পাকিস্তানের মাটিতে বিপদে পড়লেন এক রুশ কূটনীতিক! বিপদে পড়তে হল অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রদূতদেরও। অল্পের জন্য রক্ষা পেল তাঁদের জীবন। প্রসঙ্গত, সংশ্লিষ্ট রুশ কূটনীতিক হলেন পাকিস্তানে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত অ্যালবার্ট পি খোরেভ। রবিবার এক ভয়াবহ ঘটনার সম্মুখীন হয় তাঁদের কনভয়।
ঘটনা প্রসঙ্গে ইতিমধ্য়েই পাকিস্তানে অবস্থিত রুশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের কূটনীতিকের কনভয়ে বিস্ফোরণ ঘটেছে। কীভাবে ঘটল এই দুর্ঘটনা? সেই বিষয়ে ইসলামাবাদের রুশ দূতাবাসের তরফ থেকেই তাদের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করা হয়।
সেই পোস্টে জানানো হয়েছে, বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪)। এদিন সোয়াট পর্যটন সম্মেলনে অংশগ্রহণ করতে গিয়েছিলেন রুশ রাষ্ট্রদূত খোরেভ। তাঁর সঙ্গে অন্যান্য দেশের প্রতিনিধিরাও ছিলেন। এদিন ইসলামাবাদ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পক্ষ থেকে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল।
খাইবার পখতুনখোয়া প্রদেশের মিঙ্গোরা শহর থেকে সংশ্লিষ্ট হোটেলে যাওয়ার পথে রুশ রাষ্ট্রদূতের কনভয়ে থাকা একটি এসকর্ট কার হঠাৎই ল্যান্ড মাইনে ধাক্কা মারে। তাতেই ঘটে যায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা।
রুশ দূতাবাসের তরফে দাবি করা হয়েছে, এই বিস্ফোরণে একাধিক পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। কিন্তু, রুশ রাষ্ট্রদূত ও তাঁর সঙ্গে থাকা অন্যান্য দেশের প্রতিনিধিদের কোনও শারীরিক আঘাত লাগেনি।
এই ঘটনার পর পাক সংবাদমাধ্যম ও রুশ সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, সংশ্লিষ্ট কনভয়ে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ছাড়াও ছিলেন ভিয়েতনাম, ইথিয়োপিয়া, জিম্বাবোয়ে, ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত-সহ অন্যান্য দেশের প্রতিনিধিরা।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল, এই বিস্ফোরণে পাক সেনার চারজন সদস্য গুরুতরভাবে জখম হয়েছেন। যদিও পরে পাক সংবাদমাধ্যমের একাংশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, এই ঘটনায় এক পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয়েছে এবং বাকি তিনজন গুরুতর জখম হয়েছেন।
স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে উদ্ধৃত করে সংশ্লিষ্ট পাক সংবাদমাধ্যমের আরও দাবি, যেখানে বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটেছে, সেখানে সেই সময় মোট ১২টি দেশের কূটনৈতিক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সোয়াটের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) মহম্মদ আলি খান তাদের যে তথ্য দিয়েছেন বলে দাবি করছে পাক সংবাদমাধ্যমের একাংশ, তার সঙ্গে অবশ্য রুশ দূতাবাসের বক্তব্যের ফারাক রয়েছে।
ডিআইজি নাকি দাবি করেছেন, এদিন রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে আইইডি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। কারা এই হামলার পিছনে রয়েছে তা খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই তল্লাশি অভিযান শুরু করা হয়েছে বলেও ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে উদ্ধৃত করে বলা হচ্ছে, তাদের স্থানীয় ডিআইজি জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের খবর পাওয়ামাত্র পুলিশবাহিনী সেখানে পৌঁছে যায়। ভিনদেশি কূটনৈতিকদের প্রত্যেককে অকুস্থল থেকে উদ্ধার করে নিরাপদে অন্য সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। শেষ পাওয়া খবর অনুসারে, কোনও জঙ্গি সংগঠন এই ঘটনার দায় স্বীকার করেনি।