পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল অসিম মুনির সম্প্রতি দ্বিজাতি তত্ত্ব নিয়ে কথা বলেছিলেন প্রবাসী পাক সম্মেলনে। যা ঘিরে জোর বিতর্ক হয়ছিল। তিনি অত্যন্ত তীক্ষ্ণ সুরে দাবি করেছিলেন, হিন্দু ও মুসলমানরা আলাদা। এরপরই জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা হয়। সেখানে ধর্মের ভিত্তিতেই পর্যটকদের খুন করা হয়েছিল। এই আবহে সেই হামলার সঙ্গে সরাসরি 'লিঙ্ক' করা হয়েছিল অসিম মুনিরের বক্তব্য। এই নিয়ে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত অধ্যাপক ইশতিয়াক আহমেদও মুনিরকে দায়ী করেছিলেন। শুধু তাই নয়, তিনি আসিম মুনিরকে আরও একটি প্রশ্ন করেছেন। তাঁর কথায়, মুনির কি মনে করতে পারেন যে চৌধুরী রহমত আলি নামের ব্যক্তি পাকিস্তানের নাম দিয়েছিলেন, তাঁকে পাকিস্তানে সমাধিস্থ পর্যন্ত করতে দেওয়া হয়নি। ২০১৭ সালেও তাঁর দেহাবশেষ পাকিস্তানে নিয়ে আসার দাবি জানানো হয়েছিল এবং এ বিষয়ে লন্ডনেও একটি মামলা হয়েছিল, তবে কোনও ফল হয়নি। (আরও পড়ুন: 'গুলি করুন, কিন্তু দেশ থেকে বের করে দেবেন না', কাতর আর্তি পাকিস্তানির)
আরও পড়ুন: ভারতে কোন কোন পাকিস্তানি ইউটিউব চ্যানেল নিষিদ্ধ করেছে সরকার? রইল পুরো তালিকা
ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, 'জেনারেল আসিম মুনীর দ্বিজাতি তত্ত্বের কথা বলছেন। কিন্তু আমরা যদি এর ইতিহাসের দিকে তাকাই, তাহলে দেখা যাবে ১৮৫৭ সালের পরেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হতে শুরু করে। কারও কারও এমন মতামত থাকলেও কোনও সংগঠন বা মহলে দেশভাগের সমষ্টিগত দাবি কখনও ওঠেনি। আল্লামা ইকবাল এলাহাবাদে একটি বক্তৃতা দিয়েছিলেন এবং এটি পাকিস্তানের ধারণা হিসাবে বিবেচিত হয়েছিল। তারপরেও তাঁর প্রস্তাবের পক্ষে কেউ ছিল না। ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, পাকিস্তান নামটি দিয়েছিলেন ভারতের পঞ্জাবের হোশিয়ারপুর জেলার চৌধুরী রহমত আলি। তাঁর পরিবার গুজ্জর সম্প্রদায়ের ছিল এবং তিনি নিজে বহু কষ্ট করে পড়াশোনা করলেও এলএলবি পাস করতে পারেননি। (আরও পড়ুন: ভারত-পাক উত্তেজনার আবহে মুখ খুলল মার্কিন বিদেশ দফতর, কী আহ্বান আমেরিকার?)
আরও পড়ুন: এবার বাংলাদেশকে 'শিক্ষা' দেওয়ার নিদান, নতুন দেশের পক্ষে সওয়াল মুখ্যমন্ত্রীর
অধ্যাপক ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, ১৯৩৪ সালে তিনি একটি পুস্তিকা ছাপিয়েছিলেন। সেখানেই চৌধুরী রহমত আলি পাকিস্তান নামটা দিয়েছিলেন। তাতে পি বলতে পঞ্জাব, আফগানিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার জন্য আ, কাশ্মীরের জন্য ক, সিন্ধু ও বেলুচিস্তানের জন্য আইএসটিএন (I, S, T, N)। তবুও তিনি এই নামকরণের কৃতিত্ব পাননি এবং এই কৃতিত্ব আল্লামা ইকবাল এবং মহম্মদ আলি জিন্নাহ নিয়েছিলেন। ইশতিয়াক আহমেদ বলছেন, রহমত আলি যে পাকিস্তানের তুলনা করেছিলেন, সেখান থেকে বিপুল সংখ্যক মুসলমান বাদ পড়েছে। ভারতে বসবাসকারী বেশিরভাগ মুসলমান এর বিরুদ্ধে ছিল এবং পঞ্জাবের লোকেরাও দেশভাগ চায়নি। (আরও পড়ুন: 'হাসিনাকে চুপ রাখতে বললে মোদী আমাকে বলেন...', এবার সত্যিটা মানলেন খোদ ইউনুস)
আরও পড়ুন: ISIS-এর সঙ্গে তুলনা, পাকিস্তানকে ফালাফালা করলেন ওয়াইসি, বললেন…