দিনকয়েক আগেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, আন্তর্জাতিক পড়ুয়াদের বাধ্যতামূলকভাবে এমন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভরতি হতে হবে, যেখানে স্বশরীরে ক্লাস করতে হবে। নাহলে তাঁদের আমেরিকায় ঢুকতে দেওয়া হবে না বা দেশে ফেরত পাঠানো হবে। আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে সেই অবস্থান থেকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে দাঁড়াল ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। মঙ্গলবার একটি আদালতে জানানো হল, সেই নির্দেশ প্রত্যাহার করা হচ্ছে।
ম্যাসাচুসেটসে একটি ফেডারেল আদালতে নিজেদের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। যে আদালত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির একটি মামলা শুনছিল। সেই রায়ের পর ডেমোক্র্যাটিক সেনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন একটি টুইটবার্তায় বলেন, ‘আমি খুশি, আমাদের দাবি এবং এম এ স্কুলগুলি মামলা করার পর এই ভয়ানক এবং বিদেশিদের প্রতি আতঙ্ক মনোভাবাপন্ন পড়ুয়া নিষেধাজ্ঞা নীতি প্রত্যাহার করতে একমত হয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। এটা যাতে সেরকমই থাকে, তা নিশ্চিত করতে আমি লড়াই চালিয়ে যাব। আমরা যখন লড়াই করি, আমরা সত্যিকারের পার্থক্য তৈরি করতে পারি।’
গত সপ্তাহে মার্কিন অভিবাসন এবং শুল্ক দফতরের তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল, বিশ্ববিদ্যালয়গুলি সম্পূর্ণভাবে অনলাইনে ক্লাস নিলে বিদেশি পড়ুয়াদের আমেরিকায় আসতে দেওয়া হবে না। যে পড়ুয়ারা ইতিমধ্যে আমেরিকায় আছেন, তাঁদের কোর্সের বেশিরভাগটাই ক্লাসে গিয়ে করতে হবে। নাহলে তাঁদেরও দেশে ফেরত পাঠানো হতে পারে বলে জানানো হয়েছিল। তার জেরে অসংখ্য বিদেশি পড়ুয়া বিপাকে পড়বেন বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। শুধু তাই নয়, বিদেশি পড়ুয়াদের যে আয় হয়, তা মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আর্থিক স্থিতির জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।