
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
মুডা কেলেঙ্কারিতে বিপদ আরও বাড়ল কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার। বুধবার এই ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দিল কর্ণাটকের বিশেষ আদালত।
মূলত, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের জন্য এই আদালত গঠন করা হয়েছে। এদিন মুডা কেলেঙ্কারিতে সেই আদালতই সিদ্দারামাইয়া, তাঁর স্ত্রী এবং অন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে।
মাইসোর লোকায়ুক্ত পুলিশকে এই নির্দেশ দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে বলা হয়েছে, আগামী তিনমাসের মধ্যেই লোকায়ুক্ত পুলিশকে এই বিষয়ে আদালতে রিপোর্ট পেশ করতে হবে।
উল্লেখ্য, তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করার যে অনুমোদন রাজ্যপাল দিয়েছিলেন, তার বিরোধিতা করে কর্ণাটক হাইকোর্টে মামলা করেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া।
মঙ্গলবার সেই মামলা খারিজ করে দেয় উচ্চ আদালত। স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এই ঘটনায় মামলা রুজু করায় কোনও বাধা নেই। তারপরই বুধবার বিশেষ আদালতের পক্ষ থেকে তদন্ত শুরু করার এই নির্দেশ দেওয়া হল।
এই গোটা ঘটনার কেন্দ্রে রয়েছেন সিদ্দারামাইয়ার স্ত্রী বি এম পার্বতী। অভিযোগ, মাইসোর আরবান ডেভলপমেন্ট অথোরিটি (মুডা)-এর পক্ষ থেকে তাঁকে বেআইনিভাবে জমি পাইয়ে দেওয়া হয়।
এই জমির প্রকৃত মালিক ছিল মুডা কর্তৃপক্ষ। এবং বর্তমান বাজারদরের হিসাবে ওই জমিটির দামও ছিল অত্যন্ত বেশি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ৫০:৫০ -এর অনুপাতে ৩.১৬ একর জমির বিনিময়ে পার্বতীকে ওই জমি দেওয়া হয়। যেখানে আদতে একটি আবাসন গড়ে তোলার কথা ছিল।
কিন্তু, পরবর্তীকালে অভিযোগ ওঠে যে, ওই ৩.১৬ একর জমির পূর্ণাঙ্গ মালিকানা পার্বতীর ছিল না। মাইসোর তালুকের কসবা হোবলি এলাকার কাসারে গ্রামে বিতর্কিত ওই জমিটি রয়েছে। যার দাগ নম্বর হল, ৪৬৪।
এই ঘটনায় বিচার চেয়ে বিশেষ আদালতের দ্বারস্থ হন স্নেহময়ী কৃষ্ণা। সিদ্দারামাইয়া ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ যাঁরা তুলেছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন এই স্নেহময়ী কৃষ্ণা। তাঁর আবেদনের ভিত্তিতেই বুধবার কর্ণাটকের বিশেষ আদালত জানিয়ে দেয়, শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াই নন, এই ঘটনায় তাঁর স্ত্রী পার্বতী এবং অন্যান্য অভিযুক্তের বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু করা যাবে।
উল্লেখ্য, স্নেহময়ী-সহ তিন অভিযোগকারী সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করার অনুমোদন চেয়ে আগেই রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। রাজ্যপাল তাঁদের দাবি মেনে সেই আবেদন মঞ্জুর করেছিলেন। সিদ্দারামাইয়া রাজ্যপালের পদক্ষেপের বিরোধিতা করে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হলেও কোনও লাভ হয়নি।
এদিকে, ইতিমধ্যে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। সিদ্দারামাইয়ার পদত্যাগের দাবি সুর চড়াচ্ছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports