এবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)-র মাধ্যমে প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র সংগঠন হামাসকে সমর্থনকারী বিদেশি পড়ুয়াদের ভিসা বাতিলের পরিকল্পনা করছে মার্কিন বিদেশ দফতর। বিদেশ দফতরের সিনিয়র কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে অ্যাক্সিওস। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এআই-চালিত ‘ক্যাচ অ্যান্ড রিভোক’ প্রচেষ্টায় হাজার হাজার পড়ুয়া ভিসাধারীদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট এই এআই-সহায়তা পর্যালোচনা অন্তর্ভুক্ত থাকবে। মার্কিন বিদেশ মন্ত্রী মার্কো রুবিও এ পদক্ষেপ নিয়েছেন। (আরও পড়ুন: প্যালেস্তাইনে বন্দি ১০ ভারতীয়কে উদ্ধার করল ইজরায়েল, কেন আটকে রাখা হয়েছিল তাদের?)
রুবিও পরে এক্স পোস্টে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ ‘সন্ত্রাসী’ সংগঠনগুলির সমর্থনকারীদের নিন্দা জানানো হয়েছে।রুবিও লিখেছেন, ‘যারা হামাস-সহ অন্যান্য সংগঠনগুলিকে সমর্থন করে তারা আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। সন্ত্রাসবাদীদের সমর্থনকারী বিদেশি পড়ুয়াদের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জিরো সহনশীলতা পোষণ করে। আন্তর্জাতিক পড়ুয়া-সহ মার্কিন আইন লঙ্ঘনকারীদের ভিসা প্রত্যাখ্যান বা প্রত্যাহার এবং নির্বাসনের মুখোমুখি হতে হবে।’অ্যাক্সিওসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ‘বিশেষ করে সন্ত্রাসবাদীদের প্রতি সহানুভূতির প্রমাণ অনুসন্ধান’ করার জন্য করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলি পর্যালোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। এছাড়াও কর্মকর্তারা ‘অভ্যন্তরীণ ডাটাবেস’ পরীক্ষা করে দেখবেন যে ‘বাইডেন প্রশাসনের সময় কোনও ভিসাধারীকে গ্রেফতার করার পরেও দেশে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল কিনা। (আরও পড়ুন: ডিএ নিয়ে 'বাজে খবর' অপেক্ষা করছে সরকারি কর্মীদের জন্যে? বড় আপডেট রিপোর্টে)
আরও পড়ুন: PCB সভাপতিকে নিয়ে লাহোরে প্রভু রামের পুত্র লবের সমাধিতে BCCI সহসভাপতি! দেখুন ছবি
আরও পড়ুন: চলতি বছরে ১০.২ বিলিয়ন হারিয়েও ধনকুবেরদের তালিকায় ২১-এ আদানি, আম্বানির হাল কী?
গত জানুয়ারিতেই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যে সব বিদেশি পড়ুয়া গাজায় ইজরায়েলের হামলার পরে প্যালেস্টাইনিদের পক্ষে বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে। এ বিষয়ে একটি নির্বাহী আদেশে সই করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাহী আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন ইজরায়লিদের বিরুদ্ধে হুমকি, অগ্নিকাণ্ড, ভাঙচুরের জন্য কঠোর শাস্তি দেওয়ার পদক্ষেপ নিতে পারবে ট্রাম্প সরকার। এরই মধ্যে তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে বিচার বিভাগকে নির্দেশনাও দেওয়া হয়ছিল।সে সময় বিদেশি পড়ুয়াদের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘আপনারা যাঁরা আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন, আমরা আপনাদের নজরদারিতে রেখেছি। আপনাদের খুঁজে বের করব এবং নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠাব। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হামাসের প্রতি সহানুভূতি দেখানো সব বিদেশি পড়ুয়াদের ভিসা দ্রুত বাতিল করা হবে।’