মাত্র ৭ মাসের ছোট্ট বকনা বাছুর। নিজেই এখনও মায়ের দুধ পান করে। আর সেই বকনা বাছুরই রোজ ৩ লিটার করে দুধ দিচ্ছে!হ্যাঁ, এমনই অবিশ্বাস্য কাণ্ড ঘটেছে বাংলাদেশের পটুয়াখালীর পশ্চিম রজপাড়া গ্রামে। বাংলাদেশের 'ই নিউজ ৭১' সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এমনই খবর। এমন আজব কাণ্ড নিজেও বিশ্বাস করতে পারছেন না গোরুর মালিক নুরইসলাম হাওলাদার।তিনি জানান, 'গত ১০ বছর ধরে গোরু পালন করছি। কিন্তু এমন আজব কাণ্ড দেখা তো দূরের কথা, শুনিওনি।' নুরইসলাম জানান, তাঁর খামারে বিভিন্ন জাতের মোট ১৩টি গোরু রয়েছে। প্রায় ৮ মাস আগে ফ্রিজিয়ান জাতের একটি গাভী বকনা বাছুর প্রসব করে।জন্মের সময়ে সেই বকনা বাছুর স্বাভাবিকই ছিল। কিন্তু ৭ মাস পরে হঠাত্ই একদিন খেয়াল করেন, বাছুরের ওলান ফুলে আছে। সাধারণত দুধ দেওয়া গাভীর ক্ষেত্রেই এমনটা হয়। বিষয়টা চোখ এড়ায়নি অভিজ্ঞ গোপালকের।কৌতুহলবশত দোয়াতে শুরু করলেই দেখেন দুধ। গোটা ব্যাপারটায় প্রথমে তিনি বেশ হকচকিয়ে যান। গ্রামের কয়েকজনের সঙ্গে এ বিষয়ে পরামর্শ করে পশু চিকিত্সকের কাছে যান তিনি।দেখতে আসছেন গ্রামবাসীরাএদিকে এর মধ্যে গোটা গ্রামে নুরইসলামের বকনা বাছুরের দুধ দেওয়ার ঘটনা রটে যায়। অনেক দূর থেকেও আজব বাছুর দেখতে মানুষ ভিড় জমাতে শুরু করে। চাকামাইয়া থেকে আসা ষাটোর্ধ্ব সাইফুল মিয়া জানান, 'সারাজীবনে এরকম ঘটনা আর শুনিনি। বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছিল। তাই এসে নিজের চোখে দেখলাম। এটা আল্লাহর নেয়ামত।'এই দুধ খায় কে?এদিকে আপাতত ১ মাস ধরে রোজ বকনা বাছুরের দুধ দুইয়ে চলেছেন নুরইসলান। তিনি জানান, রোজ প্রায় ৩ লিটার করে দুধ দেয়। আর পাঁচটা গোরুর দুধের সঙ্গে কোনও পার্থক্যই নেই।সেই দুধ অবশ্য বিক্রি করেন না তিনি। 'আমি, বাড়ির লোকেরা খাই। কেউ চাইলে দিয়ে দিই,' বাছুরের গায়ে হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলেন নুরইসলাম। জানান. ‘এটি আল্লাহর কৃপা।’কিন্তু এমনটা কী করে সম্ভব?কলাপাড়া উপজেলার প্রাণীসম্পদ বিভাগের প্রধান হাবিবুর রহমান জানান, হরমোনাল ভারসাম্যহীনতার কারণে বকনা বাছুরটি দুধ দিচ্ছে। তাই বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই। তবে, এই বাছুরটির স্বাস্থ্যের উপর নজর রাখা হচ্ছে।