বাংলায় বর্তমানে ৪৩টি রেল প্রকল্প চালু রয়েছে। যার খরচ ধার্য করা হয়েছে প্রায় ৬০,০০০ কোটি টাকা। এই গোটা প্রকল্পের জন্য প্রয়োজন ৪০৯৩ হেক্টর জমি। তবে তার মধ্যে মাত্র ১০৮৬ একর জমি পাওয়া গিয়েছে। বাকি জমির ব্যবস্থা এখনও করা যায়নি। রাজ্যসভায় এক প্রশ্নের উত্তরে এই তথ্য জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। এর জন্য রাজ্যকে দায়ী করল রেলমন্ত্রক। (আরও পড়ুন: মোদী-ইউনুস বৈঠক নিয়ে বাংলাদেশের অনুরোধ নিয়ে কী ভাবছে ভারত, জানালেন জয়শংকর)
আরও পড়ুন: মমতাকে বার বার চিঠি, জবাব আসে না, বাংলায় থমকে রেলপ্রকল্প, বিস্ফোরক রেলমন্ত্রী
অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত বাংলায় ৪৪৭৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ৪৩টি প্রকল্প চলছে। এরমধ্যে কিছু সম্পন্ন হয়েছে আবার কিছু প্রকল্পের কাজ এখনও চলছে। ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত এই প্রকল্পগুলির জন্য ২০,৪৩৪ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। বাকি কাজ সম্পন্ন না হওয়ার জন্য জমি অধিগ্রহণের সমস্যাকে দায়ী করেছেন রেলমন্ত্রী। কোন প্রকল্পের জন্য কত জমি অধিগ্রহণ বাকি রয়েছে সে বিষয়টিও জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী। (আরও পড়ুন: টাকা দেবে না ভারত, বাংলাদেশে বাতিল হয়ে গেল ২টি রেল প্রকল্প)
আরও পড়ুন: আওয়ামি লিগ নিয়ে সেনার গোপন বৈঠকের কথা সামনে, হাসনাতের পাশে নেই তাঁরই দল?
তথ্য অনুযায়ী, নবদ্বীপঘাট-নবদ্বীপধাম পর্যন্ত ১০ কিমি নতুন লাইনের জন্য এখনও পর্যন্ত জমি অধিগ্রহণ হয়নি। সাঁইথিয়ায় ৫ কিমি বাইপাসের জন্য এখনও পর্যন্ত জমি অধিগ্রহণ হয়নি। দেশপ্রাণ-নন্দীগ্রাম পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার নতুন লাইনের জন্য ৭৮.৫১ হেক্টর জমির মধ্যে ৬৫.৯৬ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ হয়েছে। বাকি জমি না মেলায় কাজ থমকে রয়েছে। এছাড়া, বালুরঘাট-হিলি পর্যন্ত নতুন ৩০ কিলোমিটার লাইনের জন্য ১৫৬.৩৮ হেক্টর জমির প্রয়োজন। কিন্তু, এখনও ৬১.২৬ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করা যায়নি। রেলমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, স্থানীয় জনগণের জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং রাজ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতার কারণে এই প্রকল্পগুলির কাজ এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: জাল আধার-প্যান বানিয়ে দিল্লিতে ধৃত পশ্চিমবঙ্গের ৩ সহ ৮ চক্রী,জালে বহু বাংলাদেশি
বিজেপি নেতা অমিত মালব্য এই তথ্য তুলে রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন। তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ এ বিষয়ে কেন্দ্রকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রেলমন্ত্রী থাকাকালীন যে প্রকল্পগুলি করে দিয়ে গিয়েছিলেন এবং প্রস্তাব দিয়েছিলেন সেগুলিকে কেন্দ্র শুকিয়ে গিয়ে মারছে। আর যে রুটের কথা বলা হচ্ছে সেখানে আবাসের টাকা কেন্দ্র দেয়নি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে টাকা দিয়েছেন।’