলোচনা করেছি, বিশেষ করে সংযোগ, সক্ষমতা বৃদ্ধি, পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং আরও অনেক ক্ষেত্র নিয়ে কথা হয়েছে।' (আরও পড়ুন: দিনহাটায় বিএসএফের গুলিতে নিহত ১ পাচারকারী, উদয়নের 'অন্য দাবি' ঘিরে বিতর্ক)
আরও পড়ুন: রাজ্যসভাতেও ওয়াকফ সংশোধনী, বিল নিয়ে মুসলিমদের বার্তা দিলেন মোদী স্বয়ং, বললেন...
উল্লেখ্য, কয়েকদিন ধরেই ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠছে বাংলাদেশ লাগোয়া মায়নমারের রাখাইন প্রদেশ। এই আবহে আরাকান আর্মি ফের তৎপর হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে মায়ানমারের গৃহযুদ্ধের আবহে বাংলাদেশ সীমান্তে মাঝেমাঝেই বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনা গিয়েছিল। এদিকে সীমান্তের ওপারের অশান্তির আঁচ এসে পড়ছে বাংলাদেশেও। এদিকে সম্প্রতি বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দাবি করেছিলেন, মায়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্তের নিয়ন্ত্রণে আছে তারা। রিপোর্ট অনুযায়ী, মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশের প্রায় পুরোটাই দখল করে নিয়েছে আরাকান আর্মি। (আরও পড়ুন: বন্ধুদের খেপিয়েছেন ট্রাম্প, USA-র বিরুদ্ধে পদক্ষেপ কানাডার, বড় ঘোষণা ম্যাক্রোঁর)
আরও পড়ুন: শুল্ক ছুরিতে রক্তাক্ত US শেয়ার বাজার, কেন নাসডাক পড়ল ৬%, ডাও জোনস ১৬৭৯ পয়েন্ট?
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে রাখাইনে জুন্তা বাহিনীর ঘাঁটি নিশানা করে হামলা শুরু করেছিল আরাকান আর্মি। এই আবহে রাখাইন প্রদেশের ১৭টি শহরের মধ্যে ১২টিরই দখল নিয়েছে আরাকান আর্মি। এদিকে মায়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যকার ২৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত আছে। এর আগে মংডু শহর দখলের সঙ্গে সঙ্গেই সেই ২৭০ কিলোমিটারের পুরোটাই দখলে চলে গিয়েছে আরাকান আর্মির। বর্তমানে রাখাইন প্রদেশের সিত্তে শহরটি জুন্তার দখলে রয়েছে। তবে প্রদেশের অধিকাংশ এলাকার ওপরই জুন্তার কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। তবে আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রিত এলাকায় মাঝে মধ্যেই এয়ারস্ট্রাইক করছে জুন্তা। (আরও পড়ুন: বিধানসভা ভোটের আগে জোর ধাক্কা, ওয়াকফ ইস্যুতে শাসক দল ছাড়লেন ২ নেতা)
এদিকে প্রতিবেশী মায়ানমারের দুটি বিরোধী গণতন্ত্রপন্থী বিদ্রোহী গোষ্ঠী 'এক' হয়েছে ভারতের মধ্যস্থতায়। জানা যায়, মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী লালদুহোমার উপস্থিতিতে চিনল্যান্ড কাউন্সিল (সিসি) এবং অন্তর্বর্তী চিন ন্যাশনাল কনসালটেটিভ কাউন্সিল (আইসিএনসিসি)-এর মধ্যে একীকরণ চুক্তি হয়েছিল গত ২৬ ফেব্রুয়ারি। এই দুই গোষ্ঠী মায়ানমারের সেনাবাহিনীর সাথে লড়াইয়ে লিপ্ত আছে। এদিকে সংযুক্তিকরণ অনুষ্ঠানের সময় চিন ন্যাশনাল আর্মি এবং চিন ব্রাদারহুড উভয় গ্রুপের সশস্ত্র শাখার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। গোষ্ঠীগুলির সদস্যরা এবং মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছিল। এক হয়ে যাওয়ার পরে দুটি গ্রুপ 'চিন ন্যাশনাল কাউন্সিল' নামে একটি একক গভর্নিং বডি গঠন করেছে এই গোষ্ঠী। শীঘ্রই মায়ানমারের সমগ্র চিন রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ নিতে সম্মত হয়েছে তারা। মিজোরামের বিধানসভার সদস্য এবং মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা লালমুয়ানপুইয়া পুন্টে এইচটি-কে বলেছিলেন যে বিদেশ মন্ত্রকের নির্দেশে মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী চিন সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলির উপদলগুলিকে একত্রিত করার চেষ্টা করেছিলেন।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports