মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি ছিল। এদিন সুপ্রিম কোর্ট ন্যাশানাল টাস্ক ফোর্সের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলল। আদালতের তরফে এই ন্যাশানাল টাস্ক ফোর্স তৈরি করে দেওয়া হয়েছিল। মূলত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার জন্য় এই টাস্ক ফোর্স তৈরি করা হয়েছিল। তবে সেই টাস্ক ফোর্স কতটা কাজ করেছে সেটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছেন, গত ২০ অগস্ট নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তৈরি হয়েছিল এনটিএফ। তবে দেখা যাচ্ছে ৯ সেপ্টেম্বরের পর থেকে এনটিএফ কোনও মিটিংও করেনি।
কেন্দ্রীয় সরকারের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতাকে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় প্রশ্ন তোলেন ৯ সেপ্টেম্বরের পরে কেন কোনও মিটিং করেননি? কোর্টের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নিয়মিত মিটিং করতে হবে। তিন সপ্তাহের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করতে হবে।
গত ৯ অগস্ট আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছিল। সেই ঘটনায় একটি সুয়ো মোটো মামলার শুনানির সময় সুপ্রিম কোর্ট এনটিএফ তৈরির নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখা গিয়েছে সেই এনটিএফের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।
এদিকে সলিসিটর জেনারেল জানিয়েছেন এনটিএফ কী ধরনের কাজ করেছে তার একটা হলফনামা দেওয়া হয়েছে। এর প্রথম মিটিং হয়েছিল গত ২৭ অগস্ট। চারটি সাবগ্রুপ তৈরি করা হয়েছিল। গত ৯ সেপ্টেম্বর তাদের মিটিং করা হয়েছিল। সেই সঙ্গেই জানানো হয়েছে একটা ওয়েবলিঙ্ক তৈরি করা হয়েছিল। সেখানে ১৭০০০ ইনপুট ও প্রস্তাব এসেছে। প্রায় ৩৭,০০০ সংগঠন ও ১৫০০০ জন এই ইনপুট দিয়েছেন।
এদিকে ৯ সদস্য়ের এই এনটিএফ তৈরি করা হয়েছে। সেখানে একাধিক বিশিষ্ট চিকিৎসকও রয়েছেন। সেই এনটিএফকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে চিকিৎসকদের সুরক্ষাকে নিশ্চিত করা হয়। তাঁদের কাজের পরিবেশ, তাঁদের ভালো থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এদিকে আদালতের তরফে পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, বর্তমানে এটা মনে হচ্ছে যে টাস্ক ফোর্সও নয়, সাব গ্রুপগুলিও নয় কেউই আদালতের নির্দেশ মেনে কোনও কাজ করেনি। সলিসিটর জেনারেল এটা মেনে নিয়েছেন যে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহের পর থেকে নির্দিষ্টভাবে তারা কোনও মিটিং করেনি। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারকে এটা নিশ্চিত করতে হবে যে নির্দিষ্ট সময়কালের মধ্য়ে টাস্ক ফোর্সকে তাদের কাজ শেষ করতে হবে।