দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের এক বিশেষ বিচারক ও কোর্ট কর্মীর বিরুদ্ধে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ উঠল। একটি মামলায় অভিযুক্তদের জামিন দেওয়ার বদলে এই ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ সামনে আসার পর আদালতের কর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন শাখা। একই সঙ্গে ওই অভিযুক্ত বিচারককে অন্য আদালতে বদলি করা হয়েছে। (আরও পড়ুন: শুধু অ্যাপল নয়, শুল্ক জুজু দেখিয়ে স্যামসাংকেও ভারতের থেকে 'তাড়াতে' চান ট্রাম্প?)
আরও পড়ুন: জঙ্গিদের শেষকৃত্যে হাজির সেনা আধিকারিকরা, UNSC-তে পাক মুখোশ ছিঁড়ল ভারত
রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি দিল্লি সরকারের আইন, বিচার ও পরিষদ বিষয়ক বিভাগের প্রধান সচিবকে চিঠি লিখেছিল দুর্নীতি দমন শাখা। ওই অভিযুক্ত বিচারক ও কোর্ট কর্মীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরুর অনুমতি চেয়ে সেই চিঠিটা দেওয়া হয়েছিল। পরে ১৪ ফেব্রুয়ারি দিল্লি হাইকোর্ট সেই আবেদন খারিজ করে দিয়ে বলে, বিশেষ বিচারকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন শাখার কাছে পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ নেই। তবে হাইকোর্ট দুর্নীতি দমন শাখাকে তদন্ত চালিয়ে যেতে বলে এবং এই ঘটনায় বিচারকের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে হাইকোর্টকে জানাতে বলা হয়। (আরও পড়ুন: 'জঙ্গিদের পৃষ্ঠপোষক ইউনুস… বিপন্ন ভারতের নিরাপত্তা', বিস্ফোরক আওয়ামি লিগের)
আরও পড়ুন: নিজের সংস্থাকে একের পর এক সুবিধা, নোবেলজয়ী ইউনুস এখন 'ভিলেন' বাংলাদেশে!
এরপরই গত ১৬ মে এই মামলায় কোর্ট কর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে দুর্নীতি দমন শাখা। ২০ মে বিশেষ বিচারককে রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট থেকে অন্য আদালতে বদলি করা হয়। এ বিষয়ে দিল্লি হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারকে একাধিক প্রশ্ন করা হলেও সংবাদমাধ্যমের কোনও প্রশ্নের জবাব তিনি এখনও দেননি। একই সঙ্গে সেই অভিযুক্ত বিচারকও এ বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি। (আরও পড়ুন: শ্রীনগরগামী উড়ানের ২ ইন্ডিগো পাইলটকে গ্রাউন্ড করল DGCA, ওদিকে প্রশংসা মন্ত্রীর)
২৯ জানুয়ারি আইন বিভাগের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে লেখা চিঠি অনুসারে, ২০২১ সালে জিএসটি রিফান্ড সংক্রান্ত এক ঘটনায় এক জিএসটি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের এপ্রিলে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই ঘটনায় একজন জিএসটি অফিসার, তিনজন আইনজীবী, একজন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট এবং দু'জন ট্রান্সপোর্টার-সহ ১৬ জনকে গ্রেফতার করে দুর্নীতি দমন শাখা। তাদের বিশেষ বিচারকের আদালতে হাজির করেন তদন্তকারীরা। বিচারক সমস্ত অভিযুক্তকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। দুর্নীতি দমন শাখা বলেছে যে অভিযুক্তরা যখন জামিনের আবেদন দায়ের করেছিলেন, তখন তাদের বেশিরভাগের শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং বিভিন্ন তারিখের জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছিল।