উত্তরাখণ্ডে স্ত্রী-সহ পরিবারের ৩ সদস্যকে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্তর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। খুনের ঘটনার ৩দিন পর অভিযুক্তর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছে অভিযুক্ত। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, শুক্রবার স্ত্রী এবং পরিবারের ৩ সদস্যকে হত্যার পর অভিযুক্ত তার মাকে ফোন করে আত্মহত্যার কথা জানিয়েছিল। মৃতের নাম হল সন্তোষ রাম (৪০)।
পুলিশের একজন আধিকারিক জানিয়েছেন, উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড় জেলায় সোমবার স্ত্রী এবং পরিবারের তিন সদস্যকে হত্যা করেছিল রাম। সেই ঘটনার পর থেকেই তার খোঁজ চালানো হচ্ছিল। তিন দিন পর তার দেহ উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ জানায়, গাঙ্গোলিহাট মহকুমার বুরশুম গ্রাম থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে একটি গাছে ঝুলন্ত মৃতদেহ পাওয়া যায় রামের। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, শুক্রবার অপরাধ করার কয়েক ঘণ্টা পর অভিযুক্ত তার মাকে ফোন করে জানিয়েছিল সে আত্মহত্যা করতে চলেছে। এদিকে, অভিযুক্তের খোঁজে ড্রোন এবং স্নিফার কুকুরের সাহায্য নেয় পুলিশ। রামকে গ্রেফতারের জন্য একটি বিশেষ দল তৈরি করে পুলিশ। পিথোরাগড়ের পুলিশ সুপার লোকেশ্বর সিং জানিয়েছেন, ‘পুলিশ এবং এসডিআরএফ-এর একটি যৌথ দল সন্তোষ রামের মৃতদেহ খুঁজে পেয়েছে। একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল তার দেহ।
উল্লেখ্য, শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছিল পিথোরাগড় জেলা সদর থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে গাঙ্গোলিহাট ব্লকের বুরশাম গ্রামে। ওই দিন সকালে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন হওয়া একটি পরিবারের তিন মহিলার দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান ছিল, অভিযুক্ত ৩ জনকে খুন করে স্ত্রীকে নিয়ে সেখান থেকে পালিয়েছিল। পরে সন্ধ্যায় অভিযুক্তের স্ত্রীর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।