পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির সন্দেহে দিল্লির সিলামপুর থেকে এক যুবককে গ্রেফতার করল উত্তরপ্রদেশের অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াড (এটিএস)। ওই যুবকের নাম হারুন। ধৃত হারুনের ভাই শহিদ একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন সংবাদমাধ্যমকে। শহিদ জানান, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার আগে হারুন পাকিস্তানে গিয়েছিল। এছাড়াও শহিদ জানান, হারুনের দু'টি বিয়ে আছে। তার এক স্ত্রী পাকিস্তানে থাকেন। তার সঙ্গেই নাকি দেখা করতে কিছুদিন আগে পাকিস্তানে গিয়েছিল হারুন। (আরও পড়ুন: 'ভারত হাসবে', ইউনুসের পদত্যাগের জল্পনায় আতঙ্কিত বাংলাদেশি ইসলামি কট্টরপন্থীরা)
আরও পড়ুন: ভারতের ৪ হামলায় কোমর ভাঙে পাকিস্তানের, ৮ ঘণ্টায় ফুস হয়েছিল 'বুনিয়ান আল-মারসাস'
হারুনের গ্রেফতারির তথ্য দিয়ে ভাই শহিদ বলেন, হারুনের গ্রেফতারির দিন সাদা পোশাকে কিছু লোক তাদের বাড়িতে আসে। আধিকারিকরা প্রথমে জানান যে তাঁরা পাসপোর্ট অফিস থেকে এসেছেন এবং যাঁরা পাকিস্তান থেকে ফিরেছেন তাঁদের আবার ডেকে আনা হচ্ছে। কিছু অফিশিয়াল কাজকর্মের পরে বাড়ি ফেরত পাঠানো হচ্ছে। হারুন তখন অফিসারদের সঙ্গে চলে যায়। দীর্ঘদিন হারুন না ফেরায় হারুনের পরিবারের লোকজন তাকে ফোন করে। শহিদ জানান, বেশ কয়েকবার ফোন বেজে উঠলেও এরপর ফোন বন্ধ হয়ে যায়। ফোন সুইচড অফ হওয়ার পর শহিদ থানায় পৌঁছান। পুলিশ জানায় যে তারা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ছিল না। পরে জানা যায়, হারুনকে লখনউয়ের আদালতে পেশ করা হয়। পরিবারের সদস্যরা যখন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পৌঁছন, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়। হারুনকে জেলে নিয়ে চলে যায় পুলিশ। (আরও পড়ুন: 'ভারতের জলবোমা ঝুলছে মাথার ওপর', না খেতে পেয়ে মরার ভয়ে কাঁপছে পাকিস্তান)
আরও পড়ুন: দিল্লিতে জামিনের বদলে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ, বিচারককে বদলি করল দিল্লি হাইকোর্ট
হারুনের গ্রেফতার প্রসঙ্গে মা রোকেয়া বেগম বলেন, ১২ বছর বয়স থেকে তারা দিল্লিতে বসবাস করছে। তিনি বলেন যে হারুনের কথায় কখনই এমন কোনও ধারণা তারা পাননি যে এমন কিছু ঘটে থাকতে পারে। রোকেয়া জানান, হারুনকে যখন বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন তিনি বাড়িতে ছিলেন না। রোকেয়া বেগম জানান, হারুন পাকিস্তানে দ্বিতীয়বার বিয়ে করেছেন, তাই সে বছরে একবার সেখানে যান। (আরও পড়ুন: শুধু অ্যাপল নয়, শুল্ক জুজু দেখিয়ে স্যামসাংকেও ভারতের থেকে 'তাড়াতে' চান ট্রাম্প?)
আরও পড়ুন: জঙ্গিদের শেষকৃত্যে হাজির সেনা আধিকারিকরা, UNSC-তে পাক মুখোশ ছিঁড়ল ভারত
উল্লেখ্য, পহেলগাঁও হামলার পরে পাকিস্তানে অপারেশন সিঁদুর পরিচালনা করেছিল ভারত। এরপর ভারতীয় গোয়েন্দারা ভারতের অন্দরে পাক গুপ্তচরদের ধরতে উঠে পড়ে লাগে। এই আবহে এখনও পর্যন্ত ১০ জনেরও বেশি পাক গুপ্তচরকে গ্রেফতার করা হয়েছে হরিয়ানা, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ থেকে। এদের অনেককেই পাক হাইকমিশনের মাধ্যমে নিয়োগ করেছিল আইএসএআই।