গত ২৩ এপ্রিল অসাবধানতাবশত আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে ঢুকে পড়েছিলেন রিষড়ার বাসিন্দা তথা বিএসএফ জওয়ান পিকে সাউ। এরপর থেকে তাঁকে ছাড়ার নাম নেই। এরই মাঝে গতকাল পাকিস্তান রেঞ্জার্সের এক জওয়ানকে বিএসএফ ধরে ফেলে। ধৃতের নাম মহম্মদ আবদুল্লা। রাজস্থানে এই পাক জওয়ান ভারতে ঢুকে পড়েছিল। সেই সময় তাঁকে বিএসএফ জওয়ানরা ধরে ফেলে। এই আবহে আবদুল্লাকে ছাড়াতে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানাল পাকিস্তান। এর আগে পিকে সাউকে ছাড়ার জন্যে ভারত পতাকা বৈঠকের দাবি জানালেও পাকিস্তান তাতে কর্ণপাত করছিল না। তবে এবার আবদুল্লার ঘটনায় চাপে পড়ে পাকিস্তান নিজেরাই বৈঠক চাইছে। এহেন পরিস্থিতিতে পাকিস্তান রেঞ্জার্সের ওপর চাপ সৃষ্টি করে ভারত পিকে সাউকে ছাড়িয়ে আনতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। (আরও পড়ুন: পাকিস্তানের মতো হাল যাতে না হয়, কলকাতার কারখানার বড় পদক্ষেপ)
আরও পড়ুন: নারীর অধিকার অস্বীকার করে ভারতের মুসলিমদের জন্য আন্দোলনের হুঁশিয়ারি বাংলাদেশে
সূত্রের খবর, রাজস্থান ফ্রন্টিয়ারের আওতায় ওই পাক রেঞ্জার্সকে আটক করে রাখা হয়েছে। এই নিয়ে পাকিস্তানের বক্তব্য, 'বাহাওয়ালনগর জেলা, ডোঙ্গা বোঙ্গা - সুখানওয়ালা (থাথানওয়ালি) চেকপয়েন্টের কাছে পাকিস্তানি ভূখণ্ডের ভেতর থেকে ভারতীয় বিএসএফ ইউনিটের এক পাকিস্তানি রেঞ্জার্স সদস্যকে অপহরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।' যদিও বিএসএফ জানিয়েছে, ভারতে ঢুকে পড়েছিল এই পাক রেঞ্জার। তখনই তাঁকে ধরা হয়েছিল। নিজেদের লজ্জার হাত থেকে বাঁচাতে পাকিস্তান মিথ্যা বলছে। (আরও পড়ুন: নৌবাহিনী প্রধানের সঙ্গে দেখা করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই IAF প্রধানের সঙ্গে বৈঠকে মোদী)
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের আবদালির 'চোখরাঙানি' তো হাস্যকর! ভারতের 'অগ্নি'র ক্ষমতা জানেন?
এর আগে ভারতের বিএসএফ জওয়ানকে আটক করেছিল পাক রেঞ্জার্সরা। এরপর বিএসএফের তরফে তাকে ছাড়়িয়ে আনতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরেও তিনি মুক্তি পাননি। এনিয়ে বেশ উদ্বেগে তাঁর পরিবার। সম্প্রতি তাঁর স্ত্রী অমৃতসরেও গিয়েছিলেন। পরে বিএসএফের প্রচেষ্টায় তিনি অত্যন্ত আশ্বস্ত হয়েছেন। উল্লেখ্য, পর্ণব কুমার সাউ পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার রিষড়ার বাসিন্দা। গত ২৩ এপ্রিল বিকেলে সীমান্তের কাছে কৃষকদের সাহায্য করার সময় অসাবধানতাবশত পাকিস্তানি ভূখণ্ডে ঢুকে পড়েছিলেন তিনি। বিএসএফের এক কর্মকর্তা এই নিয়ে বলেন, 'ভারতের সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া আছে। অবশ্য আন্তর্জাতিক সীমান্ত একটি ছোট স্তম্ভ দ্বারা চিহ্নিত রয়েছে। নতুন মোতায়েন হওয়া কোনও জওয়নের জন্যে তা শনাক্ত করা কঠিন হতে পারে। পাকিস্তানি নাগরিক ও নিরাপত্তারক্ষীরা অসাবধানতাবশত অনেক সময়ই আমাদের ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ে। মানবিক কারণে ভারত পর্যায়ক্রমে তাদের ফেরতও পাঠিয়ে দেয়।' প্রসঙ্গত, ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করার মধ্যেই এই ঘটনা ঘটেছিল। এই আবহে পিকে সাউকে নিজেদের হেফাজতে রেখে ভারতকে চাপে ফেলার চেষ্টা করে পাকিস্তান।