'আমি সম্পর্কের কথা জানলে বোনের সঙ্গে রাজ কুশওয়াহার বিয়ে দিতাম।' বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন সোনম রঘুবংশীর দাদা গোবিন্দ রঘুবংশী। মেঘালয়ে হানিমুনে হাড়হিম করা হত্যাকাণ্ড। স্বামী রাজা রঘুবংশীকে খুনে অভিযুক্ত খোদ নববিবাহিত স্ত্রী সোনম রঘুবংশী। এরমধ্যেই শুক্রবার মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীতে রাজার পিণ্ডদান করা হয়। এই আবহে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন সোনমের দাদা।
রাজা রঘুবংশীর ভাই সচিন এবং বিপিন ক্ষিপ্রা নদীর তীরে পিণ্ডদান করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সোনম রঘুবংশীর দাদা গোবিন্দও। তিনি বলেন, বিয়ের আগে তাঁর বোন এবং রাজের সম্পর্কের কথা জানতেন না তিনি। গোবিন্দের কথায়, 'আমি যদি জানতাম, তাহলে তাদের বিয়ে দিতাম অথবা রাজ কুশওয়াহার সঙ্গে বোনকে পালিয়ে যেতে বলতাম।' গোবিন্দ বলেন, তিনি এখনও রাজার পরিবারকে নিজের পরিবারের মতোই মনে করেন। তিনি বলেন, 'আমি রাজার পরিবারের সঙ্গে শেষকৃত্যে এসেছি... ওরা আমার ভাইয়ের পরিবারের মতো। যদি সোনম দোষী সাব্যস্ত হয়, তাহলে তার মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত।'
আরও পড়ুন-বাসস্টপ নয়, তাও বাস করাতে হবে! জুলুমবাজি না শোনায় চালককে জুতোপেটা মহিলার
গোবিন্দ তাঁর বোনকে একগুঁয়ে এবং বদমেজাজি বলেও বর্ণনা করেছেন। তিনি আরও বলেছেন, 'আমাদের পক্ষ থেকে বোনকে কখনও কোনও চাপ দেওয়া হয়নি। যদি সে বিয়ে করতে না চাইত, তাহলে তা বলতে পারত। সে যা করেছে তা ক্ষমার অযোগ্য। সে কেবল ইন্দোরকেই নয়, সমগ্র মধ্যপ্রদেশকে লজ্জিত করেছে।'
আরও পড়ুন-বাসস্টপ নয়, তাও বাস করাতে হবে! জুলুমবাজি না শোনায় চালককে জুতোপেটা মহিলার
মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে স্বামীকে খুনের অভিযোগে ১৭ দিন পর উত্তরপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার হয়েছে সোনম। ১১ মে বিয়ে হয়েছিল তাদের। ১৯ মে মধুচন্দ্রিমার জন্য মেঘালয়ে রওনা দেয় নবদম্পতি। সেখানে পৌঁছোনোর দু’দিন পর, অর্থাৎ ২৩ মে দু’জনেই নিখোঁজ হয়ে যান। তারপর থেকে রাজা-সোনমের খোঁজ চালাচ্ছিল শিলং পুলিশ। গত ২ জুন সোহরায় (চেরাপুঞ্জি) দেহ মেলে রাজার। কিন্তু খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এই সময়ের মধ্যে বেশ কয়েকটি তত্ত্ব উঠে আসে। কিন্তু শেষমেশ এই ঘটনায় সোনমের ‘প্রেমিক’ রাজ গ্রেফতার হতেই রাজাকে খুনের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। তারপর উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরের একটি ধাবা থেকে গত সোমবার গ্রেফতার করা হয় সোনমকে।