একটি গুরুত্বপূর্ণ রায়ে গার্হস্থ্য হিংসা মামলায় আইনের অপব্যবহার নিয়ে আদালতগুলিকে সতর্ক করল সুপ্রিম কোর্ট। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই এই মামলায় পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জড়িত করা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সতর্কতা অবলম্বনের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছে শীর্ষ আদালত। বিচারপতি বিভি নাগরত্ন এবং এন কোটিশ্বর সিং-এর বেঞ্চ জানিয়েছে, স্পষ্ট এবং সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া পরিবারের সদস্যদের মামলায় জড়িয়ে ফৌজদারি প্রক্রিয়ার অপব্যবহার করা উচিত নয়।
আরও পড়ুন: মদ্যপ স্বামীদের অত্যাচারে বিরক্ত, ঘর-সংসার ছেড়ে একে অপরকে বিয়ে করলেন ২ মহিলা
তেলাঙ্গানার একটি বধূ নির্যাতনের মামলায় রায় দিতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্ট একথা বলেছে। মামলার বয়ান অনুযায়ী, নির্যাতনের অভিযোগে এক গৃহবধূ শুধু শ্বশুর বাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধেই নয়, তাঁর স্বামীর মাসি গেদ্দাম ঝাঁসি এবং তাঁর ছেলে গেদ্দাম সত্যকামা জাবালির বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করেছিলেন। এর আগে তেলেঙ্গানা হাইকোর্ট পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা বাতিল করতে অস্বীকার করে। পরে তাঁরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের রায় খারিজ করে দিয়েছে। শীর্ষ আদালত বলেছে, এই মামলায় পরিবারের সদস্যদের জড়িত করা কোনও ফৌজদারি অপরাধ হতে পারে না। অভিযোগ সুনির্দিষ্ট হওয়া উচিত। পরিবারের সকল সদস্যকে এভাবে জড়িয়ে কঠোর ফৌজদারি আইনের অপব্যবহার করা হতে পারে। বেঞ্চ উল্লেখ করেছে, এই ধরনের ক্ষেত্রে আবেগ তীব্র হয়। যার ফলে অন্যায়ভাবে পারিবারিক বিরোধকে ফৌজদারি অভিযোগে পরিণত করতে পারে। যখন সম্পর্ক তিক্ত হয়ে ওঠে তখন অভিযোগগুলিকে অতিরঞ্জিত করার প্রবণতাও থাকে।