৩০ ডিসেম্বর ভার্চুয়াল মাধ্যমে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একাধিক স্টেশনে সেই ট্রেনকে দেখে কার্যত হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। সেলফি তোলার জন্য হুড়োহুড়ি কম হয়নি। তবে এরপর আমজনতার মধ্যে একটা চর্চা ক্রমেই শুরু হতে থাকে। বাইরে থেকে তো ঝা চকচকে বন্দে ভারত। কিন্তু ঠিক কতটা সঠিক সময়ে চলবে বন্দে ভারত?তবে সাধারণ যাত্রীদের জন্য ফার্স্ট রাইডে উতরে গেল বন্দে ভারত। বলা যায় কার্যত অগ্নিপরীক্ষা ছিল বন্দে ভারতের। আর সেই অগ্নিপরীক্ষায় একেবারে সফলতার সঙ্গে পাশ করে গেল দেশের অন্য়তম প্রিমিয়াম ট্রেন।রবিবার বছরের প্রথম দিনে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ঠিক ভোর ৫টা বেজে ৫৫ মিনিটে পূর্ব নির্ধারিত সূচি মেনে হাওড়া স্টেশন থেকে ছাড়ে। একেবারে রাজকীয় ট্রেন। ঝকঝকে ট্রেন। প্রথমবার চড়ার অভিজ্ঞতা। সব মিলিয়ে উৎসাহের কোনও খামতি ছিল না। সামনে প্রশস্ত জানালা। আরামদায়ক সিট। আর তার সঙ্গে সেমি হাই স্পিড ট্রেন। একেবারে যুগলবন্দি। ট্রেনের প্রতিটি কোচই কার্যত ভর্তি ছিল এদিন। সূত্রের খবর আগামী তিনদিনও বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সিট ভর্তিই থাকবে। তবে তারপর থেকে অবশ্য এখনও বুকিং সম্পূর্ণ হয়নি। তবে কি ভাড়া একটু বেশি হওয়ার জন্য বন্দে ভারতের জনপ্রিয়তা ধীরে ধীরে কমে যাবে?তবে প্রথম দিনে কতটা সঠিক সময়ে বন্দে ভারত চলবে তা নিয়ে আগ্রহ ছিল অনেকের মধ্য়েই। অনেকেই বলছিলেন বাংলার রেলরুটে ট্রেন কি আদৌ রাইট টাইমে চলতে পারবে? তবে যাবতীয় জল্পনাকে উড়িয়ে দিয়ে এক্কেবারে সঠিক সময়ে ট্রেন পৌঁছায় এনজেপি। রবিবার বছরের প্রথম দিনে দুপুর ১টা বেজে ২৬ মিনিটে সাদা রঙের ঝকঝকে রাজকীয় ট্রেন ঢোকে নিউ জলপাইগুড়িতে। স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীদের একটাই কথা, চোখ ফেরানো যাচ্ছে না। স্টেশনে যেন বিমান এসে গেল! আর যাত্রীদের অনেকেরই বন্দে ভারত চেপে যেন বিমান চড়ার অভিজ্ঞতা হল এদিন।এদিন ১ নম্বর প্লাটফর্মে ১ মিনিট দেরিতে ঢোকে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। তবে বন্দে ভারত থেকে নামতে মন চায়নি অনেকেরই। ট্রেনের মেনু নিয়েও উচ্ছসিত সাধারণ যাত্রীরা। অনেকে দার্জিলিংয়ে বেড়াতে আসার জন্য এই ট্রেনটিতে চেপেছিলেন। তাদের কাছে একেবারে অন্যরকম অভিজ্ঞতা। একে তো পাহাড় দেখার জন্য় চরম রোমাঞ্চ,তার উপর বন্দে ভারতে চড়ার আনন্দ। এককথায় একেবারে ডবল আনন্দ। সবথেকে খুশি খুদে যাত্রীরা। বন্দে ভারত চেপে সবথেকে উচ্ছসিত তারাই। খুশি তাদের অভিভাবকরাও।