প্রেমের টানে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে এসেছিলেন পাকিস্তানের মহিলা। এরপর প্রেমিকের সঙ্গে থাকতেও শুরু করেছিলেন। কিন্তু সূত্রের খবর, পাকিস্তানের সেই মহিলা সীমা গুলাম হায়দার ও তার ভারতীয় স্বামী সচিন মীনার গত দুদিন ধরে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এমনটাই খবর। টিভি রিপোর্টে বলা হচ্ছে গত দুদিন ধরে তাদের কোনও খোঁজ মিলছে না। গ্রেটার নয়ডাতে তারা থাকছিলেন। সেখান থেকে কার্যত তাদের দেখা যাচ্ছ ন।তবে হিন্দুস্তান টাইমসের সাংবাদিক রোহিত কুমার সিংয়ের সংযোজন, উত্তরপ্রদেশ এটিএস সীমা হায়দারকে আপাতত নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করছে। সচিনকেও তারা নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে বলে খবর।
এদিকে উত্তরপ্রদেশ এটিএস খোঁজখবর নিচ্ছিল সীমা কোন পথে এদেশে এসেছে। স্থানীয় পুলিশ ওই বাড়়ির উপর নজর রাখছিল। এর আগে সীমা, সচিন ও তার বাবাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল।
এদিকে স্থানীয় রিপোর্টে বলা হচ্ছে ৪-৫ দিন ধরে সীমা ও তার স্বামীকে এলাকায় দেখা যাচ্ছে না।এখানেই প্রশ্ন উঠছে কোথায় গেলেন তারা? তবে কি নানারকম চাপের জেরে তারা অন্য কোথাও চলে গিয়েছেন? এনিয়ে নানা জল্পনা ছড়াচ্ছিল। তবে হিন্দুস্তান টাইমসের সাংবাদিক রোহিত কুমার সিংয়ের সংযোজন, ইউপি এটিএস সীমা হায়দারকে আপাতত নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করছে। সচিনকেও তারা নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে বলে খবর। গৌতমবুদ্ধনগর থেকে তাদের নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে উত্তরপ্রদেশ এটিএস। সচিনের বাড়ি উত্তরপ্রদেশের গৌতম বুদ্ধ নগরে। সেই সচিনের প্রেমে পড়ে পাকিস্তান থেকে নেপাল হয়ে অবৈধভাবে ভারতে চলে আসে। কিন্তু কীভাবে তিনি সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে এলেন তা নিয়ে নানা সন্দেহ বাড়ছে।
তবে এবার সীমা আর সচিনের সেই প্রেমকাহিনিটা একবারে জেনে নেওয়া যাক।
কার্যত সিনেমার গল্পকেও হার মানায় এই প্রেম।
২৭ বছরের সীমা। তিনি জানিয়েছিলেন, আমি সচিনকে ছাড়া ভাবতে পারি না। সে আমার স্বামী। আমি তার ধর্ম গ্রহণ করেছি। সচিনের বাড়ির লোকজন আমায় মেনে নিয়েছেন। আমার সন্তানরাও সচিনকে বাবা বলে ডাকছে। আমি ওদের সব আচার আচরণ মেনে নিচ্ছি। আমি এখানেই থাকব।
২০২০ সালের অতিমারির সময় থেকে তাদের মধ্য়ে কথাবার্তা হত। সীমা হিন্দস্তান টাইমসকে জানিয়েছিলেন, পাবজি খেলতে গিয়ে আলাপ। এরপর খুব কথা বলতাম দুজনে। ফোন নম্বর দিয়েছিলাম। ভিডিয়ো কলেও কথা বলতাম। দেখা হত দুজনের মধ্য়ে। গদর সিনেমা দেখে তারা সীমান্ত পার করার পরিকল্পনা করেছিলেন।