কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রয়োগের ফলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শাসনকালে দেশে একটিও বোমা বিস্ফোরণ ঘটেনি। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর।শনিবার পুনের বি জে কলেজে জন ঔষধি দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে এসে জাভড়েকর বলেন, ‘তার আগে ১০ থেকে ২৫ বছর আমরা কী দেখেছি? আমরা দেখেছি পুনেতে বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে। ভদোদরা, আমেদনগর, দিল্লি ও মুম্বইতে বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে। আট থেকে দশ বছরে প্রতি বছর নিয়মিত বিস্ফোরণ ঘটত এবং তার জেরে মানুষ মারা যেত। কিন্তু গত ছয় বছরে একটিও বিস্ফোরণ হয়নি।’এর পর নিজের দাবির ব্যাখ্যা করে মন্ত্রী বলেন, ‘এমনি এমনি এমন শান্তি আসেনি। দেশের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা মজবুত করতে প্রধানমন্ত্রী এমন কয়েকটি মজবুত উদ্যোগ নিয়েছেন, যে তার জেরেই এই সুফল পাওয়া গিয়েছে।’ মন্ত্রী যা-ই দাবি করুন, পরিসংখ্যান কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধেই সাক্ষ্য পেশ করছে। ছয় বছরের যে খতিয়ান তিনি উল্লেখ করেছেন, তার মধ্যে রাখা হয়নি ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারিতে জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামা বিস্ফোরণ। পাক মদতপুষ্ট আত্মঘাতী সন্ত্রাসবাদীর ঘটানো বিস্ফোরণে সেই সময় ৪০ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান শহিদ হন।তবে তা ছাড়াও, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শাসনকালে ২০১৬ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ভারতে একাধিক উল্লেখযোগ্য বিস্ফোরণ ঘটেছে। সংবাদসংস্থা ‘ইকনমিক টাইমস’-এর রিপোর্ট বলছে, ২০১৬-২০১৮ সালে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বিস্ফোরণ হয়েছিল ভারতেই। এর মধ্যে ২০১৭ সালে দেশে মোট ৩৩৭টি আইইডি বিস্ফোরণ ঘটে, জানিয়েছে জাতীয় বোমা তথ্য কেন্দ্র (এনবিডিসি) প্রকাশিত জার্নাল ‘বম্বশেল’।পরিসংখ্যান না ঘেঁটে বে-ফাঁস দাবি করে স্বভাবতই সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলড হচ্ছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর। টুইটারে কংগ্রেস নেত্রী অলকা লাম্বা সোজাসুজি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন, ‘পুলওয়ামায় কী ঘটেছিল?’মন্ত্রীর কথায় বিস্ময় প্রকাশ করে অনেকে আবার তাঁকে স্মরণ করিয়ে দিতে চেয়েছেন উরি, পাঠানকোট সেনা বিমানঘাঁটি ও দীনানগরে সন্ত্রাসবাদী বিস্ফোরণের কথা।আবার নেটিজেনদের কেউ কেউ টিপ্পনি কেটেছেন, ‘বোমা বিস্ফোরণ কী করে হবে যদি কেন্দ্রে বোমাওয়ালারাই বসে থাকেন!’