পরবর্তী খবর
বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > PM Narendra Modi Speech Highlights: জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে কী বললেন মোদী, দেখুন
ভারতে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রুখতে কী কী করা উচিত তা নিয়ে প্রায় রোজই নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তার পরেও দেশের একাধিক রাজ্যে মিলেছে করোনা রোগীর সন্ধান। বাদ যায়নি পশ্চিমবঙ্গও। এই পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাস রোধে দেশবাসীর কী কর্তব্য তা স্মরণ করাতে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এক নজরে দেখে নিন কী কী গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী।
- গত কয়ে দিন ধরে অনেকে ভাবছেন যে করোনাভাইরাস থেকে আমরা বেঁচে গিয়েছি। সব ঠিকঠাক আছে। কিন্তু এটা সঠিক নয়।
- প্রত্যেক ভারতবাসীর সচেতন থাকা উচিত।
- আজ ১৩০ কোটি দেশবাসীর কাছে কিছু চাইতে এসেছি। আমার আপনার আগামী কয়েক সপ্তাহ চাই। আগামী কিছু সময় চাই।
- এখনো বিজ্ঞান করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে কোনও সমাধান বলতে পারেনি। কোনও ভ্যাকসিন পায়নি।
- এই পরিস্থিতিতে প্রত্যেকের চিন্তা বাড়া খুব স্বাভাবিক। দুনিয়ার যে দেশে করোনার প্রভাব বেশি হচ্ছে সেখানে দেখা গিয়েছে এই দেশগুলিতে প্রথম কয়েকটা দিনের পর রোগের যেন বিস্ফোরণ হল। করোনায় সংক্রমিতদের সংখ্যা খুব দ্রুত বেড়েছে।
- ভারত সরকার এই পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রেখেছে। এমনকী কিছু দেশ নিজেদের লোকেদের সব থেকে বেশি আইসোলেট করে পরিস্থিতিকে সামলেছে।
- এই লড়াইয়ে নাগরিকের মূল্য় খুব গুরুত্বপূর্ণ।
- বড় দেশের ওপর করোনাভাইরাসের প্রভাব দেখছি তখন ভারতের ওপর প্রভাব পড়বে না এটা ভাবা ঠিক নয়।
- করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ২টো জিনিস গুরুত্বপূর্ণ। ১. সংকল্প, ২ সংযম।
- আজ ১৩০ কোটি দেশবাসীকে নিজের সংকল্প আরও দৃঢ় করতে হবে। যে আমরা একজন নাগরিক হিসাবে নিজের কর্তব্য় পালন করব। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের দিশানির্দেশ পুরোপুরি পালন করব। আজ আমাদের এই সংকল্প নিতে আমরা নিজেরা সংক্রমিত হওয়াথেকে বাঁচব ও বাঁচাব।
- এজন্য একটাই মন্ত্র মানতে হবে 'আমি সুস্থ, তো জগৎ সুস্থ'। রোগের কোনও ওষুধ নেই তখন নিজেকে সুস্থ রাখা সব থেকে দরকারি। সেজন্য দরকার সংযম। ভিড় থেকে দূরে থাকা। ঘরের বাইরে না বেরোনে।সোশ্য়াল ডিসটেন্সিং। এই সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং কার্যকরী।
- যদি আপনার মনে হয় আপনার কিছু হবে না। বাজারে ঘুরে বেড়াবেন আর করোনা থেকে বেঁচে যাবেন। এটা করে আপনি আপনার সঙ্গে ও আপনার প্রিয়জনের সঙ্গে অন্যায় করবেন।
- সেজন্য আমার অনুরোধ খুব দরকার ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরোবেন না। ব্যবসায়ী হোন বা চাকরিজীবী। বাড়ি থেকেই কাজ করুন। জনপ্রতিনিধি মিডিয়া কর্মীদের তো ময়দানে থাকতে হবে। বাকিদের ভিড়ের থেকে দূরে থাকা উচিত।
- পরিবারের বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা বাড়ি থেকে না বেরোন সেদিকেও নজর রাখতে হবে।
- বর্তমান প্রজন্ম পুরনো কথা জানেন না। ছোটবেলায় যুদ্ধের সময় গ্রামের পর গ্রাম ব্ল্যাকআউট করে দিত। কাচে কালো কাগজ লাগিয়ে দিত। লোকে পাহারা দিত। যুদ্ধ না হলেও পুরসভা ব্ল্যাকআউট করত।
- আর এই জন্য আমি আজ প্রত্যেক দেশবাসীর কাছ থেকে আরেকটা সাহায্য চাইছি। তা হল জনতা কার্ফু। জনতার জন্য জনতার দ্বারা কার্ফু। ২২ মার্চ, রবিবার সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কেউ রাস্তায় বেরোবেন না। পাড়ায় বেরোবেন না। অত্যাবশ্যক সেবা ছাড়া অন্য কেউ বাড়ি থেকে বেরোবেন না। এজন্য দরকার আত্মসংযম।
- ২২ মার্চ জনতা কার্ষুর অভিজ্ঞতা পরে কাজে আসবে। সব রাজ্য সরাকারের কাছে অনুরোধ জনতা কার্ষু পালন করার ব্যবস্থা করুন। সমস্ত ধরনের সংগঠনের কাছে অনুরোধ আজ থেকে রবিবার পর্যন্ত এই জনতা কার্ষুর খবর মানুষকে দিন। মানুষকে সচেতন করুন।
- প্রতিদিন ১০ জনকে ফোন করে এর প্রয়োজনীয়তা বোঝান।
- এতে করোনার মতো মহামারী রুখতে ভারত কতটা তৈরি তা বোঝা যাবে।
- ২২ মার্চ আরও একটা সাহায্য চাই। গত ২ মাসে হাসপাতালে এয়ারপোর্টে, অফিসে, শহরের অলিগলিতে। ডাক্তার, নার্স, কর্মী, এয়ারলাইন্স, সাফাইকর্মী, পুলিশ, মিডিয়া, হোম ডেলিভারি। এরা নিজেদের পরোয়া না করে অন্যের সেবায় নিযুক্ত রয়েছেন। আজকে এই সেবা স্বাভাবিক নয়। আজ এদের সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তার পরেও এরা কাজ করছে। দেশ এমন ছোড় বড় সমস্ত ব্যক্তির ২২ মার্চ এমন সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
- রবিবার, জনতা কার্যুর দিন বিকেলে ৫ টায় দরজায় দাঁড়িয়ে বা ব্যলকনিতে দাঁড়িয়ে ৫ মিনিট ধরে কৃতজ্ঞতা জানাবো। তালি বাজিয়ে, থালি বাজিয়ে, ঘণ্টি বাজিয়ে। ওদের প্রত্যয় বাড়ান, ওদের স্যালুট করুন। স্থানীয় প্রশাসনের কাছেও অনুরোধ সাইরেনের আওয়াজ দিয়ে মনে করিয়ে দিন।
- হাসপাতালের ওপর চাপ বাড়া উচিত নয়। যাতে চিকিৎসকরা মহামারির জন্য বেশি সময় দিতে পারেন। খুব দরকার না হলে রুটিন চেক আপে যাবেন না। অত্যাবশ্যকীয় অস্ত্রোপচারও পিছিয়ে দিন।
- আর্থিক চ্যালেঞ্জ মাথায় রেখে সরকার COVID -19 টাস্ক ফোর্স। সবার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে নিকট ভবিষ্যতে সিদ্ধান্ত নেবে। আর্থিক সমস্যা দূর করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে।
- উচ্চ আয়ের লোকেদের অনুরোধ যাদের থেকে সেবা নেন তাদের আর্থিক দিকের খেয়াল রাখুন। পুরো মানবিকতার সঙ্গে সংবেদনশীলতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিন। টাকা কাটবেন না। ওদেরও পরিবার চালাতে হয়।
- দেশবাসীকে আশ্বস্ত করছি, দুধ, খাবার, ওষুধ, জীবনধারণের কোনও জিনিসের ঘাটতি না হয় তার খেয়াল রাখা হচ্ছে। দেশবাসীর কাছে অনুরোধ জরুরি জিনিস কেনার জন্য ভিড় জমাবেন না। সাধারণ ভাবে যেরকম কেনাকাটা করেন তেমনই করুন। প্যানিক বাইং ঠিক নয়।
- এই মহামারি থেকে সমাজকে বাঁচাতে গেলে আগে নিজেকে বাঁচাতে হবে। করোনাভাইরাসের প্রকোপ এতোই ভয়াবহ যে কোনও দেশ অন্য দেশকে সাহায্য করতে পারছে না।
- ভারত বিজয়ী হোক, বিশ্ব বিজয়ী হোক।