বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Reason of BrahMos Misfire: কেন ভুল করে ব্রহ্মোস চলে গিয়েছিল পাকিস্তানে? এতদিনে আদালতে কারণটা জানাল বায়ুসেনা
পরবর্তী খবর
Reason of BrahMos Misfire: কেন ভুল করে ব্রহ্মোস চলে গিয়েছিল পাকিস্তানে? এতদিনে আদালতে কারণটা জানাল বায়ুসেনা
1 মিনিটে পড়ুন Updated: 30 Mar 2024, 11:39 PM ISTSatyen Pal
দিল্লি হাইকোর্টকে দেওয়া জবাবে, বায়ুসেনা প্রথমবার ২০২২ সালের মার্চের ঘটনার পেছনের কারণ প্রকাশ করেছে।
কেন ভুল করে ব্রহ্মোস চলে গিয়েছিল পাকিস্তানে? (File)
বছর দুয়েক আগের ঘটনা। সেবারও ছিল মার্চ মাস। ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের দুর্ঘটনাবশত নিক্ষেপ করা হয়েছিল – ক্ষেপণাস্ত্রটি পাকিস্তানে পড়েছিল – এর কমব্যাট কানেক্টরগুলি 'জংশন বক্সের সঙ্গে সংযুক্ত থাকার কারণে' ব্রহ্মোসকে মিসফায়ার করা হয়েছিল, শুক্রবার ভারতীয় বিমানবাহিনী (আইএএফ) দিল্লি হাইকোর্টকে একথা জানিয়েছে।
এই প্রথমবার বায়ুসেনা এই ঘটনার পেছনের কারণ প্রকাশ করেছে, যা ৯ মার্চ, ২০২২ এ ঘটেছিল। পরের দিনই নয়াদিল্লির কাছে এনিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিল ইসলামাবাদ। তারপর তানিয়ে শোরগোল কিছু কম হয়নি। খবর হিন্দুস্তান টাইমস সূত্রে।
‘ কমব্যাট ক্রু (যদিও) জানতেন যে যুদ্ধ ক্ষেপণাস্ত্রের যুদ্ধ সংযোগকারীগুলি জংশন বাক্সের সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে, কিন্তু তবুও মোবাইল স্বায়ত্তশাসিত লঞ্চার কমান্ডারকে কমব্যাট মিসাইল চালু করার একটি অসুরক্ষিত কাজ করা থেকে বিরত রাখতে পারেননি। আর যার ফলে প্রতিবেশী দেশে সেটি চলে যায়, যার ফলে কোনও বায়ুবাহিত / স্থল বস্তু / কর্মীদের জন্য সম্ভাব্য হুঁশিয়ারি তৈরি করেছিল।’ বায়ুসেনা হাইকোর্টকে দেওয়া জবাবে একথা উল্লেখ করেছে।
এই ঘটনায় সরকারি কোষাগারের প্রায় ২৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এতে ভারতীয় বিমানবাহিনীর 'সুনামও ক্ষুন্ন হয়েছে। বাহিনীটি এই ঘটনাটিকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে 'সম্পর্ককে প্রভাবিত করার প্রভাব' হিসাবে বর্ণনা করেছে।
মিসফায়ারের কয়েকদিন পর গঠিত হয়েছিল কোর্ট অফ ইনকোয়ারি (সিওআই)। এরপর ১৬ জন সাক্ষীকে পরীক্ষা করে গ্রুপ ক্যাপ্টেন সৌরভ গুপ্তা, স্কোয়াড্রন লিডার প্রাঞ্জল সিং এবং উইং কমান্ডার অভিনব শর্মাকে 'ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের জন্য দায়ী' বলে প্রমাণিত করে।
উইং কমান্ডার শর্মার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বায়ুসেনা হাইকোর্টে জবাব জমা দেয়। এয়ার কমোডর জে টি কুরিয়েনের বিরুদ্ধে উইং কমান্ডারের অভিযোগের জবাবে আদালত তাঁর অভিযোগকে 'অনুমান, ভিত্তিহীন এবং কোনও প্রমাণ ছাড়াই বলে অভিহিত করেছে।
ভারতীয় বিমান বাহিনীও শর্মার এই যুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছে যে তিনি 'ক্ষেপণাস্ত্রের নিক্ষেপ এড়ানোর মতো অবস্থানে নেই'।
এদিকে সেদিনের সেই ঘটনাকে ঘিরে নানা চাপানউতোর হয়েছিল। তবে আসলে কেন এই ঘটনা হয়েছিল তা নিয়ে এবার আদালতের কাছে গোটা ব্যাপারটা খোলসা করেছে বায়ুসেনা।
তবে সেই ঘটনাকে ঘিরে স্বাভাবিকভাবে নানা শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। এমনকী এই ঘটনা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অন্য়দিকে মোড় নিতে পারত। তবে শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। তবে সেই ঘটনার পরে অবশ্য় ভারত বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখে।