আবারও এক ভয়াবহ হত্যালীলার সাক্ষী হল উত্তরপ্রদেশ। এবার ১৬ বছরের এক কিশোরীকে জোর করে স্যানিটাইজার খাইয়ে হত্যার অভিযোগ একদল যুবকের বিরুদ্ধে। মেয়েটিকে প্রাথমিক ভাবে যৌন নির্যাতন করতেই উদ্ধত হয় অভিযুক্ত যুবকেরা। নির্যাতনে বাধা দেন কিশোরী, তার জেরেই আক্রোশে স্যানিটাইজার খেতে বাধ্য করা হয় মেয়েটিকে।অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ওই কিশোরীর পরিবারের সদস্য ও পরিচিতরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। অবরোধের জেরে দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। গত মাসের ২৭ তারিখ, একাদশ শ্রেণির ছাত্রীটি স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল, সেই সময় অভিযুক্তদের একজন মঠ লক্ষ্মীপুর এলাকার বাসিন্দা উদেশ রাঠোর তাকে বাধা দেয়। কিশোরীটিকে যৌন নির্যাতনের চেষ্টা করে তারা, এমনই জানিয়েছে পুলিশ।সেই সময়ে রাঠোরের সাথে আরও তিনজন পুরুষ যোগ দেয়। যখন মেয়েটি তাদের যৌন নির্যাতনের চেষ্টা প্রতিহত করতে সক্ষম হয়, তখন তারা মেয়েটিকে স্যানিটাইজার পান করতে বাধ্য করে। ঘটনাটির এমনই বিবরণ দিয়েছেন পুলিশ সুপার রাহুল ভাটি। ঘটনাটির সময়ে মেয়েটির ভাই তার দিদিকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে অভিযুক্তরা তাকে মারধর করে। এসপি বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ঘটনার একটি ভিডিও রেকর্ডও করে, যা সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করা হয়।জোর করে স্যানিটাইজার খাওয়ানোর পর মেয়েটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। দ্রুত তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও শারীরিক অবস্থা সংকটজনক হতে থাকে। এরপরে তাকে জেলা হাসপাতালে রেফার করা হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এপ্রসঙ্গে পুলিশ সুপার রাহুল ভাটি বলেছেন, ‘ময়নাতদন্তে যা কিছু তথ্য ময়নাতদন্ত শেষে মেয়েটির মৃতদেহ তার বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার হলে পরিবারের সদস্যরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। মেয়েটির মৃতদেহ সড়কে রেখে দীর্ঘ দুই ঘন্টা বিক্ষোভ দেখান তারা। সঠিক তদন্ত ও অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের আশ্বাস পাওয়ার পরে প্রায় আড়াই ঘণ্টার পথ অবরোধ তুলে নেয় তারা। অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশের চারটি দল গঠন করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ আধিকারিকরা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রধান অভিযুক্ত উদেশকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।