পোষ্য নিয়ে ফ্লাইটে উঠে বিপাকে পড়েছিলেন যাত্রী। আকাসা এয়ারলাইন্সে চেপেছিলেন তিনি, পোষা কুকুর নিয়ে। আমদাবাদ থেকে বেঙ্গালুরু যাওয়ার সময় ঘটে ঘটনাটা। বিমান থেকে নেমে যে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার গল্প শোনালেন তিনি।একটি লিঙ্কডইন পোস্টে, ওই যাত্রী লিখেছেন, ‘আমি এবং আমার স্ত্রী ২৬ জানুয়ারি আমদাবাদ থেকে ব্যাঙ্গালোর যাওয়ার ফ্লাইটে আমাদের পোষা কুকুরকে নিয়ে উঠেছিলাম। ১০:২০ -তে ছাড়ার কথা ছিল ফ্লাইটটি, ১:৪০-এ ছেড়েছে। পোষ্যকে নিয়ে যেতে হবে বলে আমরা ৩ ঘন্টা আগে বিমানবন্দরে পৌঁছেছিলাম। তাই ফ্লাইট উড়তে আরও ৩ ঘন্টারও বেশি বিলম্ব করায় আমাদের ইতিমধ্যেই বিমানবন্দরে ৬ ঘন্টারও বেশি সময় কাটাতে হয়েছিল।'তিনি আরও বলেন, অনলাইনে টিকিট কাটার সময় ইমেলে ও কলে পোষ্যের জন্য বেশ কিছু বিশেষ ব্যবস্থার কথা বলে ৫,০০০ টাকা নেওয়া হয়েছিল। এরপর এত বিলম্ব হওয়া সত্ত্বেও ওই নিরীহ প্রাণীটিকে মেঝেতেও শুতে দেওয়া হয়নি। পোষা প্রাণীদের জন্য কোনও ভালো ব্যবস্থা নেই। বিমানবন্দরের কোনো ওয়াশরুমে অসহায় প্রাণীদের প্রস্রাব করার সুযোগ দেওয়া না। উপরন্তু, গ্রাউন্ড স্টাফ বা সিআইএসএফ কেউই সহায়তা করেনি এক্ষেত্রে। এরপর একজন গ্রাউন্ড স্টাফ এসে তাঁকে বলেন, ফ্লাইটের ওয়াশরুমে পোষা প্রাণীটিকে নিয়ে যাওয়া যাবে।তিনি হতাশা প্রকাশ করে বলেছিলেন, 'পোষা প্রাণীদের ভ্রমণের জন্য কোনো 'বিশেষ সিট' নেই, এমনকি শেষ সারিতেও নেই। ফ্লাইটের প্রথম ৪৫ মিনিটের জন্য, আমার কুকুরটি কাঁদতে থাকে। পোষা প্রাণীটি আসনের নীচে পায়ের কাছাকাছি বসতে পছন্দ করে। অথচ সেই জায়গাটাও কতটা সীমিত।' এরপর ফ্লাইট ক্রুকে 'অশিক্ষিত এবং অ-পেশাদার' হিসাবে বর্ণনা করে তিনি দাবি করেছেন যে ফ্লাইট চলাকালীন পোষা প্রাণীদের প্রতি কোনোরকম সহানুভূতি দেখান না তাঁরা।'যদি কেবিনে কুকুরদের সঙ্গে এই ধরনের ব্যবহার করা হয়, তাহলে আমি কল্পনাও করতে পারি না যে যারা কার্গোতে ভ্রমণ করছে তাঁদের সঙ্গে কী ধরনের ব্যবহার করা হয়,' এমনটাও বললেন পাঠক। এরপর তিনি পোষ্যের টিকিটের মূল্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, রিপোর্ট করা বিধিনিষেধ এবং প্রাণীর জন্য বাসস্থানের অভাবের কারণে। রীতিমত রেগে গিয়ে লিখলেন, ‘পোষ্য টিকেট কিসের জন্য? যে এত অত্যাচার করা হয়েছিল?’