সম্পন্ন হয়েছে করমণ্ডেল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার উদ্ধারকাজ। জানা গিয়েছে, এতে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৯০ জনের। করমণ্ডেল এক্সপ্রেসের লাইনচ্যুত কামরার ওপর দিয়ে বেঙ্গালুরু-হাওড়া হামসফর এক্সপ্রেস ছুটে যাওয়াতেই এত সংখ্যক যাত্রীর মৃত্যু। দুর্ঘটনায় হামসফর এক্সপ্রেসেরও বগি লাইন থেকে নেমে যায়। তবে রেলের তরফে জানানো হল, হাওড়াগামী বেঙ্গালুরু সুপারফাস্টের কোনও যাত্রী প্রাণ হারাননি এই দুর্ঘটনায়। এমনকি সেই ট্রেনের এসি কামরায় থাকা কোনও যাত্রী আহত পর্যন্ত হননি বলে জানানো হয়েছে রেলের তরফে। রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বেঙ্গালুরু-হাওড়া ট্রেনের শুধুমাত্র জেনারেল কামরার কয়েকজন যাত্রী চোট পেয়েছেন। (আরও পড়ুন: করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার জেরে বাতিল হল বহু ট্রেন, একনজরে তালিকা)
এদিকে প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, সিগন্যালিং কন্ট্রোল রুমের ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে ভুল লাইনে ঢুকে পড়েছে আপ ১২৮৪১ শালিমার-চেন্নাই সেন্ট্রাল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। তবে এখনও বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় রেলের তরফে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। হিন্দুস্তান টাইমসকে রেলের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, খড়্গপুর ডিভিশনের সিগন্যালিং রুমের ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিট নাগাদ ওড়িশার বালাসোর জেলার বাহানগা বাজার স্টেশন অতিক্রম করার পর লুপ লাইনে ঢুকে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। এদিকে সেই লুপ লাইনে আগে থেকেই একটি মালগাড়ি দাঁড়িয়েছিল। এই মারাত্মক ভুলের কারণেই এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার সময় করমণ্ডল এক্সপ্রেস ঘণ্টায় ১২৭ কিলোমিটার বেগে ছুটছিল। (আরও পড়ুন: কীভাবে সংঘর্ষ হল ৩টি ট্রেনের? একনজরে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার টাইমলাইন)
আরও পড়ুন: রেললাইনের পাশে সাদা চাদরে ঢাকা সারি সারি মৃতদেহ…