কৃষিক্ষেত্রে বিরাট বড় পদক্ষেপ করল কেন্দ্র। প্রাকৃতিক উপায়ে কৃষিকাজের উপর জোর দিতে কেন্দ্রের তরফে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হল। দেশব্যাপী এর প্রচারের জন্য জাতীয় প্রকল্প ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। এর জন্য ২ হাজার ৪৮১ কোটি টাকা বরাদ্দ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রায় ১ কোটি কৃষকদের মধ্যে প্রাকৃতিক উপায়ে চাষের বিষয়ে প্রচার করা হবে। এর ফলে কৃষকদের চাষে যেমন খরচ কমবে তেমনি রাসায়নিক মুক্ত টাটকা খাবার পাওয়া যাবে। ফলে কৃষকদের পাশাপাশি উপকৃত হবেন ক্রেতারা।
আরও পড়ুন: চাষিদের থেকে কৃষকবন্ধু হাতিয়ে ধান বিক্রি করছে ফড়েরা, অভিযোগ তুলল তৃণমূল
সোমবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়েছে সেখানে এই প্রকল্পের সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠক শেষে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, ‘মাটির গুণমান উন্নত করা এবং রাসায়নিক মুক্ত খাবার দিয়ে মানুষের স্বাস্থ্য বজায় রাখা দরকার ...। প্রাকৃতিক চাষের জাতীয় মিশন একটি দারুণ সিদ্ধান্ত। এই প্রকল্প অনুযায়ী, কৃষকরা সহজ সরল পদ্ধতিতে চাষ করতে পারবেন এবং প্রাকৃতিক উপায়ে কৃষিপণ্য বাজারে যাতে অগ্রাধিকার পায় তারজন্য ডেডিকেটেড কমন ব্র্যান্ডিং প্রদান করা হবে কৃষকদের। এছাড়াও একটি অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে এই প্রকল্পের বাস্তবায়নের রিয়েল টাইম জিও ট্যাগ করা হবে।’তিনি জানান, কৃষকরা তাদের পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত ঐতিহ্যগত জ্ঞানের ভিত্তিতে চাষ করবেন। এই চাষবাস হল পশুসম্পদ সমন্বিত প্রাকৃতিক চাষ পদ্ধতি।
কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী দুই বছরে মিশনটি গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে ১৫,০০০ ক্লাস্টারে বাস্তবায়িত করা হবে। এক কোটি কৃষকের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে এই প্রাকৃতিক চাষের ধারণা। তারফলে ৭.৫ লক্ষ হেক্টর এলাকায় প্রাকৃতিক উপায়ে চাষ করা যাবে বলে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, বর্তমানে ভারতে প্রায় ১০ লাখ হেক্টর প্রাকৃতিক উপায়ে চাষ করা হয়। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে প্রাকৃতিক উপায়ে চাষের জন্য প্রাথমিক কৃষি ঋণ সমিতি এবং কৃষক উৎপাদক সংস্থাগুলিকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। মিশনের অধীনে, ১০ হাজারটি বায়ো-ইনপুট রিসোর্স সেন্টারও স্থাপন করা হবে। সেখান থেকে কৃষকরা ব্যবহারযোগ্য প্রাকৃতিক কৃষি উপকরণ অতি সহজেই সংগ্রহ করতে পারেন। এর পাশাপাশি রেলের তিনটি বড় প্রকল্পেও অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এগুলি হল জলগাঁও থেকে মনমাদে চতুর্থ রেললাইন স্থাপন, ভুসাওয়াল থেকে খান্ডোয়ায় তৃতীয় ও চতুর্থ রেললাইন স্থাপন এবং প্রয়াগরাজ থেকে মানিকপুর তৃতীয় রেললাইন নির্মাণ।