1 মিনিটে পড়ুন Updated: 09 Mar 2024, 11:58 AM ISTMD Aslam Hossain
২২ বছর বয়সি ওই ছাত্র ছবি এবং ভিডিয়ো ফুটেজ তৈরি করেছিল। তাতে হযরত মহম্মদ এবং তাঁর স্ত্রীদের সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য ছিল। সেগুলি হোয়াটসঅ্যাপে শেয়ার করা হয়েছে। পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের একটি আদালত রায় দিতে গিয়ে জানায়, মুসলিমদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত হানাই দুই পড়ুয়ার লক্ষ্য ছিল।
Ad
হোয়াটসঅ্যাপে ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগ
ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগে ২২ বছর বয়সি এক ছাত্রকে মৃত্যুদণ্ড দিল পাকিস্তানের আদালত। এছাড়াও ১৭ বছর বয়সি অন্য এক ছাত্রকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে । নবি হযরত মহম্মদ এবং তাঁর স্ত্রীদের সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে এই দুই ছাত্রের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই এমন নির্দেশ দিয়েছে পাক আদালত। উল্লেখ্য, পাকিস্তানে ধর্মীয় অবমাননা বা ‘ব্লাসফেমি’ নিয়ে বিশেষ আইন রয়েছে। সেই আইনের ভিত্তিতে আদালতের এমন নির্দেশ।
অভিযোগ, ২২ বছর বয়সি ওই ছাত্র ছবি এবং ভিডিয়ো ফুটেজ তৈরি করেছিল। তাতে হযরত মহম্মদ এবং তাঁর স্ত্রীদের সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য ছিল। সেগুলি হোয়াটসঅ্যাপে শেয়ার করা হয়েছে। পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের একটি আদালত রায় দিতে গিয়ে জানায়, মুসলিমদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত হানাই দুই পড়ুয়ার লক্ষ্য ছিল। তার জন্যই এই সমস্ত ধর্মীয় অবমাননাকর লেখা, ছবি এবং ভিডিয়ো আদানপ্রদান করা হয়েছে। সেই সমস্ত ফুটেজ এবং ছবি অন্যদের শেয়ার করার জন্য ওই কিশোরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
যদিও দুজনেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের আইনজীবীরা যুক্তি দিয়েছিলেন, যে তাদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, লাহোরে পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এফআইএ) সাইবার ক্রাইম ইউনিট ২০২২ সালে দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিল।
এক ব্যক্তি অভিযোগ করেছিলেন, তিনি ৩টি পৃথক মোবাইল নম্বর থেকে ধর্মীয় অবমাননাকর এই সমস্ত ভিডিয়ো এবং ছবি পেয়েছেন। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে এফআইএ প্রমাণ করেছে যে অভিযোগকারীর ফোন থেকেই এই সমস্ত ফুটেজ পাঠানো হয়েছিল। ২২ বছর বয়সি ওই ছাত্রের বাবা জানিয়েছেন, তিনি নিম্ন আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে লাহোর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবেন।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানে ধর্মীয় অবমাননা হল শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এর বিরুদ্ধে দেশটিতে বিশেষ আইন রয়েছে। এই আইনে বলা হয়েছে, নবি (হযরত মহম্মদ) সম্পর্কে যে কোনও অপমানজনক মন্তব্য করা বা লেখা বা দেখা গেলে অভিযুক্তের কারাদণ্ড বা জরিমানা পর্যন্ত হতে পারে। এমনকী মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে। ১৯৮০-এর দশকে জেনারেল মহম্মদ জিয়া উল হকের সেনা শাসনকালে পাকিস্তানে এই আইন ব্যাপকভাবে কার্যকরী হয়েছিল। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও এই আইনটিকে সমর্থন করেছিলেন।