'প্রকৃতি আমাদের পরীক্ষা নিচ্ছে।' স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লায় দাঁড়িয়ে দেশব্যাপী সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীর, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ-সহ দেশের একাধিক রাজ্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বহু মানুষ। ৭৯তম স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে সেই ক্ষতিগ্রস্ত দেশবাসীর কথাই তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী।
শুক্রবার লালকেল্লা থেকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'প্রকৃতি আমাদের পরীক্ষা নিচ্ছে...গত কয়েকদিন ধরে আমরা প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ভূমিধস, মেঘভাঙা বৃষ্টি এবং আরও অনেক দুর্যোগের সম্মুখীন হচ্ছি। ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি আমাদের সমবেদনা রইল। এরপরেই তিনি সংকট মোকাবেলায় রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের যৌথ প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরে বলেন, 'রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকার উদ্ধার অভিযান, ত্রাণ তৎপরতা এবং পুনর্বাসন কাজে পূর্ণ শক্তি নিয়ে কাজ করছে।'
আরও পড়ুন-'বিশ্বের বৃহত্তম এনজিও!' লালকেল্লা থেকে RSS স্তুতি প্রধানমন্ত্রী মোদীর
জম্মু ও কাশ্মীরের কিস্তওয়ারের চেসোটি এলাকায় ভয়াবহ মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বন্যার জেরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫। একই সঙ্গে ১০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে বলে শুক্রবার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। জম্মু ও কাশ্মীরের কিস্তওয়ারের দুর্গম এলাকায় ভয়াবহ মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বন্যা দেখা দেয়। মাচাইল মাতা যাত্রা পথে এই দুর্যোগে গ্রামটি বিধ্বস্ত হয়েছে। আবহাওয়া এবং দুর্যোগের পরিপ্রেক্ষিতে, কিস্তওয়ার পুলিশ জেলা জুড়ে নাগরিক এবং তীর্থযাত্রীদের, বিশেষ করে দুর্গম এলাকায় সহায়তা করার জন্য নিয়ন্ত্রণ কক্ষ এবং সহায়তা কেন্দ্র স্থাপন করেছে। এদিকে, হিমাচল প্রদেশে গত ২৪ ঘন্টার ধারাবাহিক ভারী বৃষ্টির ফলে রাজ্যের বিভিন্ন অংশে নতুন করে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হিমাচল প্রদেশের শিক্ষামন্ত্রী রোহিত ঠাকুর বলেছেন, রাতারাতি কোনও বড় ধরনের হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি, তবে অবকাঠামোগত ক্ষতি, বিশেষ করে সড়ক নেটওয়ার্কের ক্ষতি উল্লেখযোগ্য।তাঁর কথায়, 'বৃষ্টির কারণে একাধিক স্থানে ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। গত রাতেও উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে, যদিও বেশিরভাগই অবকাঠামো সম্পর্কিত।' তিনি নিশ্চিত করেছেন যে রামপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে মেঘভাঙা বৃষ্টির ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন-'বিশ্বের বৃহত্তম এনজিও!' লালকেল্লা থেকে RSS স্তুতি প্রধানমন্ত্রী মোদীর
৭৯ তম স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী সশস্ত্র বাহিনীর প্রশংসা করে বলেন, 'আজ, লালকেল্লার প্রাকার থেকে, আমি অপারেশন সিঁদুরে সাহসী সৈনিকদের অক্লান্ত সেবার জন্য স্যালুট জানানোর সুযোগ পেয়েছি।' প্রধানমন্ত্রীকে লালকেল্লায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, প্রতিমন্ত্রী সঞ্জয় শেঠ এবং তিন বাহিনীর প্রধানরা স্বাগত জানান।প্রধানমন্ত্রীকে জাতীয় পতাকা রক্ষী, ভারতীয় বিমান বাহিনী, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং দিল্লি পুলিশের সমন্বয়ে গঠিত ১২৮ জনের একটি গার্ড অফ অনার প্রদান করা হয়। উইং কমান্ডার অরুণ নাগর আন্তঃবাহিনী গার্ড অফ অনারের নেতৃত্ব দেন।