আবারও বিপাকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ২০১৪ সালের ১৭ জুলাই রাশিয়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ধ্বংস করে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের এমএইচ ১৭ বিমানটিকে। যার জেরে মৃত্যু হয়েছিল ২৮৩ জন যাত্রী ও ১৫ জন বিমানকর্মীরা। এই ঘটনায় চাঞ্চল্যকর রায় ঘোষণা করল ইউরোপের শীর্ষ মানবাধিকার আদালত। (আরও পড়ুন: অপারেশন সিঁদুরে 'হেরো পার্টি' পাক বন্দনায় চিন, নিজেদের সম্মান বাঁচাতেই এই কাণ্ড)
আরও পড়ুন: ভারতকে 'বিবেক ও নৈতিকতার' পাঠ পড়াতে এল ইউনুসের বাংলাদেশ
৯ বছর আগে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে ভেঙে পড়ে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট এমএইচ ১৭। নেদারল্যান্ডসের রাজধানী আমস্টারডাম থেকে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে যাচ্ছিল বিমানটি। সেটি যখন পূর্ব ইউক্রেনের দোনবাস অঞ্চল অতিক্রম করছিল, তখনই একটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে বিমানটিতে। সেই সময় দোনবাস অঞ্চলে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে ধুন্ধুমার সংঘর্ষ চলছিল। ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতেই যে বিমানটি ধ্বংস হয়েছিল তা নিশ্চিত করেছে ইউরোপের সর্বোচ্চ মানবাধিকার আদালত। এর ফলেই মৃত্যু হয় ৮০ শিশু-সহ ২৮৩ জন যাত্রী এবং ১৫ জন বিমানকর্মীর। যার জেরে বিপাকে পড়েছেন পুতিন। (আরও পড়ুন: ঋতুস্রাব হচ্ছে কিনা তা দেখতে স্কুলে নগ্ন করা হল ছাত্রীদের, ধৃত প্রিন্সিপাল)
আরও পড়ুন-আচমকা কেঁপে উঠল মাটি! আতঙ্কে ছোটাছুটি শহরবাসীর, কী হল দিল্লিতে?
এই ঘটনায় ইউরোপের সর্বোচ্চ মানবাধিকার আদালত ইউরোপিয়ান কোর্ট অব হিউম্যান রাইটসে চারটি মামলা দায়ের করে কিয়েভ ও নেদারল্যান্ডস। এরমধ্যে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। বুধবার সেই মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। প্রথমবার কোনও আন্তর্জাতিক আদালতে ২০১৪ সালে মালয়েশিয়ার বিমান ধ্বংসের ঘটনায় রাশিয়াকে সরাসরি দায়ী করা হয়েছে। রায় পড়ে শোনান আদালতের সভাপতি ম্যাটিয়াস গুয়োমার। তিনি বলেন, 'প্রমাণ থেকে স্পষ্ট যে ক্ষেপণাস্ত্রটি ইচ্ছাকৃতভাবে ফ্লাইট এমএইচ১৭-তে নিক্ষেপ করা হয়েছিল। সম্ভবত ভুল ধারণায় যে এটি একটি সামরিক বিমান ছিল।' আদালত আরও বলেছে, ২০১৪ সালে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট এমএইচ১৭ ধ্বংস করা থেকে শুরু করে ২০২২ সালে মস্কোর পূর্ণাঙ্গ আগ্রাসনের পর হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণ, বেসামরিক পরিকাঠামো ধ্বংস এবং ইউক্রেনীয় শিশুদের অপহরণ পর্যন্ত-আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘনের জন্য রাশিয়া দায়ী। (আরও পড়ুন: মোদীর নতুন বন্ধুর ওপর ৫০% শুল্ক 'সম্রাট' ট্রাম্পের, শুরু নয়া বাণিজ্য যুদ্ধ)
আরও পড়ুন: বেজায় চটেছেন মহুয়া, এবার 'শ্বশুরবাড়ি' বয়কটের হুঁশিয়ারি মহুয়ার
গত মে মাসে রাষ্ট্রসংঘও এমএইচ১৭ বিমান ধ্বংসের জন্য রাশিয়াকে দায়ী করেছিল। এদিকে, রায়ের প্রতিক্রিয়ায় ক্রেমলিন বলেছে, তারা একে ‘প্রতীকী রায়’ হিসেবে উপেক্ষা করবে। তবে ইউক্রেন এটাকে ‘ঐতিহাসিক ও অভূতপূর্ব’ রায় বলে প্রশংসা করেছে এবং বলেছে যে, এটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির জন্য একটা ‘অবিশ্বাস্য জয়’।অন্যদিকে, ইউক্রেনে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। সূত্রের খবর, বুধবার সীমান্তবর্তী লুৎস্ক শহর ও এর আশপাশের কয়েকটি অঞ্চলে ৭০০ ড্রোন ও ১০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে রুশ সেনা। যার জেরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। ঘটেছে প্রাণহানি। আহত হয়েছেন অনেকে। কিয়েভ দাবি করেছে, এদিন বহু ড্রোন তারা ধ্বংস করেছে।