ট্রুডো জমানার পর তিনি কানাডার প্রধানমন্ত্রীর গদিতে বসতেই তিনি ভোটের ডাক দিয়েছিলেন। আর কানাডার সাধারণ নির্বাচনের ফলাফল গণনা শুরু হতেই সকাল থেকেই চালকের আসনে থাকেন লিবারাল পার্টির মার্ক কার্নি। এই লিবারাল পার্টিরই সদস্য কানাডার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। যে ট্রুডো একটা সময় খলিস্তানপন্থী হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে আঙুল তুলেছিলেন দিল্লির দিকে। সেই ট্রুডোর রাজনৈতিক দল লিবারাল পার্টির সদস্য মার্ক কার্নি কানাডার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন।
কানাডার মসনদে জাস্টিন ট্রুডোর পার্টির মার্ক কার্নি বসতেই বিশ্ব জুড়ে বহু নেতারাই শুভেচ্ছা জানাতে শুরু করেন। শুভেচ্ছা জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। কার্নিকে জানানো মোদীর শুভেচ্ছা বার্তায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী লেখেন,' কানাডার ভোটে আপনার জয়ের জন্য ও লিবারাল পার্টির জয়ের জন্য মিস্টার মার্ক কার্নিকে শুভেচ্ছা। ভারত ও কানাডা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, আইনের শাসনের প্রতি দৃঢ় অঙ্গীকার এবং জনসাধারণের মধ্যে প্রাণবন্ত সম্পর্কের দ্বারা আবদ্ধ। আমাদের অংশীদারিত্বকে শক্তিশালী করতে এবং আমাদের জনগণের জন্য আরও বেশি সুযোগ তৈরি করতে আপনার সাথে কাজ করার জন্য আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।' প্রসঙ্গত, কার্নি আমলে ভারত, কানাডা সম্পর্ক কোন খাতে বয়, সেদিকে তাকিয়ে কূটনৈতিক বিশ্ব। ট্রাম্পের শুল্ক সুনামির মাঝে পড়ে, কানাডার বাণিজ্যিক গতিপ্রকৃতি মাঝে দিল্লি, ওটাওয়া সম্পর্ক নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। উল্লেখ্য, ভোটের আগেও এক সাক্ষাৎকারে কার্নি বলেন, ভারত, কানাডা সম্পর্ক খুবই ‘গুরুত্বপূর্ণ’।
( কানাডায় নিখোঁজের পর রহস্যমৃত্যু পঞ্জাবের AAP নেতার মেয়ের! কী ঘটেছে?)
( দেশের এই জগন্নাথ মন্দির দেয় বর্ষার আগাম আঁচ? কী দেখে মেলে রহস্যময় ইঙ্গিত! লোকমুখে ফেরে ঘটনার কথা)
উল্লেখ্য, কানাডায় যেখানে ট্রুডো আমলে এককালে লিবারালদের জনপ্রিয়তা তলানিদর দিকে যাচ্ছিল, সেখান থেকে পার্টির হাল ফিরিয়ে কার্যত ফিনিক্সের মতো করেই এই জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন কার্নি। পার্টির জয়ের এই কাণ্ডারী, ট্রাম্পের শুল্ক তোপের মাঝে দেশের হাল কীভাবে ধরেন, সেদিকে তাকিয়ো গোটা বিশ্ব। মার্চ মাসেই এক সাক্ষাৎকারে কার্নি বলেছিলেন,' কানাডা যা করতে চাইবে তা হল সমান মনস্কতা সম্পন্ন দেশগুলির সাথে আমাদের বাণিজ্যিক সম্পর্ককে বৈচিত্র্যময় করা এবং ভারতের সাথে সম্পর্ক পুনর্নির্মাণের সুযোগ রয়েছে।' সেই জায়গা থেকে এই দুই দেশের সম্পর্ক, কানাডার নতুন সরকারের আমলে কোনদিকে যায়, সেদিকে তাকিয়ে বিশ্ব।