মধ্যবিত্তকে স্বস্তি দিয়ে মার্চে দেশে সর্বনিম্ন হয়েছে পাইকারি মূল্য সূচক। আর এই পাইকারি মূল্য সূচকের উপর ভিত্তি করেই পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি নির্ধারিত হয়। মঙ্গলবার কেন্দ্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মার্চ মাসে পাইকারি মূল্য সূচকের ভিত্তিতে মূল্যবৃদ্ধির হার কমে ২.০৫ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে এই হার ছিল ২.৩৮ শতাংশ। গত বছরের মার্চ মাসে পাইকারি মূল্যবৃদ্ধি ছিল ০.২৬ শতাংশ। এই হ্রাসের ফলে মার্চে বিগত ছয় মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে পৌঁছে গিয়েছে দেশের পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি। এর জেরে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন আর্থিক বিশেষজ্ঞরা। ফলে সামান্য হলেও স্বস্তি মিলতে পারে সাধারণ মানুষের।
বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রক বিবৃতিতে জানিয়েছে, 'মূলত খাদ্যপণ্য, জ্বালানি এবং শক্তিক্ষেত্রে দাম কমার কারণে মার্চ মাসে পাইকারি মূল্যবৃদ্ধি সূচক সামান্য নেমেছে।' হোলসেল প্রাইস ইন্ডেক্স-এর তথ্য অনুসারে, চলতি মাসে উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে খাবার ও অপরিশোধিত তেলের দাম। পাইকারি বাজারে ১.০৭ শতাংশ দাম কমেছে। মার্চ মাসে দেশের পাইকারি বাজারের খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমে ১.৫৭ শতাংশে নেমে এসেছে। এটি ফেব্রুয়ারিতে ৩.৩৮ শতাংশে ছিল। অর্থাৎ, খাদ্যপণ্যের মুদ্রাস্ফীতির ক্ষেত্রে বড় হ্রাস দেখা গিয়েছে।যার জেরে মধ্যবিত্তের জন্য একটি বড় স্বস্তি নিয়ে এসেছে। মূলত শাক-সবজির দাম হ্রাস হওয়ার কারণে খাদ্য মূদ্রাস্ফীতির ক্ষেত্রে এই নিম্নগতি দেখা গিয়েছে। সবজির দাম মার্চ মাসে কমে ৫.৮০ শতাংশ হয়েছে, যা গত মাসে ১৫.৮৮ শতাংশ হয়েছিল। অন্যদিকে, উৎপাদিত পণ্যের মূল্যস্ফীতি মার্চ মাসে বেড়ে ৩.০৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা ফেব্রুয়ারিতে ছিল ২.৮৬ শতাংশ। জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতেও মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে ০.২০ শতাংশ, যা ফেব্রুয়ারিতে ০.৭১ শতাংশ ছিল।ফলে, এই বিষয়গুলি কিছুটা হলেও উদ্বেগ বজায় রেখেছে।
খাদ্যপণ্য়ের মূল্যবৃদ্ধি দীর্ঘদিন সাধারণ মানুষের কাছে একটি বড়সড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে রয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য কিনতে গিয়ে রীতিমতো সমস্যার সম্মুখীন হয়ে পড়ছেন ক্রেতারা। পকেটের উপর চাপ বাড়াচ্ছে মুদ্রাস্ফীতি। তবে এই মুদ্রাস্ফীতির চাপের ক্ষেত্রে কিছুটা স্বস্তি দিন কেন্দ্রের নতুন তথ্য। অন্যদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক যুদ্ধের জেরে বিশ্বে ধাতুর দাম বেড়েছে। সে কারণে বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যকে ব্যাহত করেছে এবং ব্যায় বাড়িয়েছে।