দোকানের ছাদ ও দেওয়াল ফুটো করে দুষ্কৃতীরা সোনা ও হিরের গহনা চুরি করে চম্পট দেয়। দোকানে থাকা সিসিটিভিও ভাঙচুর করে দুষ্কৃতীরা। ঘটনাটি রবিবার রাতে ঘটেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। জানা যায়, সোমবার দোকান বন্ধ ছিল। মঙ্গলবার দোকান খুলতে চোখ কপালে উঠে যায় মালিকের।
দিল্লির সোনার দোকানে দুঃসাহসিক চুরি।
গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দিল্লির একাধিক সোনার দোকানে চুরি এবং ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। তবে শুধু দিল্লি নয় পশ্চিমবাংলা থেকে শুরু করে একাধিক রাজ্যে সোনার দোকানে ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। তবে এযাবৎ সোনার দোকানে সবচেয়ে বড় চুরির ঘটনা ঘটল দিল্লিতে। ঘটনাটি ঘটেছে হজরত নিজামুদ্দিন থানার ভোগল এলাকায় উমরাও সিং জুয়েলার্সে। নগদ টাকা এবং সোনার গহনা ও হিরে মিলিয়ে ওই দোকান থেকে চুরি হয়েছে প্রায় ২০ থেকে ২৫ কোটি টাকার সামগ্রী। এত বড় চুরির ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে দিল্লি সহ গোটা দেশের স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের মধ্যে। একই সঙ্গে এই ঘটনায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দোকানের ছাদ ও দেওয়াল ফুটো করে দুষ্কৃতীরা সোনা ও হিরের গহনা চুরি করে চম্পট দেয়। দোকানে থাকা সিসিটিভিও ভাঙচুর করে দুষ্কৃতীরা। ঘটনাটি রবিবার রাতে ঘটেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। জানা যায়, সোমবার দোকান বন্ধ ছিল। মঙ্গলবার দোকান খুলতে চোখ কপালে উঠে যায় মালিকের। তিনি দেখেন দোকান পুরো ফাঁকা কোনও গহনা নেই। এরপর দোকানের ছাদ ও দেওয়াল কাটা দেখে মালিক বুঝতে পারেন সমস্ত গহনা চুরি হয়ে গিয়েছে।
দোকান মালিক সঞ্জীব জৈন বলেন, ‘আমি রবিবার দোকান বন্ধ করেছিলাম এবং সোমবার ছুটির পর মঙ্গলবার যখন খুলি তখন দেখি যে পুরো দোকানে ধুলো ভর্তি রয়েছে এবং স্ট্রংরুমের দেয়ালে একটি গর্ত রয়েছে। দোকানের সমস্ত গহনা টাকা সবকিছু চুরি করে নিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা।’ তিনি জানান দোকানে প্রায় ২০–২৫ কোটি টাকার গহনা ছিল। অনুমান করা হচ্ছে, ছাদ কেটে দুষ্কৃতীরা প্রবেশ করেছিল এবং গেটের কাছে ফুটো করে তারা সেখান থেকে বেরিয়ে এসেছিল। দোকানে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরাও ভাঙচুর করে তারা।