গত ৫ ফেব্রুয়ারির রাতে ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছিলেন যে আমেরিকা গাজা 'দখল' করবে। এই আবহে চর্চা শুরু হয় গটা বিশ্বে। আরব বিশ্বে শোরগোল পড়ে যায়। এরই মাঝে ট্রাম্পের বক্তব্য নিয়ে মুখ খুললেন মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট মার্কো রুবিও এবং হোয়াটই হাউজের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট। ডমিনিক রিপাবলিকে সফরকালীন মার্কো রুবিও এই নিয়ে দাবি করেন, গাজার প্যালেস্তিনীয়দের পুনর্বাসনের বিষয়টি অন্তর্বর্তী ভাবে হতে পারে। এদিকে লেভিট আবার বলেছেন, দীর্ঘ মেয়াদে এই অঞ্চলের উন্ননের পরিকল্পনাকে ট্রাম্প খুবই গুরুত্ব দিচ্ছেন। প্রেসিডেন্ট এটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে গাজার বাসিন্দাদের সেখান থেকে কিছু দিনের জন্যে সরাতে হবে। (আরও পড়ুন: ‘সরকার এ ধরনের কর্মকাণ্ড…’ জ্বলছে বাংলাদেশ, গভীর রাতে 'ঘুম ভাঙল' ইউনুসের)
আরও পড়ুন: ২ বছর পর রেপো রেট নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত RBI-এর, কমতে পারে EMI-এর বোঝা
এর আগে ৫ ফেব্রুয়ারি ট্রাম্প বলেছিলেন, 'আমরা আশা করি এমন কিছু করতে পারব যাতে প্যালেস্তিনীয়রা গাজায় আর না ফিরে যেতে চাইবে না। আমরা যদি এই মানুষদের ভালো জায়গায় পুনর্বাসন করে দিতে পারে, স্থায়ীভাবে... সুন্দর বাড়ি থাকবে। তারা সেখানে খুশি থাকবে। এবং সেখানে তাদের কেউ হুলি করবে না, ছুরি মেরে খুন করবে না। যা এখন গাজায় চলছে...' এদিকে ট্রাম্পকে মার্কিন সেনা পাঠানোর বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছিলেন, 'আমরা যা প্রয়োজন তা করব।' এই বিষয়ে আবার হোয়াইট হাউজ প্রেস সচিবকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'প্রেসিডেন্ট গাজায় সেনা পাঠানোর বিষয়ে বদ্ধপরিকর নন। তিনি সেনা পাঠাবেন বলে বলেননি।' অবশ্য আজ একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ট্রাম্প জানিয়েছেন যে গাজায় আমেরিকার সেনা পাঠাতে হবে না। ইজরায়েলই সেই জমি আমেরিকার হাতে তুলে দেবে। তবে প্রশ্ন উঠেছে, ট্রাম্প কি গাজার বাসিন্দাদের স্থায়ী ভাবে সেখান থেকে সরানোর কথা বলছেন? (আরও পড়ুন: ভারতে ফেরা অবৈধবাসীদের ৩৩ জন গুজরাটি, সরকারি গাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হল বাড়িতে)
আরও পড়ুন: রতন টাটার উইলে সম্পত্তির ৫০০ কোটি পাবেন মোহিনী মোহন দত্ত, কী সম্পর্ক ছিল দু'জনের
এই নিয়ে মার্কো রুবিও সম্প্রতি বলেন, 'যা হবে অন্তর্বর্তী ভাবে হবে। নিশ্চিত ভাবে যখন একটা জায়গা তৈরি করা হচ্ছে, তখন সেখানকার মানুষ অন্য কোথায় থাকবেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ও এমনটাই হয়। ট্রাম্প যেটা বলেছেন, সেটা হল... আমেরিকা সেখানে গিয়ে ধ্বংসস্তূপ সরাতে সাহায্য করতে পারবে। সেখানে পুননির্মাণে সাহায্য করতে পারবে।'
এদিকে আজ এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ডোনাল্ড ট্রাম্প লেখেন, 'যুদ্ধ শেষে আমেরিকার হাতে গাজা ভূখণ্ড তুলে দেবে ইজরায়েল। প্যালেস্তিনীয় এবং চাক শুমারদের (মার্কিন সেনেটে মাইনরিটি লিডার, ডেমোক্র্যাট) মতো মানুষরা ইতিমধ্যেই নিরাপদ এবং সুন্দর সমাজে বসবাস শুরু করে দিয়েছে। তাদের এখন অত্যাধুনিক বাড়িঘর আছে। তারা সুখে, শান্তিতে আছে, স্বাধীন আছে।' এরপর ট্রাম্প আরও লেখেন, 'বড় বড় উন্নয়নমূলক কাজ করা দলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ধীরে ধীরে গাজায় নির্মাণকাজ শুরু করবে আমেরিকা। এটা বিশ্বের সবচেয়ে বড় উন্নয়নমূলক প্রকল্প হবে। এতে আমেরিকার কোনও সেনা জওয়ানের প্রয়োজন পড়বে না। এতে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে।'