মার্কিন মুলুকে বৈধ ভাবে কাজ করার জন্যে অভিবাসনের জন্যে ব্যবহৃত সিবিপি ওয়ান অ্যাপ বন্ধ করল ট্রাম্প প্রশাসন। ডোনাল্ড ট্রাম্প আগেই ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পরে 'আমেরিকা দখল' বন্ধ করবেন। এরই সঙ্গে অভিবাসন ইস্যুতে আরও কঠোর হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি। সেই মত ২০ জানুয়ারি শপথ গ্রহণের পরই একাধিক নির্বাহী অর্ডারে সই করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরই সঙ্গে বন্ধ হয়ে যায় সিবিপি ওয়ান অ্যাপ। এদিকে অপর এক নির্দেশের মাধ্যমে জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিকত্বের অধিকারও বাতিল করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। (আরও পড়ুন: মার্কিন মুলুকে বাতিল জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের অধিকার, কবে থেকে কার্যকর অর্ডার?)
আরও পড়ুন: উঠে গেল নিষেধাজ্ঞা, টিকটককে ৭৫ দিনের লাইফলাইন দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
২০ জানুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পরপরই 'কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন'-এর ওয়েবসাইটে জানানো হয়, সিবিপি ওয়ান অ্যাপ বন্ধ রা হয়েছে। এই অ্যাপের মাধ্যমে এতদিন পরিযায়ীদের বৈধ ভাবে আমেরিকায় প্রবেশ করার অনুমতি দেওয়া হত। এই অ্যাপের মাধ্যমে আমেরিকায় কাজ করতে চেয়ে আসতে চাওয়া অভিবাসীরা অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে পারতেন। আমেরিকার দক্ষিণপশ্চিমে আটটি সীমান্তে এই অ্যাপের মাধ্যমে অভিবাসীরা মার্কিন মুলুকে প্রবেশ করতে পারতেন। তবে সেটা আর করা যাবে না। এদিকে 'কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন'-এর দ্বারা প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, যে সকল অভিবাসী প্রত্যাশীদের আগে থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্টের দিন নির্ধারিত ছিল, তাও বাতিল করা হয়েছে। অর্থাৎ, ২০ জানুয়ারির পরে যাঁদের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নির্ধারিত ছিল, তাঁরা আর মার্কিন মুলুকে প্রবেশের ছাড়পত্র পাবেন না। সিবিপি ওয়ান অ্যাপ বন্ধ হওয়ার জেরে বিপাকে পড়েছেন অনেকেই। (আরও পড়ুন: রাখলেন কথা, ক্যাপিটল হিল দাঙ্গায় জড়িত ১৫০০ জনকে ক্ষমা করলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প)
আরও পড়ুন: 'দুই দেশের মধ্যে গন্ডগোল বাধিয়ে...', বাংলাদেশ সীমান্ত নিয়ে বিস্ফোরক মমতা
আরও পড়ুন: চিন্ময় প্রভুর জামিন মামলার উঠল না বাংলাদেশ হাইকোর্টে, এরপরে কবে হতে পারে শুনানি?
এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসনবিরোধী কঠোর পদক্ষেপের জেরে সেই দেশে শরণার্থী হিসেবে থাকা অনেক মানুষের বসাবসের অনুমতি বাতিল হয়েছে। এদিকে মেক্সিকো সীমান্তে সোমবার জাতীয় জরুরি অবস্থা জারি করেছেন ট্রাম্প। এরই সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন, অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ বন্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মধ্য আমেরিকা থেকে আসা অভিবাসীদের ঢেউ থামাতে মেক্সিকোর ওপর প্রচণ্ড চাপ প্রয়োগ করতে শুল্ককেও হাতিয়ার করেছেন ট্রাম্প। এর আগে ২০১৭ থেকে ২০২১ পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট থাকাকীলনও তিনি এই অভিবাসন বিরোধী নীতিই গ্রহণ করেছিলেন। এবং গতকাল দ্বিতীয়বার মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর অবিলম্বে ‘রিমেইন ইন মেক্সিকো’ নীতি পুনর্বহাল করেন তিনি।