বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > বাংলাদেশ থেকে হাসিনাকে উৎখাতে পাক জঙ্গি গোষ্ঠী লস্করের হাত? বিস্ফোরক পোস্ট পুত্র সজীবের
পরবর্তী খবর
জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে নৃশসংশ জঙ্গি হামলার নেপথ্যে থাকা টিআরএফর সঙ্গে পাকিস্তানি মদতপুষ্ট জঙ্গি শিবির লস্কর ই তৈবার যোগ বহু আগের। তবে এবার সেই লস্কর ই তৈবার এক নেতা পাকিস্তানের বুকে খোলাখুলি মোদীকে হুমকি দিতে গিয়ে ভাষণে তুলে আনে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ। এমনই দাবি করে সেই লস্কর নেতার ভিডিয়ো ক্লিপ (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) পোস্ট করেছেন শেখ হাসিনা পুত্র সজীব ওয়াজিদ। সেই পোস্টে তিনি এক বিস্ফোরক দাবি করেছেন। সজীবের দাবি, তাঁর মা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশে হওয়া আন্দোলনের নেপথ্যে ছিল লস্কর ই তৈবা।
তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে শেখ হাসিনার পুত্র সজীব তুলে ধরেন জঙ্গি শিবির লস্কর ই তৈবার নেতা মুজাম্মিল হাশমির ভিডিয়ো। সেই ভিডিয়োতে মুজাম্মিল হাশমির বক্তব্যের ক্লিপ তুলে ধরে সজীবের দাবি, বাংলাদেশে শেখ হাসিনাকে উৎখাত করতে নেপথ্যে কাজ করেছে লস্কর ই তৈবা। বিস্ফোরক দাবি করা ওই পেস্টে সজীব লেখেন,' পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন লস্কর ই তৈবা যারা কাশ্মীরের হামলার জন্য দায়ী, তারা জনসমক্ষে বক্তৃতায় দাবি করছে যে তারা আমার মা, যিনি বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তাঁর বিরুদ্ধে বাংলাদেশে হওয়া বিদ্রোহে জড়িত।' যে লস্কর জঙ্গি নেতা মুজাম্মিল হাশমির যে ভিডিয়ো সজীব তাঁর পোস্টে তুলে ধরেন, সেখানে ওই জঙ্গি নেতাকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘ মোদী আপনি আমাদের বুলেট দেখিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছেন, আমরা আপনাকে একটা বার্তা দিচ্ছি, আমাদের ছেলে মেয়েরা আপনার মিসাইলে ভয় পায় না, তাহলে আপনার বুলেটে কেন পাবে?’ প্রসঙ্গত, সদ্য, গুজরাটের এক সভা থেকে মোদী বলেছিলেন,' পাকিস্তানের জনগণকে তাদের দেশকে সন্ত্রাসবাদ থেকে মুক্ত করতে এগিয়ে আসতে হবে। তাদের তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে। … সুখের জীবনের বাঁচো.. রুটি খাও, নয়তো আমার গুলি তো আছেই।'
এদিকে, পাকিস্তানের বুকে মোদীকে টার্গেট করে খোলাখুলি জনসমক্ষে লস্কর জঙ্গি নেতা মুজাম্মিল হাশমি বলতে থাকে,' তোমার (মোদীর)সিনিয়ররাও কেউ আমাদের ভয় দেখাতে পারেনি, তুমিও পারবে না।' এরপরই মুজাম্মিল হাশমিকে বলতে শোনা যায়,'মোদী তুমি জানো না যে বাংলাদেশে আমরা তোমায় হারিয়ে দিয়েছি।' আর ঠিক এই বক্তব্যকে সামনে রেখেই শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজিদের দাবি, বাংলাদেশে শেখ হসিনা বিরোধী যে বিদ্রোহ গত বছর দেখা গিয়েছিল, তার নেপথ্যে রয়েছে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর ই তৈবা।