করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়া চিঠি লিখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। চিঠিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী স্পষ্টত জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আরও বেশি তৎপর হতে হবে প্রশাসনকে। জেলাস্তরে যাতে স্বাস্থ্য কর্মীর সংখ্যা বাড়ানো যায়, সে বিষয়ে প্রশাসনকে জোর দিতে হবে।তবে তিনি সরকারের বিনামূল্যে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, সরকার যদি বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে তা খুবই মানবিক সিদ্ধান্তই হবে। তবে এই বিষয়ে স্বচ্ছতা থাকা প্রয়োজন।একইসঙ্গে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর আবেদন, ভাইরাস রাজনৈতিক দলাদলি বোঝে না। তাই এই সময়ে একসঙ্গে লড়াই করা প্রয়োজন। চিঠিতে করোনা পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জানান, গত ডিসেম্বর থেকে এপ্রিলের মধ্যে করোনা চিকিৎসার জন্য আলাদা হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সংখ্যা ছয় শতাংশ কমেছে। সরকারি, বেসরকারি দুই ক্ষেত্রেই এই বিষয়টি দেখা গিয়েছে। অথচ করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসতে পারে, সেটা আশঙ্কা করে হাসপাতালে বেড সংখ্যা আরও বাড়ানোর দরকার ছিল। চিঠিতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় এখন শুধু বড় শহরের উপরেই জোর দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু শুধু বড় শহরেই নয়, ছোটো শহর ও গ্রামে গঞ্জের ওপরও নজর দিতে হবে।সেখানকার অবস্থাও খারাপ। এদিন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পরামর্শ দেন, সারাদেশে ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়াকে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে দ্রুত শেষ করতে হবে। এ বিষয়ে এলাকার জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। তাদেরকে দায়িত্ব নিতে হবে এলাকায় ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ দ্রুত গতিতে শেষ করানোর ব্যাপারে। একইসঙ্গে শুধু বড়দের জন্যই ভ্যাকসিন দেওয়া নয়, ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সিদের যাতে ভ্যাকসিন দেওয়া যায়, সেজন্য ট্রায়াল প্রক্রিয়া শুরু করা প্রয়োজন। পাশাপাশি যে সব করোনা যোদ্ধা এই সময় কঠিন পরিস্থিতিতে মারা যাচ্ছেন, তাঁদের পরিবারের একজনকে সরকারি চাকরি দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে যে সব অন্তঃস্বত্ত্বা মহিলারা সরকারি চাকরি করছেন, তাদের সবেতন তিন মাস ছুটির দেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, এই পরিস্থিতিতে সব রাজ্য সরকারের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া আরো মজবুত হওয়া প্রয়োজন।সব রাজ্য সরকারের থেকেই একজন মন্ত্রীকে দায়িত্ব দেওয়া উচিত যিনি রাজ্য সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন ও সহযোগিতা চাইবেন। পাশাপাশি বিরোধী দলের নেতাদেরও যাদের এই বিষয়ে প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা আছে, তাদেরও সামিল করা প্রয়োজন।